Category: রাঢ় বঙ্গ

  • কন্যাশ্রীরা কন্যাশ্রীর জমানো টাকা খরচ করে তীব্র গরমে শরবত বিতরণ করলেন।

    কন্যাশ্রীরা কন্যাশ্রীর জমানো টাকা খরচ করে তীব্র গরমে শরবত বিতরণ করলেন

    কন্যাশ্রীরা কন্যাশ্রীর জমানো টাকা খরচ করে তীব্র গরমে শরবত বিতরণ করলেন

    রঞ্জিত কুন্ডু–বাঁকুড়া

    প্রখর বৈশাখের কাঠফাটা রোদ্দুর। তীব্র দহন জ্বালায় মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। পথ ক্লান্ত পথযাত্রীরা গরমে নাজেহাল। এই প্রথম ক্লান্ত যাত্রীদের তৃষ্ণার জল দিয়ে, নুন চিনি লেবুর শরবত দিয়ে তীব্র দহন জ্বালা থেকে সাময়িক স্বস্তি দিল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের রাজ খামার হাই স্কুলের কন্যাশ্রী প্রাপ্ত ছাত্রীরা। কন্যাশ্রীর টাকা জমিয়ে তাদের এই মহৎ উদ্যোগ সকলকে মুগ্ধ করেছে। কন্যাশ্রী ছাত্রীদের এই অভিনব উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার যোগ্য। পথ চলতি মানুষ থেকে শুরু করে, বাস যাত্রী, ড্রাইভার, খালাসী, যে কোন গাড়ির চালক, পথযাত্রীদের তৃষ্ণার জল, শরবত দান করে ছাত্র জীবনের একটি মানবিক পুণ্য কর্মে তারা সামিল। বাদ গেলোনা পুলিশ গাড়িও। পুলিশ গাড়িতে পুলিশ অফিসারদের ও জল আর শরবত গ্রহণ করতে দেখা গেল। যে কাজ বড় বড় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার করা উচিত, গ্রাম এবং শহরের ক্লাব গুলোর করা উচিত, করা উচিত অর্থ বান প্রভাবশালীদের। সেটা করে দেখালো কচি কাঁচা ছাত্রীরা। তাও আবার তাদের কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে পাওয়া অর্থ খরচ করে! ভাবলে সত্যি খুব বিস্ময় জাগে! তারা দেখিয়ে দিল সদিচ্ছা থাকলে সব কাজ করা যায়। সে গল্পটির কথা মনে পড়ে গেল শিকারির জালে পড়া সিংহ উদ্ধারে ইন্দুরের মহান কর্ম। কিংবা রামায়ণে ছোট্ট কাঠবিড়ালির সেতুবন্ধনে সহযোগিতার কথা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দুতে সিন্ধু তৈরি হয়। যেকোনো ছোট উপকার ফেলনা নয়। এই ছোট উপকারগুলিই বৃহত্তর জীবনে অনেক বড়সড়ো উপকার করার প্রেরণা যোগায়। বড় মনে ছোট উপকার মানুষের অনেক কাজে আসে।

