Category: রাঢ় বঙ্গ

  • বহু প্রাচীন ভট্টাচার্য্য বাড়ির ঐতিহ্যবাহী বিপত্তারিণী পুজো বাঁকুড়ার ওন্দা গোগরা গ্রামে।

    বহু প্রাচীন ভট্টাচার্য্য বাড়ির ঐতিহ্যবাহী বিপত্তারিণী পুজো বাঁকুড়ার ওন্দা গোগরা গ্রামে।

    বাঁকুড়া জেলার ওন্দার গোগড়া গ্রামের ভট্টাচার্য্য বাড়ির ঐতিহ্যবাহী বিপত্তারিণী পুজো ২৫০ বছরে পদার্পণ করল।


    বিপত্তারিণী আসলে দেবী দুর্গারই আর এক রূপ। শাস্ত্র মতে, দুর্গার ১০৮টি অবতারের মধ্যে অন্যতম হলেন দেবী সঙ্কটনাশিনী। তাঁর একটি রূপ হলেন মা বিপত্তারিণী। প্রতি বছর আষাঢ় মাসে রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে মঙ্গল ও শনিবার পড়ে, তাতেই এই ব্রত পালিত হয়। সমস্ত রকমের বাধা, বিপত্তি ও বিপদ থেকে সন্তান এবং পরিবারকে রক্ষা করার জন্য এই পুজো করা হয়।
    রথযাত্রার পরের মঙ্গল ও শনিবার মা বিপত্তারিণীর পুজো করে থাকেন ভক্তগণেরা। স্বামী, সন্তান এবং সমগ্র পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিবাহিত মেয়েরা এই পুজো করে থাকেন।

    পূজায় ১৩ সংখ্যাটির একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই পূজায়সুতো বাঁধার প্রথা রয়েছে,যা ১৩টি গাট থেকে প্রস্তুত করা হয়। মহিলারা উপোস রেখে এটি প্রস্তুত করে। বিশ্বাস করা হয় যে এই সুতো বেঁধে রাখলে স্বামী-সন্তানের উপর আসা সমস্ত বিপদ দূর হয়।
    বিশ্বাস করা হয় যে, এই তাগা হাতে পরলে তাঁকে কোনও বিপদ স্পর্শ করতে পরে না। বিপত্তারিণী পুজোর শেষে সকলেই হাতে ওই তাগা বেঁধে দেওয়া হয়৷ মেয়েরা বাম হাতে ও ছেলেরা ডান হাতে এটি পরেন। এটি শুধু ব্রত পালন যিনি করছেন তিনিই যে বাঁধেন তা নয় পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাঁধেন বিপন্মুক্তির জন্য। বিশ্বাস করা হয় যে সংসার ও সন্তানদের জন্য এই ব্রত পালন করেন তারা৷ এই ব্রতর ফলে কেটে যায় সমস্ত বিপদ।
    প্রসাদ হিসেবে ১৩টি লুচি ও ১৩ রকমের ফল খাওয়ার চল রয়েছে।

    – বিপত্তারিণী পুজোয় ১৩ সংখ্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। স্বামী ও সন্তানের রক্ষার্থে ১৩টি গিঁট দেওয়া লাল সুতো যা রক্ষা সুতো নামে পরিচিত, তা হাতে বেধে দিতে হয়। তাতে ১৩টি দুর্বাও দেওয়া থাকে।

