রাজ্যে ভোট ঘোষণা হতেয় শুরু রাজনৈতিক তরজা,রাজ্য নির্বাচন কমিশন কি পারবে এক দফায় ভোট করাতে? রাজ্যে ভোটে হিংসার ঘটলে তার দায়কার প্রশ্ন তুললেন বিরোধীরা।
➡️ রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট– ৮ জুলাই। (দার্জিলিং, কালিম্পং ২ স্তর বাকি সব ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত)
➡️ ৮ জুন থেকে জারি নির্বাচনী বিধি (মডেল কোড অফ কনডাক্ট) ➡️ ৯ জুন থেকে মনোনয়ন জমা দিতে পারবে ➡️ ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ➡️ ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ➡️ অনলাইনে মনোনয়নের কোনও পরিকল্পনা নেই কমিশনের
➡️ নির্বাচনী প্রচার করা যাবে না রাত ১০ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ➡️ পঞ্চায়েতের প্রচার করা যাবে ৬ জুলাই পর্যন্ত
কলাপাতায় মোরা এগরা বিস্ফোরণ কান্ডের মূল অভিযুক্ত ভানুবাগের দেহ, মারা গেলেন ভানু বাগ, এখন বিস্ফোরণ কান্ডের তদন্তর কি হবে প্রশ্ন একটাই?
ভানুবাগের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের দানা বাঁধছে এলাকার মানুষের মধ্যে। সূত্রে খবর রাত্রিতে সিআইডির কাছে গোপন জবাববন্দী দেবার পরই মারা যায় ভানু বাগ ওরফে কৃষ্ণপদ বাগ। উড়িষ্যার কটকে বেসরকারি হাসপাতালে মারা যায়। বাবার মৃত্যুর পরেই ছেলে পৃথ্বীরাজ কে উড়িষ্যা থেকে আনা হয় এগরা পুলিশ স্টেশনে, সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে কাঁথি আদালতে। কলাপতায় মোরা ভানুবাগের আচমকায় মৃত্যু ঘটনায় রহস্যের দানা বাঁধছে সকলের মনে,তার কারণ এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তিনিই মারা গেছেন এখন তদন্তের মোড কোন দিকে ঘুরে, সেটাই এখন দেখার। তবে এখন পর্যন্ত এলাকা থমথমে পরিস্থিতি রয়েছে তবে করা পুলিশি নজরদারি রয়েছে এলাকায়।
পূর্ব মেদিনীপুর থেকে অংশুমানপন্ডার রিপোর্ট বাংলা সার্কেল নিউজ।
বৈধ ঘাটে অবৈধভাবে বালি তুলা কে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলে জয়পুর বি এল আরও যেতেয় বন্ধ জয়পুর ব্লকের হেতিয়া নারানগির বালিঘাট।
রঞ্জিত কুণ্ডু–বাঁকুড়া
গত এক বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে দিন কয়েক আগে বালিঘাট খুলেছে ব্লকে তাও আবার একটিমাত্র ঘাট। সেই সুযোগ্যে কাজে লাগিয়ে ১০০ সিএফটি বালি ৩২০ টাকায় কিনেছে সরকারের কাছ থেকে,তার সাথে সরকারি রয়েলিটি ৩৬০ টাকা। জিএসটি ৪০ টাকা। মোট খরচ একটা একটা বালির দাম ৮০০ টাকা লেবার নিয়ে হাজার টাকা দাম হওয়ার কথা সেখানে আকাশ ছোঁয়া বালির দাম।বালি কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ছেঁকা, একই প্রচণ্ড রোদে হাস ফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের, তার উপর বাড়ি করতে গিয়ে বালির দামের ছেঁকায় হার্ট এটাক অবস্থা সাধারণ মানুষের। গত এক’বছর ধরে ঘাট বন্ধ থাকার কারণে একেবারেই চরা দামে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ট্রাক্টর বালি কিনতে হচ্ছিল, এলাকার মানুষ দের।ভেবেছিলেন বালিঘাট খুললে হয়তো দাম কমবে কিন্তু ঘাট খুললেও দাম সেই একই। যেখানে বিক্রি করার কথা ১ হাজার টাকায় সেখানে ঘাট মালিক কালোবাজারি করছে বিক্রয় করছে ২৮০০ টাকায়। বালিঘাট থেকে ট্রাক্টার মালিকদের বালি কিনতে হচ্ছে। তারা ৩৫০০ টাকায় বালি দিতে বাধ্য হচ্ছেন এমনটাই জানান ট্রাক টার মালিকরা। কিন্তু কেন এত দাম গত বছর সাধারণ মানুষ ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকায় বালি কিনছিলেন কি এমন হলো এক বছরে যা দু গুণের থেকেও বেশি টাকা দাম হয়ে গেল শ্রেণী ঘাট মালিকদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অবশ্য সাধারণ মানুষ ও ট্রাক্টর মালিকরা বিক্ষোভ দেখান দুদিন ধরে, তবুও ঘাট মালিকের দাম কমানোর কোন বালাই নেই। এলাকার স্থানীয় মানুষজন অভিযোগ করেন একই তো জেলা পরিষদের রাস্তার উপর দিয়ে দশ টনের বেশি মাল নিয়ে যাওয়া যায় না সেখানে ওভারলোড বালি অনবরত যাচ্ছে তার উপর বালিঘাট থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে ওজন করা কম্পিউটার মেশিন থাকার কথা তারও কোন নাম গন্ধ নেই এলাকায়। প্রায় ৭ থেকে ৮ কিল মিটার দূরে কাটা মেশিন রয়েছে সেখানে ওভারলোড বালি গাড়ি ওজন হচ্ছে এবং ওভারলোড বালি সেখানে খালি করে সেই বালি বিনা চালানে এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছেন বালি ঘাটের মালিক, তাও আবার কম টাকায়। সেখানে যারা ট্রাক্টারে করে বালি ব্যবসা করছেন তাদেরকে ওই বালি খাদ থেকেই দাম দিয়ে বালি কিনতে হচ্ছে আর ঘাট মালিক নিজের ট্র্যাক্টারে করে ও নিজের লরি করে কম টাকায় বালি এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছেন। যার ফলে ট্রাক্টর মালিকদের মধ্যে বিক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং দুদিন ধরে তারা বিক্ষোভ দেখান, পরে ঘাট মালিক ট্রাক্টর মালিকদের সাথে বসে কথা বললে আশ্বাস দেন কম টাকায় বালি দেবেন কিন্তু কিছুই করলেন না ঘাটের মালিক এমনটাই অভিযোগ করছেন ট্র্যাক্টর মালিকরা। যা নিয়ে শুরু হয় বালিঘাটে বিতর্ক, ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান জয়পুর ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক গুণধর মন্ডল, আর ঘাটে গিয়ে পৌঁছাতেই বিশৃঙ্খলা আরো চরণে পৌঁছায় বন্ধ করে দেন বালিখাদ, বালিখাদ বন্ধ থাকার কারণ জানতে পারা যায় স্থানীয় মানুষজনের কাছ থেকে একটি চালনে ৭থেকে ৮ ঘন্টা সময় রয়েছে তা সত্ত্বেও বি এল আর ও বালির চালানের উপর সই করে দিয়ে চালান নষ্ট করে দিচ্ছেন যা নিয়ে রীতিমতো টাকটার মালিকদের রুজি রোজগার কমে যাচ্ছে। অনেকে আবার দাবি করেন বিএল আরো নাকি ঘাটে গিয়ে টাকার দাবি করেন তবে অবশ্য বি এল আর অফিসার এই অভিযোগ মানতে নারাজ তিনি ঘাট থেকে বালি তোলা বন্ধর কারণ তিনি নিজেও জানেন না বলেই তিনি জানান। তবে প্রশাসনের কোন ভক্ষেপ নেই সাধারণ মানুষের জন্য বালির দাম কমানোর। তাতে দাম কম হোক বা বেশি। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন প্রশাসন যদি এই বালির দামের উপর নজর দেন তাহলে হয়তো আগামী দিনের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে তা না হলে আর কোন উপায় নেই চড়া দামেই বালি কিনতে হবে।
ভারতবর্ষের ২৮ টি রাজ্য পায়ে হেঁটে পশ্চিমবঙ্গর বাঁকুড়া জেলার জয়পুরে প্রবেশ করলেন দীর্ঘ সাত মাস পর কর্নাটকের মাইসুরুর যুবক কৃষ্ণ নায়েক ।
রঞ্জিত কুন্ডু–বাঁকুড়া
সারা ভারতবর্ষে মানুষকে যোগ ব্যায়াম সম্বন্ধে ধ্যান ধারণা দিতেই পায়ে হেঁটে ভারত বর্ষ ভ্রমণে বেরিয়েছেন কৃষ্ণ নায়েক। দীর্ঘ ছমাস পায়ে হেঁটে বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার জয়পুর ব্লকের কুচিয়াকোল গ্রামে এসে পৌঁছান গতকাল। আজ সকালে হালকা টিফিন সাড়ার পর আবারো পায়ে হেঁটে ভারত ভ্রমণনে বের হয়ে যান। পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করার থেকেই গ্রাম গঞ্জের বিভিন্ন ব্লকের মানুষ কৃষ্ণ নায়কের পাশে দাঁড়া এবং কৃষ্ণ বাবুর এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এলাকার মানুষ। কারণ উনি যে কাজটা করতে বেরিয়েছেন যোগ ব্যায়াম অর্থাৎ শরীর চর্চা আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের প্রয়োজন। যোগ ব্যায়াম করলে আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও শরীরচর্চার ফলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর কৃষ্ণ বাবু এই কাজটাই করতে বেরিয়েছেন সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ভারতবর্ষের মানুষকে একটাই বার্তা, আপনি যতই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকুন তার মাঝেই যোগ ব্যায়াম করে আপনি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে পারবেন।