  • তীব্র দাবদাহে সমস্যায় বাঁকুড়ার ইটভাঁটার শ্রমিকরা

    তীব্র দাবদাহে সমস্যায় বাঁকুড়ার ইটভাঁটার শ্রমিকরা

    তীব্র দাবদাহে সমস্যায় বাঁকুড়ার ইটভাঁটার শ্রমিকরা

    তন্ময় নন্দী, বাঁকুড়া

    তীব্র দাবদাহে ফুটছে বাংলা, সমস্যায় বাঁকুড়ার ভাঁটা শ্রমিকরা। সবে চৈত্র মাস পেরিয়ে আজ বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ। বাঁকুড়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা, তাপমাত্রা প্রায় 43 ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। আর মুহূর্তে তাপমাত্রার রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৫ডিগ্রি বেশি। এই অবস্থায় তীব্র সংকটে ইঁট ভাঁটার শ্রমিকরা। আগে তারা কাজ করত বেলা একটা পর্যন্ত এখন সাড়ে ৯টার পর আর কাজ করা যাচ্ছে না ফলে আগের তুলনায় রোজগারেও টান ফলের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন এই শ্রমিকরা। মূলত ইঁট ভাঁটার শ্রমিকরা সকালে ২৫০০ থেকে ৩০০০ ইঁট বহন করে টাকা পায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা মত এবং বিকেলেও কাজ করে ১০০০ ইঁটের সেখানে সবে মিলিয়ে প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হত। এই তীব্র রোদের চোখ রাঙা নিতে টা এসে দাড়িয়েছে ১৫০ – ২০০ টাকাতে ফলে স্বভাবতই টান পড়ছে শ্রমিকদের সংসারে ।

  • পুকুরের মাছকে কেন্দ্র করে বিবাদ মালিক গোষ্ঠীর, থানায় অভিযোগ দায়ের

    পুকুরের মাছকে কেন্দ্র করে বিবাদ মালিক গোষ্ঠীর, থানায় অভিযোগ দায়ের

    পুকুরের মাছকে কেন্দ্র করে বিবাদ মালিক গোষ্ঠীর, থানায় অভিযোগ দায়ের

    তন্ময় নন্দী,রাইপুর,বাঁকুড়া

    মঙ্গলবার সকালে বাঁকুড়া জেলার রাইপুর ব্লকের কেন্দুয়াপাড়া গ্রামের দে পুকুরের মাছ পচে যাচ্ছে আর এর জেরেই মালিক গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই পুকুরের মোট ৬ জন মূল অংশীদার। এছাডাও এই অংশীদারদের মধ্যে অনেক শাখা অংশীদার আছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন পরিবারের মধ্যে কম বেশি ভাগ হয় মাছ। আজ সকালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বচসা ছড়ায় ওই গ্রামে। অংশীদারদের কয়েকজনের দাবি পুকুরের মাছ মরে ভেসে যাচ্ছে এবং সেগুলি পচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করছে। যার ফলে এখানে বাস করা দূর্বি সহ হয়ে পড়েছে। অসুবিধায় পড়েছে পুকুরের পড়ে থাকা পারিবারের লোক জনেরা। এই পরিবারের এক মহিলা গর্ভবতী রয়েছেন দূর্ঘন্ধের জন্য ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন আমাদের কাছে দাবি করেন। অপর কয়েকজন অংশীদারের দাবি আমরা তো মাছ ধরতে বাধা দিই নি। আজ মাছ ধরতে জেলে আসার কথা কিন্তু আজ জেলে আসেনি। জানা গিয়েছে পুকুরে বছরে প্রায় সাত থেকে নয় কুইন্টাল মাছ বিক্রি করা হয়। আর যে মাছ মারা গেছে তারও পরিমাণ প্রায় দেড় কুইন্টাল। বিশেষ সূত্র থেকে জানা যায় এই পুকুরের মালিকানাদের বিবাদ আজকের নয়। গত বছর মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে পুকুরের মালিকের বিবাদ পৌঁছায় কোর্ট পর্যন্ত। বারবার এই ঘটনায় বিরক্ত মালিকদের একাংশ। গ্রামের বাসিন্দারা জানান এই বিবাদ আজকের নয়, এরা থানায় এক পক্ষ অপর পক্ষের নামে অভিযোগ করে।

  • বোমা তৈরীর আতর ঘর এখন বীরভূম জেলা,ফের বীরভূমে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ।

    বোমা তৈরীর আতর ঘর এখন বীরভূম জেলা,ফের বীরভূমে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা

    বোমা তৈরীর আতর ঘর এখন বীরভূম জেলা,ফের বীরভূমে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা

    মোহাম্মদ ফিরোজ-বীরভূম

    এবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো তৃণমূলের পার্টি অফিসে । ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায় । ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাঁরুই থানার অন্তর্গত বাতিকার পঞ্চায়েতের খুষ্টিগিড়ি গ্রামের তৃনমুল পার্টি অফিস । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পার্টি অফিসে মজুত করে রাখা হয়েছিল বোমা । সেই বোমাই বিস্ফোরণ
    হয় সোমবার সন্ধ্যায় । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জনবহুল এলাকায় এই পার্টি অফিসটি রয়েছে। এছাড়াও সারাদিনই এই পার্টি অফিসে বহু তৃণমূল কর্মীর যাতায়াত থাকে। কিন্তু তা সত্বেও কোন হতাহত হয়নি কারণ রমজান মাস চলছে তাই রোজা খোলার জন্য পার্টি অফিস থেকে সবাই নিজে নিজের বাড়ি ফিরে গিয়েছিল পার্টি অফিস বন্ধ করে। এই পাটি অফিস বন্ধ থাকাকালীনই সোমবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণ হয় । ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পাঁরুই থানার পুলিশ । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান , সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আর তাই বোমা মজুত করা হয়েছিল এই পাটি অফিসে । অতিরিক্ত গরমের কারণেই ভেতরে রাখা সেই বোমা ফেটে যায় । তবে কতগুলি বোমা রাখা ছিল তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি ।

    প্রসঙ্গত, এই পারুই খানারই ভেড়ামারী গ্রামে কয়েক সপ্তাহ আগে বাড়ির শৌচালয়ে মজুদ করে রাখা বোমা ফেটে উড়ে যায় বাড়ির একাংশ। তারপরও একাধিকবার বারুই থানার বিভিন্ন গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় বোমা। তারই মধ্যে এবার তৃণমূল পার্টি অফিসে বিস্ফোরণ স্বাভাবিকভাবেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

  • লাভপুরে ফের বিস্ফোরক কাজল শেখ।বিজেপি নেতাদেরকে লাঠি ঝাঁটা মরার নিদান তৃনমূল নেতার।

    লাভপুরে ফের বিস্ফোরক কাজল শেখ।বিজেপি নেতাদেরকে লাঠি ঝাঁটা মরার নিদান তৃনমূল নেতার।

    লাভপুরে ফের বিস্ফোরক কাজল শেখ।
    বিজেপি নেতাদেরকে লাঠি ঝাঁটা মরার নিদান তৃনমূল নেতার।

    লাভপুরের জনসভা থেকে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের মহিলা কর্মীদেরকে নিদান দিলেন বীরভূম জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ। একশো দিনের কাজের টাকা, ঘরের টাকা সহ একাধিক খাতের টাকা রাজ্যকে দিচ্ছে না কেন্দ্র। সেই বঞ্চনার প্রতিবাদে আজ লাভপুর মহিলা তৃনমূল কংগ্রেসের কর্মীদেরকও নিয়ে লাভপুর ফুল্লরা মন্দির থেকে লাভপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত একটি পদযাত্রা করেন লাভপুর ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা, বীরভূম জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল প্রমুখ। সেই মিছিল শেষেই লাভপুর নতুন বাসস্ট্যান্ডে একটি জনসভা করেন তারা, সেই সভা মঞ্চ থেকেই দলের মহিলা কর্মীদেরকে কাজল শেখ নিদান দেন বিজেপির নেতাদেরকে লাঠি ঝাঁটা মারার।

    কাজী আমীরুল ইসলামের রিপোর্ট।।

  • ৬ দফা দাবির ভিত্তিতে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের ডাকে অনির্দিষ্টকালীন ঝাড়গ্রাম জেলাশাসক কার্যালয় ঘেরাও

    ৬ দফা দাবির ভিত্তিতে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের ডাকে অনির্দিষ্টকালীন ঝাড়গ্রাম জেলাশাসক কার্যালয় ঘেরাও

    ৬ দফা দাবির ভিত্তিতে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের ডাকে অনির্দিষ্টকালীন ঝাড়গ্রাম জেলাশাসক কার্যালয় ঘেরাও