    ভট্টাচার্য্য পরিবারের সকলের এক সময় আদিবাড়ি ছিল ওন্দা থানার অন্তর্গত রঘুনাথনগরে। তখন থেকেই মাটির একচালা ঘরে আজ থেকে প্রায় ২৫০ বছর আগে ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ ১১৮০ বঙ্গাব্দে ভট্টাচার্য্য পরিবারের আদিপুরুষ স্বর্গীয় রমেশ ভট্টাচার্য্য , স্বর্গীয় বিজয় ভট্টাচার্য্য,স্বর্গীয় কেদারনাথ ভট্টাচার্য্য এবং স্বর্গীয় গোষ্ঠ ভট্টাচার্য্য এর তত্ত্বাবধানে মা বিপত্তারিণী-র পুজো শুরু করেন ভট্টাচার্য পরিবারের ব্যক্তিবর্গরা। সেই সময় সংসারে অভাব অনটন থাকায় শুধুমাত্র ঘট পুজোর প্রথা প্রচলিত ছিল।প্রথম থেকেই ভট্টাচার্য্য পরিবার বিশেষ শাস্ত্রীয় পাণ্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন। পুজো অর্চনার পান্ডিত্যের জন্য বর্তমানে আজও পুরোহিত হিসেবে ওন্দা অঞ্চলে খুব সুখ্যাতি আছে। পুজো অর্চনায় ছিল তাদের একমাত্র প্রধান জীবিকা। শোনা যায়,ভট্টাচার্য্য পরিবারের আদি এক সদস্যের কঠিন ব্যাধি হলে বিভিন্ন প্রান্তের কবিরাজি চিকিৎসকদের দেখালেও সেই ব্যাধি থেকে কিছুতেই মুক্তি পাচ্ছিলেন না। সেই সময় দেবী বিপত্তারিণী স্বয়ং ভট্টাচার্য্য পরিবারের আদিপুরুষ কোন এক সদস্য কে স্বপ্নে সেই কঠিন ব্যাধির ওষুধ বলে দেন। ঠিক তখন থেকেই মাটির একচালা কুড়েঘরে মা বিপত্তারিণীর পুজো প্রথম শুরু করেন।
    কথিত আছে, গোগড়া গ্রামের চক্রবর্তী জমিদাররা দেবত্ব পূজা অর্চনার জন্য ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ ১২৭৫ বঙ্গাব্দে রঘুনাথনগর থেকে গোগড়া গ্রামে ভট্টাচার্য্য পরিবারদের নিয়ে আসেন। কারন গোগড়া গ্রামে তখন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করলেও কুলো পুরোহিত ব্রাহ্মণ সেকালে ছিল না। ভট্টাচার্য্য পরিবারকে গোগড়া গ্রামে নিয়ে আসার পর চক্রবর্তী জমিদারেরা কিছু ভূ- সম্পত্তি প্রদান করেন। এবং বাড়ির ও দেবত্ব মন্দিরের পুজো অর্চনার কাজে নিযুক্ত করেন। তখন থেকে ভট্টাচার্য্য পরিবার আজও বর্তমানে গোগড়া গ্রামে বসবাস করছেন। গোগড়া গ্রামে আসার পর স্বর্গীয় সুকুমার ভট্টাচার্য্য,স্বর্গীয় কানাইলাল ভট্টাচার্য্য,স্বর্গীয় রামকিঙ্কর ভট্টাচার্য্য, স্বর্গীয় সুধাংশু ভট্টাচার্য্য ও স্বর্গীয় কৃষ্ণদাস ভট্টাচার্য্য রা গোগড়া গ্রামে মা বিপত্তাতারিনীর পুজো শুরু করেন।
    বর্তমানে প্রতি বছর ভট্টাচার্য্য পরিবারের বংশধর প্রবীর ভট্টাচার্য্য মহাশয় এর দ্বারা সাড়ম্বরে গোগড়া গ্রামের বাড়িতে মা বিপত্তারিণী-র পুজো করছেন নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে। এই বছর মা বিপত্তারিণীর পুজো গোগড়া গ্রামে ১৫৫ বছর অতিক্রম করল। এই পুজো দেখতে গোগড়া ছাড়াও ওন্দা গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে ভক্তবৃন্দরা ছুটে আসেন পুজো দেখতে। মা বিপত্তারিণীর কাছে কেউ যদি মনস্কামনা করেন তা ফলস্বরূপ সকলের মনবাঞ্ছনা পূরণ করেন।

    মা বিপত্তারিণী পুজোর উপলক্ষে ভট্টাচার্য্য বাড়িতে এদিন মায়ের অন্য ভোগের আয়োজন করা হয়। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে অরন্ধন পালিত হচ্ছে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের রান্না হচ্ছে এক হাঁড়িতে। তাই গোগড়া গ্রাম সহ এদিন গ্রামের আশেপাশে প্রতিটি প্রান্তের জনসাধারণ মানুষ এই সম্মিলিত উৎসবে সামিল হয়েছেন।

