আবারো বন্ধ হয়ে গেল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ‘মডার্ন ইন্ডিয়া কনকাস্ট এর স্পঞ্জ আয়রন কারখানা’ , জামাইষষ্ঠীর দিনে পথে বসল ২৫০ শ্রমিক। কাজ হারিয়ে বিক্ষোভে কর্মীরা

বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের দ্বারিকা শিল্পাঞ্চলে আজ থেকে বন্ধ হয়ে গেলো “মডার্ন ইন্ডিয়া কনকাস্ট লিমিটেড” এর স্পঞ্জ আয়রন কারখানা। আচমকা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ২৫০ জন শ্রমিক কাজ হারালেন। ইতিমধ্যেই ঠিকাদারদের হাতে লিখিত নোটিস তুলে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ চরমে।
কারখানার এক আধিকারিক ফোনে জানান, “চালুর পর থেকেই কারখানাটি লোকসানে চলছিল। রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ এর দাম কমানোর আশ্বাস দিয়েছিল কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই উৎপাদন বন্ধ করতে হচ্ছে। শ্রমিকদের সব বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে।”

এই খবরে দ্বারিকা-গোঁসাইপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কার্য্যালয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। তৃণমূল কংগ্রেস কার্য্যালয়ের সামনে জমায়েত করে তারা দাবি তোলেন, যেন অবিলম্বে কারখানা খুলে দেওয়া হয় এবং তাদের পুনঃনিয়োগ নিশ্চিত করা হয়।
বিজেপির দাবি, “তৃণমূলের দাদাগিরি, তোলাবাজি আর চুরি এই রাজ্যে কোনও শিল্প টিকতে দিচ্ছে না এই সরকার। তৃণমূলের শিল্প বলতে গরু চুরি শিল্প কয়লা চুরি শিল্প আর বালি চুরি শিল্প।”
সিপিএমের বক্তব্য, “তাদের আমলে তৈরি হওয়া শিল্প আজ তৃণমূলের তোলাবাজি ও বিদ্যুতের অস্বাভাবিক দামের কারণে বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে মালিক কর্তৃপক্ষ।”

তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের এক নেতা বলেন, “আমরা দ্রুত এই কারখানাটি পুনরায় চালুর ব্যবস্থা নিচ্ছি। এত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ুক, তা হতে দেব না।”
এক সময় নতুন করে জেগে ওঠা দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল আবার কি ঝিমিয়ে পড়বে ? প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূল কি রাজ্যে শিল্প বন্ধ করতে ক্ষমতায় এসেছে ? নাকি এও আরও এক বন্ধ কারখানার তালিকায় যোগ হলো ? উত্তর অনিশ্চিত।
বাইট:
1) শেখ আজারুদ্দিন (শ্রমিক)
2) গোবিন্দ নন্দী (শ্রমিক)
3) দেবপ্রিয় বিশ্বাস (বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি মুখপাত্র)
4) অসিত ঘোষ (সি আই টি ইউ নেতা)
5) শেখ রজবউদ্দিন (আইএনটিটিইউসি নেতা)