    তন্ময় নন্দী, ঝাড়গ্রাম

    পূর্ব ঘোষিত অনুযায়ী সোমবার ১৭ ই এপ্রিল অনির্দিষ্টকাল ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসককে অনির্দিষ্টকাল ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। সেই মতো ঝাড়গ্রামে আজ সকাল থেকেই সেই অনির্দিষ্টকালীন জেলাশাসক ঘেরাও কর্মসূচি সকাল থেকেই চলছে। খবর পরিবেশন হওয়ার আগে অবধি, এই অনির্দিষ্টকালীন ঘেরাও কর্মসূচি চলছে বলে জানা গিয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাতারে কাতারে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ এসে এই ডিএম অনির্দিষ্টকালীন ঘেরাও কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন। এমনকি পড়শি জেলা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া থেকেও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই অনির্দিষ্টকালীন জেলাশাসক ঘেরাও কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন। ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল, ভারতীয় আদিবাসী ভূমিজ সমাজ, পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি,পাঠৌয়ৌ গাঁওতা (আদিবাসী ছাত্র সংগঠন), খেরওয়াল মাচেৎ মাডোয়া (আদিবাসী শিক্ষক সংগঠন) সহ একাধিক সামাজিক সংগঠনের কর্মকর্তাগন এবং তাদের সদস্যরা এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন। এখনও অবধি যা খবর আন্দোলন জারি রয়েছে। সংঘটনের পক্ষ থেকে জানানো হয় সদ উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি জারি থাকবে। ওই সম্প্রদায়ের মোট কয়েক হাজার মানুষ যোগ এদিন । আদিবাসী সাঁওতাল সমাজের মূল দাবি সাঁওতালি মাধ্যমে পৃথক সাঁওতালি শিক্ষা বোর্ড, অ-আদিবাসী কুড়মি সম্প্রদায়কে এস টি করা যাবে না। বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ হয়ে যাওয়া আদিবাসী হস্টেল গুলি পুনরায় অতি দ্রুত চালু করা সহ একাধিক দাবিকে সামনে রেখে অনির্দিষ্টকাল ডিএম ঘেরাও কর্মসূচি অব্যাহত থাকছে। ঝাড়গ্রামে সকাল থেকেই আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ প্রশাসন,এদিন নিরাপত্তা বলয় সঠিক রাখতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেট ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। উপস্থিত ছিলেন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল জেলা গোডেৎ সমায় হাঁসদা,জগ পারগানা বিভীষণ হাঁসদা, জেলা পারানিক সূর্যকান্ত মুর্মু, এবং পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি বৈদ্যনাথ হাঁসদা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন।

  • শুভেন্দুর জনসভায় ও পদযাত্রায় যোগ দিতে মানুষের জনজোয়ারে ৬০ নং জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ

    শুভেন্দুর জনসভায় ও পদযাত্রায় যোগ দিতে মানুষের জনজোয়ারে ৬০ নং জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ

    শাসকদলের নেতাদের কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে আজ বিকালে পদযাত্রা ও জনসভা বাঁকুড়ার ওন্দাতে।*