    এছাড়াও গোগড়া গ্রামের ভট্টাচার্য্য পরিবার এক ঐশ্বরিক শক্তির অধিকারী, কথিত আছে ভট্টাচার্য্য পরিবারের কুলো দেবতা শ্রীরাম চন্দ্র ও হনুমান রয়েছে। ঠাকুরের স্বপ্নাদেশ আছে যে বাচ্চাদের এক প্রকার ব্যাধি রয়েছে যেটা নাকি বাচ্চাদের হাত-পা শুরু হয়ে যায় পেট বড় হয়ে যায়। এরকম ব্যাধির প্রতিকারে উপায় ‘ধন্বন্তরীর ওষুধ’ ভট্টাচার্য্য পরিবারের এক পূর্বপুরুষ স্বপ্নাদেশে পান। স্বপ্নাদেশে পাওয়া ওষুধ এই রোগের জন্য দেয়া হয়। বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এই ব্যাধির প্রতিকারের জন্য ছুটে আসেন। এবং সকলেই ভালো হয়ে বাড়ি ফিরে যান। বর্তমানে এই ধন্বন্তরীর ‘ওষুধ’ দিয়ে আসছেন ভারতী ভট্টাচার্য্য, ছায়া ভট্টাচার্য্য, পূর্ণিমা ভট্টাচার্য্য। কূলদেবতা বজরংবলী ও রঘুনাথ জি-র মূর্তি গুলি ওন্দার কৃষি জমিতে চাষ দেওয়ার সময় নাগলের ফলাতে উঠেছিল। সেখান থেকে নিয়ে এসে বাড়িতে স্থাপন করা হয়। ভট্টাচার্য্য বাড়ির বিপত্তারিণী পুজো যে বহু প্রাচীন তা বলার কোনো অপেক্ষা রাখে না।

  • ২৫ বছর ধরে খোলা আকাশের নীচে রান্না আইসিডিএস সেন্টারে, সেই খাবার খাওয়ানো হচ্ছে শিশুদের, কোন অঘটন ঘটলে তার দায় কার?

    ২৫ বছর ধরে খোলা আকাশের নীচে রান্না আইসিডিএস সেন্টারে, সেই খাবার খাওয়ানো হচ্ছে শিশুদের, কোন অঘটন ঘটলে তার দায় কার?

    প্রায় 25 বছর ধরে আজও খোলা আকাশের নীচে রান্না আইসিডিএস কেন্দ্রের, আজ হলো না বাড়ি। এমনই ছবি বাঁকুড়ার রাইপুরের বেঙ্গদা গ্রামেশিশুদের সুরক্ষা কোথায় প্রশ্ন গ্রামবাসীদের। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কি প্রশাসন নেবেন।

    দীর্ঘ 25 বছর ধরে বাঁকুড়ার রাইপুরের একটি আইসিডিএস কেন্দ্রের শিশুদের রান্না করা খাবার গাছের তলায় করে আসছেন আইসিডিএস এর কর্মীরা আজও হলো না আইসিডিএস কেন্দ্রের রান্না করার ঘর।, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা খোলা আকাশের নিচে চলে আসছে এমনই দাবি গ্রাম বাসিদের । এই গ্রামে আইসিডিএস কেন্দ্রের জন্য নিজস্ব কোনো ঘর নেই,ক্লাবের একটি ঘরে ওই কেন্দ্রের পড়াশোনা খাওয়া-দাওয়া সবকিছুই বর্তমানে এই ক্লাব ঘরে। যে হারে দিনের পর দিন আইসিডিএস কেন্দ্রের খাবারে টিকটিকি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাপ আরশোলা সারা রাজ্য যুরে যে ছবি আমরা দেখেছি সেই ছবি হয়তো দেখা যাবে এই কেন্দ্রে কারণ একটাই খোলা আকাশের নিচে রান্না হলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে যেখানে ছোট ছোট শিশুরা খাবার খায় সেই খাওয়ারই রান্না হচ্ছে গাছের তলায় ফাঁকা খোলা আকাশের নিচে ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের সুরক্ষা কোথায় প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা।
    যদিও ওই কেন্দ্রের দিদিমণির দাবী আমারা বিডিও, সিডিপিও, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি তাও কোনো কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই তারা এই আইসিডিএস কেন্দ্র এইভাবেই দিনের পর দিন চালিয়ে আসছেন।
    আমাদের মুখোমুখি হয়ে তারা কি জানাচ্ছেন চল শোনাবো আপনাদের।
    বাঁকুড়া রায়পুর থেকে তনময় নন্দীর রিপোর্ট বাংলা সার্কেল নিউজ।

  • তৃণমূলের প্রার্থী ভোট প্রচারে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে ভোটের পর তৃণমূলে আসার আহ্বান সুজাতা মন্ডলের।