তাই এই বার্তা নিয়ে কর্ণাটক থেকে পায়ে হেঁটে গতকাল প্রবেশ করেন জয়পুর ব্লকে, বিকালে এলাকার মানুষদের সঙ্গে নিয়ে যোগ ব্যায়াম প্রশিক্ষণ দেন এবং সেই প্রশিক্ষণ নিলেন কুচিয়াকল গ্রামের একাধিক মানুষ। সারা ভারতবর্ষ পায়ে হেঁটে যোগব্যায়ামকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে অভিনব উদ্যোগ কর্নাটকের এই যুবক। আজ সকালে পায়ে হেঁটে আবারো পরবর্তী গন্তব্য স্থলের জন্য বেরিয়ে পড়েন আমাদের চ্যানেলের প্রতিনিধির ক্যামেরার মুখোমুখি হতে তিনি কি বললেন চলুন শোনাবো আপনাদের।
গ্রীষ্মের দাবদাহ কমতেই হাজার হাজার পর্যটকের ভিড় দিঘায়, আর প্রচুর পর্যটক জমতেই রুমের ভাড়া ও খাওয়া দাওয়া খরচ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে হোটেল ব্যবসায়ীরা। এতটাই পর্যটক হয়েছে যে একটিও হোটেল ফাঁকা নেই যে টাকা খাওয়া ও থাকার ভাড়া হওয়ার কথা তার তুলনায় দ্বিগুণ তিন গুণ হোটেল মালিকরা হোটেলের দাম নিচ্ছে অভিযোগ পর্যটকদের।কিন্তু কিছু করার নেই দীঘায় এসে তো থাকতে হবে, সেই কারণে দাম বেশি হলেও পর্যটকরা সংকোচ না করে আনন্দ উপভোগ করবে বলে বেশি দাম দিয়েও হোটেলে রুম নিতে হচ্ছে শুধু কি হোটেলের দাম পর্যটকরা নাজিয়াল হয়ে যাচ্ছে খাওয়ার জিনিস কিনতে যাওয়ায় যেখানে সাধারন মানুষের নাগালের মধ্যে ছিল সেখানেও দেখা গেল বেশ পরিমাণ দাম বেশি সবকিছু ছেড়ে দিয়ে পর্যটকরা বেশ আনন্দ উপভোগ করছে সুন্দরী দীঘায় শুধু কি দীঘা পাশে প্রার্থী পাওনা পেয়েছে শংকরপুর। সবকিছু মিলে ঠাসাটাশি ভিড় দিঘা থেকে শংকরপুর।
ডিয়ে বৈঠকের ফল জিরো, হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য বসলেও মিলল না ফল।
রাজ্যের মাল কিন যে কথা বলেন তারই ভিত্তরা সেই কথাই বলে গেলেন দাবি বৈঠককারীরা। হাইকোর্টের নির্দেশে ডিএ আলোচনায় বসলেও সেই আলোচনায় কোন সদুত্তর পাওয়া গেল না। নিট ফল এক কথায় জিরো ।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেন সেই কোথায় তার দলের আমলারাও একই কথা বলেন দল চলছে না সার্কাস চলছে? দলের নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্য সচিব আমি দুধে মিশে একাকার। কোনটা দলের কথা? কোনটা সরকারের কথা বোঝাই দায়। সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে তার প্রমাণ আজকে দিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। তিনি বলেন রাজ্যের কোন ফান্ড নেই ডিএ দেয়া যাবে না সংস্থান ফ্রান্ড হলে তবেই দিয়া দেয়া যাবে এবং কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে কোন টাকা পাওয়া যায়নি তাই টাকা দেয়ার কোন উপায় নেই বলেই দাবি করেন আন্দোলনকারী। তবে এখন দেখার বিষয় আন্দোলন নিয়ে আগামী ৬ তারিখ মহা মিছিলের ডাক দেন। এখন দেখাও লাগাতার আন্দোলন মিছিল করেই চলেছে আন্দোলনকারীরা, তাতেও রাজ্য সরকারের কোন হেলদোল নেই। হাইকোর্টের নির্দেশে জোরপূর্বক বৈঠকে বসলেও তার উত্তর অধরাই রয়ে গেল। নিট ফল এক কথায় জিরো ।এখন দেখার ডি এ আন্দোলনকারীরা কি ফল রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পায়, সেটাই এখন দেখার।