    নিজস্ব প্রতিনিধি:-
    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা শোভা করলেন বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আজ বিকালে হাজার হাজার বললে ভুল হবে তারও বেশি সংখ্যক কটকটে রোদ কে উপেক্ষা করে পদযাত্রায় শামিল হলে বহু মানুষ। জনসভা ও পদযাত্রায় কোনো সরকারি বাস ছিল না ছিলনা লক্ষ লক্ষ টাকার সরকারি কোষাগার থেকে খরচা করে বাইরে থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে এসে এলাকায় এলাকায় লোককে চাপিয়ে জনসভায় নিয়ে আসর কোন পরিকল্পনা লক্ষ্য করা যায়নি। তবুও প্রচুর মানুষ গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহ কে উপেক্ষা করে ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় বক্তব্য শোনার জন্য হাজির হয়েছিলেন। একের পর এক শাসক দলের নেতা সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তো দাগেন,বাঁকুড়ার বালি থেকে মাটি কয়লা থেকে পাথর সবেতেই শাসকদলের হাতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বাঁকুড়ার ধন সম্পদ,সেই নিয়ে একাধিক ভাষায় তোক দাগেন। শুধু তাই নয় রাজ্যের পুলিশ যে একেবারেই দলদাসের পরিণত হয়েছে সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন,তিনি বলেন বাঁকুড়ায় বারোটি বিধায়ক এর মধ্যে আটটিতেই বিজেপির বিধায়ক সেখানে এলাকার উন্নয়নে কোনদিন প্রশাসনিকভাবে এমএলএদের ডাকেন না উন্নয়ন নিয়ে একটি কোথাও বলেন না শুধু তাই নয় স্কুল কলেজের কমিটির নেতা-নেত্রীরা তো বসে আছেন শাসক দল তৃণমূলের কেডারেরা, স্কুলের উন্নয়নে জন্য তারা কি ভাবেন? ভাবেন না। তৃণমূলের শুধু কাজ তোলা তুলা আর কাঠ মানির ভাগ নবান্নে পৌঁছে দেয়া। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট সেই ভোট নিয়ে তিনি দলের কর্মীদের সোজাগ সতর্ক ও একজোট হয়ে কাজ করার নিদান দিয়ে যান। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন শাসকদল তৃণমূলকে একটি ভোটও নয় এলাকার উন্নয়নের জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি বার্তা দিয়ে গেলেন।

  • কি যুগ পড়লো,চোরকে চুরি করতে হলো গরমের চোটে সিলিং ফ্যান

    কি যুগ পড়লো,চোরকে চুরি করতে হলো গরমের চোটে সিলিং ফ্যান

    ফের বীরভূমের জয়দেব কেন্দুলী পুলিশ ফাঁড়ির সবচেয়ে বড় সাফল্য

    মোহাম্মদ ফিরোজ–বীরভূম
    ফের কেন্দুলী ফাঁড়ির পুলিশের বড় সাফল্য,গত ১২ই এপ্রিল ২০২৩ রাত্রে জয়দেব কেন্দুলি গেস্ট হাউসের তালা ভেঙ্গে চুরি যায় দুটি ইলেকট্রিক সিলিং ফ্যান। চেষ্টা হুশের কেয়ারটেকার অশোক কুমার সাহা গেস্ট হাউস খুলে দেখেন তালা ভাঙ্গা। সঙ্গে সঙ্গে জয়দেব পুলিশ ফাঁড়িতে তিনি কমপ্লেন করেন। আইসি সাকিব সাহেবের নেতৃত্বে একটি টিম গেস্ট হাউস টি পরিদর্শন করেন এবং সিলিং ফ্যান চুরির ঘটনাটি তদন্তে নেমে পড়েন। মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে পুলিশ চোরসহ মাল রিকভারি করেন। সংবাদ সূত্রে প্রকাশ জয়দেব গ্রামেরই এক বাসিন্দা যুবক এই চুরির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। গেস্ট হাউস টি জনবহুল এলাকা থাকা সত্ত্বেও পাঁচির টপকে সকলের চোখের আড়ালে তালা ভেঙ্গে এই ফ্যান সেই চুরি করে। পুলিশ যুবকটিকে গ্রেপ্তার করে ইলামবাজার থানায় চালান করে এবং সেখান থেকে কোর্টে তোলা হয়। যুবককে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে।

  • ঝা চকচকে রাস্তা পেতে গিয়ে ভাঙ্গা পড়ছে ঘর,সঠিক মাপে রাস্তা হোক প্রতিবাদ জানিয়ে পথ অবরোধ বাঁকুড়ার সারেঙ্গায়

    ঝা চকচকে রাস্তা পেতে গিয়ে ভাঙ্গা পড়ছে ঘর,সঠিক মাপে রাস্তা হোক প্রতিবাদ জানিয়ে পথ অবরোধ বাঁকুড়ার সারেঙ্গায়