    তৃণমূলের প্রার্থী ভোট প্রচারে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে ভোটের পর তৃণমূলে আসার আহ্বান সুজাতা মন্ডলের।

    তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী ভোট প্রচারে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে সুজাতা মন্ডল, বিজেপির প্রার্থী লক্ষ্মীর ভান্ডার পাওয়াতে দলে আসার আহ্বান সুজাতা মন্ডলের। অভিনব কায়দায় দলে আসার বার্তা সুজাতা মন্ডলের তিনি বলেন একসময় দুজনেই একই দল করতাম তাই নির্বাচনে দুজনেই দুজনের বিরুদ্ধে নির্বাচনি লড়াই হলেও লড়াইয়ের পরেই তৃণমূলে আসার বার্তা দিলেন সুজাতা মন্ডল, আর তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনলেন বিজেপির প্রার্থী। তিনি ঠিক কি বললেন চলুন দেখাবো আপনাদের।

    ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রাক্তন স্বামী সৌমিত্র খাঁয়ের ভোট প্রচারে এসেছিলেন সুজাতা মন্ডল তখন থেকেই জয়পুর হিজলডিহা গ্রামের বিজেপি নেত্রী পরিচিত ছিলেন বিজেপির প্রার্থী মঞ্জু রুইদাস, ২০১৯ নির্বাচনে সৌমিত্র খাঁ বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয় ।বিষ্ণুপুর লোকসভা এলাকায়, আইনের গ্যারাকলে পড়ে সৌমিত্র খাঁ নিজের লোকসভা এলাকায় প্রচার করতে না পারলেও তার পত্নী সুজাতা মন্ডল তার জায়গা পূরণ করে দেন বিপুল ভোটে জয়যুক্তও হয়ে যান। তারপর থেকেই অনেক জল গড়িয়েছে। রাজনীতির গ্যারাকলে পড়ে ছারখার হয়ে গেছে সংসার ত্যাগ করেছেন স্বামীকে। বিজেপি ছেড়ে, সেই লোকসভা কেন্দ্রের জয়পুর ব্লকের জেলা পরিষদের প্রার্থী তৃণমূলে ৪৪ নম্বর জিপি আসনে লড়ছেন তাই বহু বছর পর হলেও একসময় একসাথে বিজেপির হয়ে ভোট প্রচার করা সঙ্গী এখন লড়ছেন তারই বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে মঞ্জু রুইদাস। বরাবরই বিজেপির পুরনো নেত্রী নামেই পরিচিত মঞ্জু রুইদাস আজ সুজাতা মন্ডল জয়পুর ব্লকের হিজলডিহা গ্রামে ভোট প্রচারে জান, আর সেখানেই সামনাসামনি দেখা হয়ে যায় দুই প্রার্থীর আর দেখা হয়ে যেতেই তিনি বিজেপি নেত্রী কে প্রশ্ন করেন আপনি লক্ষীর ভান্ডার পান তিনি সাথে সাথেই বলেন হ্যাঁ পায়, আর তারপরেই তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন তৃণমূল বিজেপি বা কোনো রাজনৈতিক দল কালার দেখেন না সকলকেই লক্ষীর ভান্ডার দিয়েছেন। তাই। প্রতিপক্ষ হিসাবে লড়াই করলেও লড়াইয়ের শেষে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে আশার বার্তা দিলেন। লোকসভা নির্বাচনে কোমর বেঁধে প্রাক্তন স্বামীকে জিতিয়ে আনলেও তিনি বিজেপিতে কোন জায়গায় সেরকমভাবে পাননি তাই তিনি মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নের শামিল হতে যোগদান করেছিলেন তৃণমূলে, শুধু যোগদানই নয় 2023 পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের ক্যান্ডিডেট হয়ে লড়াই করছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রচন্ড পরিশ্রম করছেন দলকে জেতার জন্য। কারণ একটাই সুজাতা মন্ডল এর চেনা মাঠ কতটা যে কঠিন হবে তা তিনি নিজেও টের পাচ্ছেন। তিনি প্রকাশ না করলেও বুঝতে পারছেন ২০১৯ থেকে ২১ সবেতে বিজেপি ব্যাপক হারে জিতেছে লোকসভা ও বিধানসভা তে তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির নমিনেশন না করতে পারলেও জেলা পরিষদের নমিনেশন করেছেন তাই টক্করে টক্করে লড়াই টা যে হবে তা প্রচার দেখেই পরিষ্কার বোঝা যায়। তবে বিজেপি অবশ্য সেরকমভাবে প্রচারের আলোয় আসেননি।
    এখন দেখা তিনি যে এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী করেছেন সেই এলাকায় ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজেপি জয়যুক্ত হয়। এখন দেখা বিজেপির জেতা আসন বিজেপির শক্ত খাটি নামে পরিচিত ময়নাপুর উত্তরবার জগন্নাথপুর এই এলাকার মানুষের মধ্যে প্রচারের মাধ্যমে তৃণমূল মুখী করতে পারেন নাকি পুনরায় এলাকার মানুষ বিজেপিকেই ভোট দেয় সেই দিকেই তাকিয়ে জয়পুর এলাকার মানুষ।