১০০ নয়, ৫০০ কোটির খেলা, কুন্তল একাই ৫০০ কোটি তুলেছে’, বিস্ফোরক দাবি তাপস মণ্ডলের কোর্ট থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তাপস মণ্ডলের, কুন্তল তো বলেছে ইডিসিবিআই টিকি ছুতে পারবে না, সম্পূর্ণ টাকা হাওলা মারফত বাইরে খাটছে। সম্পূর্ণ টাকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নাম করে একাই খেয়েছে, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কুন্তল ঘোষ তিনি বারবার দাবি করেছেন ইডি সিবিআই জোর করে তাকে দিয়ে বলানোর চেষ্টা করা নিয়ে তিনি বলেন সম্পূর্ণ নাটক করছেন কুন্তল ঘোষ তিনি সিবিআই জোর করে কথা বলানো ব্যাপার নিয়ে তিনি দাবি করেন কোন কিছুই জোরপূর্বক করছে না সিবিআই ও ই ডি। কুন্তল ঘোষ এখনো জেলে বসেই দুর্নীতির খেলা খেলছেন বলেই তিনি দাবি করেন।
অভিষেক ব্যানার্জি ছদ্দবেশী পিয়াংকা গোস্বামী কে কোথা দিয়ে কোথা রাখলেন না বাঁকুড়ায়,
রঞ্জিত কুণ্ডু–বাঁকুড়া
গত ১২ এপ্রিল বাঁকুড়ার ওন্দাতে এসে জনৈকা বৃদ্ধার ছদ্মবেশধারী প্রিয়াঙ্কা গোস্বামীর আবেদনে সাড়া দিয়ে বিষয়টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখার কথা বলেন বলে খবর। কিন্তু এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতি পালন হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি যাঁদের নামে অভিযোগ তাঁরাই স্থান পেয়েছেন নব গঠিত ওন্দা ব্লক তৃণমূলের কমিটিতে। আর তাই অভিষেক ওন্দার যে মাঠে সভা করেছিলেন সেখানেই বুধবার অবস্থান আন্দোলনে বসেছেন প্রিয়াঙ্কা গোস্বামীর নেতৃত্বে প্রায় ২০-৩০ জন ছেলে ও মেয়ে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল বৃদ্ধার ছদ্মবেশধারী ওন্দার রামসাগরের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী দাবি করেন ওন্দা ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সহ সভাপতি আশিষ দে করোনা কালে তাঁর কাছ থেকে সিস্টার নিবেদিতা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৯৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী আরো দাবি করেন, তিনি একা নন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ৭০ জন কর্মী করোনা কালে বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাস্ক সেনিটাইজার বিলি করার কাজও করেছিলেন। পরবর্তীতে তাঁরা জানতে পারেন ওই সংস্থাটি ভুয়ো। প্রিয়াঙ্কা গোস্বামীর দাবি তাঁর দেওয়া টাকার বিনিময়ে সেই সময় পঞ্চাশ হাজার টাকার রশিদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাকি টাকার কোনরকম রশিদ দেওয়া হয়নি। দেওয়া টাকা ফেরতও পাননি। বারবার জানানোর পরও কাজ না হওয়ায় অভিযোগকারী ওন্দা থানার দারস্থ হন। ওন্দা থানার পক্ষ থেকে কোনরকম পদক্ষেপ তো নেওয়া হয়ইনি। উলটে ওই তৃনমূল নেতার নামে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করতেই তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। গালিগালাজ ও মারধর করা হয় অভিযোগকারী এবং তার স্বামীকে, চলে হুমকিও। সে কারণেই অভিষেক ব্যানার্জীকে মঞ্চে পেয়ে তার কাছে অভিযুক্ত আশীষ দের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তিনি। তার দাবি অবিলম্বে আসিস দের মতন নেতাকে দল থেকে বিতাড়িত করা হোক, গ্রেফতার করা হোক।
গ্রীষ্মের দাবদহে পুড়ছে রাজ্য,তার মধ্যে করোনার থাবা ফের রাজ্যে
নিজস্ব প্রতিনিধি:-