    ঝা চকচকে রাস্তা পেতে গিয়ে ভাঙ্গা পড়ছে ঘর,সঠিক মাপে রাস্তা হোক প্রতিবাদ জানিয়ে পথ অবরোধ সারেঙ্গায়

    তন্ময় নন্দী,বাঁকুড়া

    রবিবাসরীয় সকাল থেকেই অবরোধ সারেঙ্গায়।
    সারেঙ্গা চৌরাস্তা মোড়ে চার নম্বর রাজ্য সড়কের উপর পথ অবরোধ শুরু। ঘটনাস্থলে সারেঙ্গা থানার পুলিশ। উপস্থিত আই সি সুজিত ভট্টাচার্য্য। সকাল প্রায় ১০ টা নাগাদ শুরু হয় অবরোধ। সারেঙ্গা বাসীর পক্ষ থেকে এই অবরোধ করা হয়। সারেঙ্গা পিড়রগাড়ী মোড় থেকে ব্রাহ্মণডিহা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে কয়েকমাস আগেই। পূর্ত দফতর থেকে রাস্তার দুই পাশের যে সীমানা নির্ধারন করা হয়েছে তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে একাংশের। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সঠিক মাপ করে রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হোক। তাদের আরো অভিযোগ, প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে চৌরাস্তা মোড় থেকে ব্রাহ্মণডিহা রাস্তার দুই পাশের যে সীমানা নির্ধারন করা হয়েছে সেই সীমানা অনুযায়ী যাদের বাড়ি বা দোকান রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই সেই সীমানা মেনে দোকান বা বাড়ি ভাঙেননি। প্রশাসন থেকে তাদের বারবার বলার পরেই পরেও তারা প্রশাসন নির্ধারিত সীমানা অনুযায়ী দোকান বাড়ি ভেঙে ফেলেননি বলে অভিযোগ। অবিলম্বে সঠিক সীমানা নির্ধারন ও সেই অনুযায়ী রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করার দাবীতে এই অবরোধ বলে জানা গেছে।

  • আবারো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একের পর এক শালগাছ ভেঙে ঢুকে পড়ল জয়পুর জঙ্গলে দ্রুত গতিতে যাওয়া লরি, ঘটনায় আহত এক

    আবারো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একের পর এক শালগাছ ভেঙে ঢুকে পড়ল জয়পুর জঙ্গলে দ্রুত গতিতে যাওয়া লরি, ঘটনায় আহত এক

    আবারো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একের পর এক শালগাছ ভেঙে ঢুকে পড়ল জয়পুর জঙ্গলে দ্রুত গতিতে যাওয়া লরি, ঘটনায় আহত এক

    রঞ্জিত কুণ্ডু–বাঁকুড়া
    জয়পুর থেকে বিষ্ণুপুর দিকে যাওয়ার পথে দ্রুত গতিতে যাওয়ার ফলে আজ দুপুর তিনটায় দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে নেমে জঙ্গলের মাঝে ঢুকে পড়ল লরি, ঘটনায় আহত এক ।সূত্রের খবর প্রচন্ড দাবদাহে রাস্তা ফাঁকা থাকার কারণে সেই রকম ভাবে দুর্ঘটনা ঘটেনি তা না হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। তবে গাড়ির গতিবেগ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে একের পর এক গাছ ভেঙে জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে যায় লরি। ওই এলাকা দিয়ে স্থানীয় মানুষজন যাবার পথে দেখতে পান আহত অবস্থায় গাড়ির ড্রাইভার লরিটিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মেরে পড়ে রয়েছে সাথে সাথে উদ্ধার করে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। তারপরে খবর দেয়া হয় জয়পুর থানা ও বিষ্ণুপুর থানায় কারণ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, জয়পুর ও বিষ্ণুপুর ব্লকের বর্ডার সংলগ্ন বিষ্ণুপুরের এলাকায় ।দুটি ব্লকের থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে কিভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছে বলেই জানতে পারা যাচ্ছে।