  • দ্রুত গতিতে যাওয়া বাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত গরু ও দুই বাইক আরোহী।

    দ্রুত গতিতে যাওয়া বাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত গরু ও দুই বাইক আরোহী।

    এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় খবর বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে বাইকের সাথে গরুর মুখোমুখি সংঘর্ষ ,আপনাদেরকে আরো একবার জানিয়ে রাখি।
    দ্রুত গতিতে যাওয়া বাইকের সাথে জঙ্গল একাকার গরুর ধাক্কা ,ঘটনায় গুরুতর আহত বাইকে থাকা এক মহিলা সহ চালক। ও বাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম গরু, ঘটনা বাঁকুড়া জয়পুর ব্লকের তাঁতীপুকুর এলাকায়, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জয়পুর থানার পুলিশ, আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই দুই ব্যক্তি। তবে বাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম গরু। সূত্রে খবর জয়পুর জঙ্গলে গরুর পাল চোর ছিল সেই সময় রাস্তা দিক দিয়ে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চলে আসে একটি গরু সেই সময় আচমকায় জয়পুর থেকে বিষ্ণুপুর দিকে যাচ্ছিল ওই বাইক আরোহি। দ্রুত গতিতে যাওয়ার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে চলে আসা গরুকে সজোরে ধাক্কা মারে সাথে সাথেই ছিটকে পড়েন বাইক চালক সহ গাড়িতে থাকা এক মহিলা, তবে বাইক আরোহীর হেলমেট না থাকায় গুরুতর মাথায় চোট পান, তবে গাড়িতে থাকা মহিলার পরিচয় জানতে পারা যায় বাইক চালকের ভাগ্নি, বাড়ি হাওড়া জেলার কোন নগরে শ্রাদ্ধ বাড়িতে এসেছিলেন সূত্রে খবর ।বাইক চালকের বাড়িতে শ্রাদ্ধ বাড়ি চলাকালীন ওই ভাগ্নিকে নিয়ে বেড়াতে যান মামা,বেড়াতে গিয়ে ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে প্রচন্ড মদ্যপান অবস্থায় গাড়ি চালানো এই দুর্ঘটনা বলেই অনুমান এলাকার মানুষের। তবে জয়পুর থানার পুলিশ দুর্ঘটনগ্রস্ত বাইক আরোহীর বাড়িতে খবর দেয় এই দূর ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন বাড়ির আত্মীয়-স্বজনেরা কিভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা কি বলছেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হওয়া মামার ভাগ্নি চলুন দেখাবো আপনাদের।
    বাঁকুড়ার জয়পুর থেকে রঞ্জিত কুণ্ডুর রিপোর্ট বাংলা সার্কেল নিউজ।