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী গোটা দেশে কোরোনার সক্রিয় আক্রান্তর সংখ্যা ৬০৩১৩, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত ৯১১১ ।অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছে ৬৩১৩ জন সব মিলিয়ে সুস্থতার হার ৯৮.৬১%। রাজ্যে বাড়ছে করোনার দাপট করোনার সঙ্গে লড়তে এর রাজ্যে চালু হতে চলেছে মার্কস স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্যসভার বৈঠকে সে কথাই বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতাল কে ।পাশাপাশি অক্সিজেন মজুর রাখতে বলা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। একদিকে প্রশাসনের কড়া নজরদারী অন্যদিকে জনসাধারণের মধ্যে চরম অসতর্কতার ছবি রাজ্যের প্রত্যেকটি শহরে। দুর্গাপুর আসানসোল বাঁকুড়া মেদিনীপুর হাওড়া হুগলি আরামবাগ পুরুলিয়া প্রত্যেকটি শহরে তীব্র দাবদাহের পুড়ছে এলাকা তার মধ্যেই করোনার নতুন করে মাথাচাড়া দেয়াতে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তার উপর সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে আর বেশি দেরি নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন খুব শীঘ্রই দিন ঘোষণা করবে। তার মধ্যেই করোনার নতুন করে মাথাচড়া দেয়াতে চরম উদ্যোগে রাজ্য সরকার। প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোট আসলেই করোনার নতুন করে মাথাচারা দেয়া যেমন পৌরসভা নির্বাচনে করোনার মাথাচাড়া দেওয়ার জন্য নির্বাচন পেঁছিয়ে দেয়া হয়েছিল, আবার পঞ্চায়েত নির্বাচন আর মাথা ছাড়া দেওয়াতে পঞ্চায়েত ভোট আবার পেঁছিয়ে যাবে না তো ,এসব প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
বাংলা কি তাহলে গ্যাংস্টারদের আঁতুরঘর, তা না হলে বিহারে খুন করে গা ঢাকা দিল কি করে?
নিজস্ব প্রতিবেদন : অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বাংলা। একথা তুলে বার বার খোঁচা দেন বিরোধীরা। এবার সেই কলকাতা থেকেই গ্রেফতার করা হল বিহারের এক কুখ্যাত গ্য়াংস্টারকে। তপসিয়ার ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ও একটি মোবাইল পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। কুখ্যাত ওই গ্যাংস্টারের নাম রোহিত যাদব। বিহারের রাজনগরে গুলি করে খুনের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। মাথার দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা।সেই দুষ্কৃতীই ব্যবসায়ী সেজে গা ঢাকা দিয়েছিল কলকাতায়। মাস ছয়েক ধরে সে কলকাতায় ডেরা নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখান থেকেই সে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর করা শুরু করেছিল। যোগাযোগ রাখত আত্মীয়দের সঙ্গে। কার্যত রসেবশেই ছিল কলকাতায়। কিন্তু সেই ফূর্তি বেশি দিন হল না। এদিকে তাকে ধরতে হন্য়ে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সে কলকাতায় ডেরা নিয়েছিল। এমনকী ফোনের সিমও বদলে ফেলেছিল। নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিত। একটি বহুতলে সে ভাড়া থাকত। মাস ছয়েক আগে সে দীপক যাদব নামে এক আমিনকে খুন করে বলে অভিযোগ। জমি জমা সংক্রান্ত মাপামাপির কাজে যুক্ত ছিলেন ওই আমিন। তাকে পরপর ৬টি গুলি চালিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।এদিকে রোহিত তার আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। পুলিশও ওই আত্মীয়দের উপর নজরদারি করছিল। তখনই জানা যায় সে কলকাতায় ডেরা নিয়েছে। তারপরই শুরু হয় তল্লাশি। মধুবনীতে রোহিতের বিরুদ্ধে আগেও খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এবার সে জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এক আমিনকে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। রোহিত যাদব নিজেই ৬ রাউন্ড গুলি চালিয়ে দীপককে খুন করেছিল বলে অভিযোগ।