  • জগন্নাথ দেবের ছাপান্ন ভোগ উপলক্ষে হাজারেরো বেশি ভক্ত সমাগম হাটআশুড়িয়ায়।

    জগন্নাথ দেবের ছাপান্ন ভোগ উপলক্ষে হাজারেরো বেশি ভক্ত সমাগম হাটআশুড়িয়ায়।

    জগন্নাথ দেবের ছাপান্ন ভোগ উপলক্ষে হাজারেরো বেশি ভক্ত সমাগম হাটআশুড়িয়ায়।

    আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বিগত দশ বছর ধরে হাটআশুড়িয়ায় রথ যাত্রা মহোৎসবের আয়োজন করছে হাটআশুড়িয়ার ইসকন নামহট্ট। রবিবার ছাপান্ন রকমের ভোগ দেন ভক্তরা।পোলাও, পায়েস, নানান তরিতরকারি সহ হরেক রকমের মিষ্টি বানান ভক্তরাই।আটদিন ধরেই প্রসাদ খাওয়ানো হয় এলাকার মানুষকে।প্রতিদিন সন্ধ্যায় ভক্তিমূলক গান, নাচ, নাটক ও ধর্মীয় আলোচনার আয়োজন করা হয়।বড়জোড়া ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এই রথযাত্রা উৎসবে হাজির হন।সারাদিন ধরে চলে কীর্তন ও ধর্ম আলোচনা।ইসকন অনুমোদিত হাটআশুড়িয়া নামহট্টের পাবনী বিরোজা দেবীদাসী বলেন ছাপান্ন ভোগের দিন দেড় হাজার মানুষ অন্ন প্রসাদ গ্রহণ করেছেন। এখানে সব কিছু ভক্তরা নিজেরাই রান্না করেন।

    বাঁকুড়া থেকে আবদুল হাই এর রিপোর্ট

  • এগরা এক নম্বর ব্লকের পাঁজরুল গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল থেকে নির্দল প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে বহিষ্কার

    এগরা এক নম্বর ব্লকের পাঁজরুল গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল থেকে নির্দল প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে বহিষ্কার

    আর মাত্র কয়েকদিন বাকি পঞ্চায়েত ভোট ঠিক তার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা বিধানসভার এগ্রা এক নম্বর ব্লকের পাঁজরুল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার যারা নির্দল প্রার্থী ভোটে দাঁড়িয়েছে তারা একসময় তৃণমূল করত তাদেরকেই তৃণমূলের দল থেকে বহিষ্কার করা হয় রাজ্যে সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বার্তা দিয়েছিলেন যারা নির্দল প্রার্থী দেবে তাদেরকে দলে রাখা যাবেনা, সেই নির্দেশক্রমে এগরা বিধানসভার বিধায়কের কথামতো নির্দল প্রার্থীদের বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারের উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিজন সাউ অঞ্চল সভাপতি অশোক দাস মহিলা নেত্রী মানসী দে এবং তৃণমূল নেতা মুক্তাজুল এই অনুষ্ঠানে কয়েকশ তৃণমূল সমর্থক উপস্থিত ছিলেন বহিষ্কার করা হয় তৃণমূলের নির্দল প্রার্থী শংকর মিশ্র এবং আশীষ মহাপাত্র কে এখন দেখা যাক পাঁচুরুল অঞ্চলে নির্দল বহিষ্কার করার পর ৮ই জুলাই কতটা ভোট তৃণমূলের দিকে আসে সেটাই প্রশ্ন থেকে যায় পূর্ব মেদিনীপুর থেকে অংশুমান পন্ডা রিপোর্ট

  • ভারতবর্ষের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে বাড়ি ফিরলেন বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের তিন যুবক।

    ভারতবর্ষের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে বাড়ি ফিরলেন বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের তিন যুবক

    ভারতবর্ষের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে বাড়ি ফিরলেন বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের তিন যুবক

    ওরিশাই ভয়াবহ ট্রেইন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল চেন্নাই গামী করমন্ডল এক্সপ্রেস, বালেশ্বর এর কাছে লাইনচ্যুত হয় এই করমন্ডল ট্রেইন, একটি মালগাড়ীর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলেই অধিকাংশ বগি লাইনচ্যুত হয়,, আর এই ট্রেইন এ চেপে জয়পুর ব্লকের 3 যুবক কাজের সূত্রে সূদুর চেন্নাইয়ে পারি দিয়েছিলেন গতকাল সকালে, বিষ্ণুপুর থেকে ট্রেনে চেপে খড়গপুর থেকে চেন্নাই এর উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন পারিজিয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একেবারে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ভারতবর্ষের ইতিহাসে এরকম বড় মাপের ট্রেন দুর্ঘটনা। কেউ দেখেননি। আর সেই দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন এই বাঁকুড়ার তিন যুবক ভগবানের কৃপায় একেবারেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন, অল্প একটু চোট লাগলেও তেমন কিছু হয়নি বলেই জানা এই তিন যুবক। জয়পুর থানার পুলিশ বিষ্ণুপুর থেকে জয়পুরে বাসে নামার পর রেসকিউ করে জয়পুর থানায় নিয়ে আসেন তাদের শারীরিক পরীক্ষা করার পর থানার পুলিশের গাড়ি করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

    তবে দুর্ঘটনার খবর কি? বাড়ির সদস্যরা গ্রামবাসীরা খুব উৎকণ্ঠায় দিন কাটছিল। কিছুসময় আগে 3 বন্ধু বাড়ি ফিরে আসায় স্বাভাবিক ভাবে বলা যায় চিন্তা কমলো গ্রামবাসীদের,,,

    বাঁকুড়ার জয়পুর থেকে রঞ্জিত কুন্ডুর রিপোর্ট বাংলা সার্কেল নিউজ।

  • 12 চাকা লরি ও বিয়ে ঘরের কোণে বোঝায় ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘ মৃত এক আহত কমপক্ষে দশেরও বেশি,দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কতুলপুর থানার অন্তর্গত মির্জাপুরে,

    12 চাকা লরি ও বিয়ে ঘরের কোণে বোঝায় ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘ মৃত এক আহত কমপক্ষে দশেরও বেশি,দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কতুলপুর থানার অন্তর্গত মির্জাপুরে,

    12 চাকা লরি ও বিয়ে ঘরের কোণে বোঝায় ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘ মৃত এক আহত কমপক্ষে দশেরও বেশি,দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কতুলপুর থানার অন্তর্গত মির্জাপুরে,

    রঞ্জিত কুণ্ডু–বাঁকুড়া
    সূত্রের খবর বাঁকুড়ার জয়পুর থানার অন্তর্গত ছাতিনা থেকে মেয়ে বাড়ির লোকজন – একলখিতে ট্রাক্টরে চেপে বিয়ে বাড়ির আশীর্বাদ পর্ব করতে গিয়েছিলেন একদল আদিবাসী সমাজের পুরুষ মহিলারা,
    ফেরার পথে কোতুলপুর থানার অন্তর্গত মির্জাপুর সংলগ্ন মেইন রোডে ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা ,,, ঘটনাস্থলে থাকা ব্যাক্তিরা বলেন জয়পুর দিক থেকে কোতুলপুর দিকে রওনা দেওয়া একটি 12 চাকা লরি বেসামাল হয়ে সজোরে ধাক্কা মারে উল্টো দিকে আসা কন্যা পক্ষের তরফে থাকা ট্রাক্টরে , সাথেসাথে পাল্টি হয় উভয় গাড়ী 2 টি,
    আর ওই ধাক্কার জেরে ট্রাক্টরে থাকা ব্যাক্তিরা ছিটকে পড়ে যান বেশ কয়েকজন,আর কিছু জন চাপা যায় ট্রাক্টরের ডালার নীচে,,, এতটাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা, দ্রুত ছুটে আসেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও পড়ে কোতুলপুর থানায় খবর দেয়া হলে ছুটে আসেন কোতুলপুর থানার পুলিশ।আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কোতুলপুর গ্রামীন হাসপাতালে পাঠালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি দেখে এখন পর্যন্ত 3 জনকে বাঁকুড়া মেডিকেলে স্থানান্তরিত করেছে এবং আহতদের পাশাপাশি 1 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়,,,

    এতটাই ভয়াবহ দুর্ঘটনা যে পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে jcb ও ক্রেইন এর সাহায্যে নিয়ে পাল্টি হওয়া গাড়ি গুলিকে তুলানোর চেষ্টা করেন এবং তাঁর ভিতরে কোনো ব্যক্তি এখনো চাপা রয়েছেন কিনা সেদিকে নজর রেখেছেন,,,,,,
    বাঁকুড়ার কোতুলপুর থেকে রঞ্জিত কুন্ডুর রিপোর্ট বাংলা সার্কেল নিউজ।

    বাইট :-

    ১) কৃষ্ণ হেমব্রম ।

  • একই হসপিটালে বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে বাঁকুড়া জেলার ওন্দা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভে স্বাস্থ্য কর্মীরা।

    একই হসপিটালে বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে বাঁকুড়া জেলার ওন্দা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভে স্বাস্থ্য কর্মীরা

    একই হসপিটালে বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে বাঁকুড়া জেলার ওন্দা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভে স্বাস্থ্য কর্মীরা


    ওন্দা:- হাসপাতালে কর্মরত ওয়ার্ড বয়, ওয়ার্ড গার্লস, নিরাপত্তা রক্ষী, সাফাই কর্মী, সুপারভাইজার সহ সকল স্বাস্থ্যকর্মী আজ বিক্ষোভ আন্দোলনে নেমেছেন। গত সাত বছর ধরে ওন্দা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে কাজ করে আসছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, আজো বেতন সেই ৭,৬০০ টাকা বর্তমানে ১০৩ জন এই বেতনে নিযুক্ত আছেন। অন্যদিকে আরো অনেক কর্মী রয়েছে তাদের বেতন ১০ হাজারের বেশি। ১০৩ জন কর্মী সকলের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে একই বেতনে কাজ করে আসছেন, বর্তমানে মূল্য বৃদ্ধির বাজারে কর্মীরা যে বেতন পায় তাতে তাদের সংসার চলে না। এমনকী যেখানে বেতন বাড়ার কথা সেখানে বেতন কমানো হচ্ছে বলে দাবি করেন কর্মীরা। এছাড়াও পে স্লিপ, পি এফ, ই এস আই, বোনাস, ন্যায্য বেতন প্রতিবছর বেতন নির্দিষ্ট হারে বাড়ানোর দাবিতে এবং প্রতিমাসের ৫ তারিখের মধ্যে বেতন সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনে অনড় হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা। এছাড়াও সঠিক সময়ে বেতন না পাওয়ার অভিযোগ তুলে দাবি করছেন হাসপাতালের কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মীরা।
    হাসপাতালে যেখানে বেশি সংখ্যক কর্মী থাকা দরকার সেখানে ১০৩ জনকে দিয়ে বর্তমানে কাজ করানো হচ্ছে বলেও এমনও দাবি করেন কর্মীরা। কোম্পানিকে বারংবার আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সুরাহার কথা লিখিত ভাবে জানিয়েও কোম্পানি এই বিষয়ে কোন কর্ণপাত করেননি।
    অবিলম্বে তাদের বেতন সহ নানান দাবীর যে বিষয়গুলো আছে তা সুরাহা না হলে এমার্জেন্সি পরিষেবা চালু রেখে, রোগীদের পরিষেবার যাতে করে কোন অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রেখে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাসপাতালে কর্মীবৃন্দরা।
    বাঁকুড়া থেকে রঞ্জিত কুন্ডুর রিপোর্ট বাংলা সার্কেল নিউজ।

  • বাঁকুড়ায় তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।

    বাঁকুড়ায় তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে

    বাঁকুড়ায় তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে
    রঞ্জিত কুণ্ডু–বাঁকুড়া

    আগামী ১৮ তারিখ বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়াতে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা জুড়ে আরো কর্মসূচি হয়েছে ১৯ ও ২০ তারিখ। সেই কারণেই বাঁকুড়া শহরের বাঁকুড়া ২ নং ব্লকের ডি এ ভি স্কুল সংলগ্ন একটি মাঠে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।

    আগামী কাল বৃহস্পতিবার নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে দূর্গাপুর থেকে বাঁকুড়ার মাটিতে পা রাখবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন দিন ধরে চলবে নবজোয়ার কর্মসূচি। জেলার একাধিক জায়গায় সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারি বাঁকুড়া জেলা জুরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক সভাস্থল ঘুরে ঘুরে দেখছেন প্রশাসনিক অধিকারীকরা। তেমনই জেলার নেতা নেত্রীরা নিজেদের দলীয় প্রস্তুতি বৈঠক করে চলেছেন। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরেই বাঁকুড়ার মাটিতে পা রাখবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
    এই বিষয়ে বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৬০ দিনের কর্মসূচি নিয়ে তিনি বেরিয়েছেন। বাঁকুড়া জেলায় তিনি আসছেন তার জন্য আমরা খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত। সারা জেলা জুড়ে চলছে প্রস্তুতি , সমস্ত জায়গায় একটা সাজে সাজো রব। তিনি জেলার একাধিক জায়গায় রোড শো করবেন এবং সভা করবেন তার সাথে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলবে।

    তবে এ বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বাঁকুড়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা। তিনি বলেন, বাঁকুড়ার মাটি অত সহজ জিনিস নয় আপনার মাটি শক্ত খাঁটি এখানে ছুরি-চামারি লুটপাট কারীদের আর মানুষ নেবে না। তিনি আরো বলেন, প্রার্থী বাছাই নয়, কিভাবে গুন্ডাগিরি করবে তার জন্য এখানে পেশীবলের কর্মী কালেকশন করছে। কিভাবে গুন্ডাগিরি করে ব্যালট বাক্স লুট করবে।