Category: রাঢ় বঙ্গ

  • অযোধ্যা পাহাড়ে সিধু কানুর মূর্তি বসানোকে কেন্দ্র করে ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ।

    অযোধ্যা পাহাড়ে সিধু কানুর মূর্তি বসানোকে কেন্দ্র করে ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ।

    সোমবার পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের ময়ূর পাহাড় পার্কিং এর পাশে এক রায়তি জমিতে জোর করে মূর্তি বসানোর অভিযোগ ওঠে। জানা যায় সেখানে সিধু কানুর মূর্তি বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিল :

    অযোধ্যা পাহাড় উন্নয়ন কমিটি’ একটি সংগঠন। মূর্তি বসানোর সময় ওই জমি নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। স্থানীয় মাতকমডি গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ টুডুর দাবী, ওই জমির মালিক তিনি। বহু বছর ধরে ওই জমিতে চাষ করে আসছেন।


    ওই রায়তী জায়গা দখল করে মূর্তি বসানোর কাজে বাধা দিতে যান ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল ও প্রকৃতি বাঁচাও আদিবাসী বাঁচাও কমিটির সদস্যরা। তারা প্রশ্ন তোলেন, কেন গ্রাম সভা ও জমির মালিকের অনুমতি ছাড়া এখানে কাজ হচ্ছে?কার মূর্তি বসানো হচ্ছে?

    কিন্তু এই প্রশ্ন তুলতেই “অযোধ্যা উন্নয়ন কমিটি” নামক ওই সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে গ্রামের মানুষরা তর্কে জড়িয়ে পড়ে। বচসা থেকে গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। পরবর্তীতে লাঠি নিয়েও একে অপরকে মারধর শুরু করে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলতে থাকে। এই ঘটনা চলাকালীন পুলিশ পুরো ঘটনায় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ ওঠে বরং যখন আদিবাসী গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ করতে যায়, তখন বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ চালায়, এমনকি বয়স্ক মহিলা ও স্কুলছাত্রীদের পর্যন্ত মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। পরবর্তীতে পুলিশ ছয় জনকে আটক করে নিয়ে যায়।

    পুলিশ যাদের ধরে নিয়ে যায়, তারা প্রত্যেকেই অযোধ্যা পাহাড় রক্ষা আন্দোলনের পরিচিত মুখ – তারা হলেন উক্ত জমির মালিক হিসেবে দাবিদার সুভাষ টুডু, বনাধিকার কমিটির সভাপতি সুনিল টুডু, গ্রাম সভার সভাপতি মদন মুর্মু সহ নকুল বাস্কে, রঘুনাথ হেমব্রম, মোমচাঁদ মুর্মু।
    অযোধ্যা পাহাড়ের এই মানুষগুলো সব সময় পাহাড়, জঙ্গল, জলাশয় রক্ষা এবং আদিবাসী অধিকার নিয়ে কাজ করে আসছেন এমনটাই দাবী এলাকাবাসী।এরা ঠুরগা প্রকল্প, বন কেটে রিসোর্ট তৈরি, পাহাড় থেকে আদিবাসীদের তাড়ানোর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তাই অনেকের ধারণা, তাদের চুপ করাতে ইচ্ছা করে পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।


    পুলিশের দ্বারা আটক হওয়া ছয়জনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পরবর্তীতে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বাগমুন্ডির থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অযোধ্যা পাহাড়ের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। জানাযায় গভীর রাত পর্যন্ত থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান অযোধ্যা পাহাড়ের কয়েকশত আদিবাসী পুরুষ ও মহিলা।

  • ভুয়ো এস টি সার্টিফিকেট নিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে পড়ছেন কলেজ ছাত্রী তাকে বহিষ্কারের দাবিতে কলেজে আন্দোলন পথ অবরোধ আদিবাসীদের।

    ভুয়ো এস টি সার্টিফিকেট নিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে পড়ছেন কলেজ ছাত্রী তাকে বহিষ্কারের দাবিতে কলেজে আন্দোলন পথ অবরোধ আদিবাসীদের।

    বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে আছড়ে পড়ল আদিবাসীদের বিক্ষোভ। একই দাবিতে মেডিক্যাল কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ২০২১ সালে নিট কোয়ালিফাই করে এসটি সংরক্ষিত আসনে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন জুহি কোলে নামের এক ছাত্রী। সেই ছাত্রী এখন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ফাইনাল ইয়ারে পড়াশোনা করছেন। সম্প্রতি তাঁর ব্যবহার করা এসটি সার্টিফিকেট ভুয়ো বলে প্রমানিত হয়। আর এরপরই নড়েচড়ে বসে বাঁকুড়া সহ জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা। অবিলম্বে ওই ছাত্রীকে বহিস্কার করা এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেয় আদিবাসীরা। সেই অনুযায়ী আজ বাঁকুড়া শহরে ধামসা মাদল ও প্রথাগত অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার পাশাপাশি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের লোকপুর ক্যম্পাসের পাশের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। অবরোধের জেরে শহরের মূল প্রবেশ পথে আটকে পড়ে যানবাহন।

    আদিবাসী সমাজের দাবি জুহি কোলের এসটি সংশাপত্র বাতিলের পর তাঁকে বহিস্কারের আবেদন জানানো হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পরেও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। আদিবাসী সমাজের অভিযোগ অ আদিবাসীদের ভুয়ো এসটি সার্টিফিকেট দেওয়া থেকে শুরু করে ভুয়ো সার্টিফিকেট প্রমাণিত হওয়ার পরেও অভিযুক্তদের ব্যবস্থা না নেওয়া সবকিছুতেই কাজ করছে একটি চক্র। জুহি কোলে সম্পর্কে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    কর্তৃপক্ষের দাবি অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের মাধ্যমে ওই পড়ুয়ার সংশাপত্র যাচাই করে তারপরেই তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। এখন তাঁর এসটি সার্টিফিকেট ভুয়ো প্রমাণিত হওয়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ এলে সেই মোতাবেক পদক্ষেপ করা হবে।
    পজ্ঞানন কুন্ডু প্রিন্সিপাল
    ছবি কাউকে দিয়োনা

  • ত্রাণ শিবিরে থাকা ব্যক্তিরা খাবার পাচ্ছে না বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ আর সেই ত্রান শিবির পরিদর্শন রাজ্যের মন্ত্রী

    ত্রাণ শিবিরে থাকা ব্যক্তিরা খাবার পাচ্ছে না বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ আর সেই ত্রান শিবির পরিদর্শন রাজ্যের মন্ত্রী

    ত্রাণ শিবিরে খাবার না মেলায় পথ অবরোধ দুর্গতদের, রাজ্যের মন্ত্রীর পরিদর্শনে চাঞ্চল্য।

    একদিকে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের ত্রাণ শিবির পরিদর্শন, অন্যদিকে ত্রাণ না মেলায় ক্ষুব্ধ দুর্গতরা রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ! শনিবার বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের পাঁচমুড়া হাই স্কুল ত্রাণ শিবির ঘুরে দেখে রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক দাবি করেন, “আগে বাম আমলে মানুষ গাছে উঠে বাঁচতো, এখন রাজ্য সরকারই দুর্গতদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করছে।”

    কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি যেন মুখের কথার সঙ্গে মেলেনি। তালডাংরারই রাধানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকা প্রায় ৬০টি পরিবার জানায়, গতকাল রাত থেকে কোনও খাবার পৌঁছায়নি তাঁদের কাছে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে দুর্গতরা তৃণমূলের পতাকা হাতে রাধানগর এলাকায় তালডাংরা-পাঁচমুড়া রাস্তা অবরোধ করে। তাঁদের অভিযোগ, বহুবার ফোন করেও পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কোনও জনপ্রতিনিধির সাড়া মেলেনি।

    অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, যারা নিজেরাই তৃণমূল কর্মী বলছেন, তাঁরাই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে পথ অবরোধে নামেন।

    মন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় ১,০০৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার তাদের পাশে রয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন দুর্গতদের খাবার জোগাতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন ? রাজ্য সরকার যখন ত্রাণ ব্যবস্থাকে ঢাল হিসেবে তুলে ধরছে, তখন মাঠে এমন চিত্র একপ্রকার প্রশাসনিক ব্যর্থতাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়।

    জেলাশাসক সিয়াদ এন, পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারী, মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি, সভাধিপতি অনসূয়া রায় সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর সঙ্গে। ত্রাণ সামগ্রীও বিলি হয়। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় ত্রাণ বিতরণ কি শুধুই কাগজে-কলমে ? মাঠে যে ক্ষোভের বিস্ফোরণ, তা কি শাসকের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে ?

  • বাঁকুড়া জেলায় বন্যা পরিস্থিতি একে বারে উদ্বেগজনক, ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪৯টি গ্রাম

    বাঁকুড়া জেলায় বন্যা পরিস্থিতি একে বারে উদ্বেগজনক, ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪৯টি গ্রাম

    গত ১৭ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণের ফলে বাঁকুড়া জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গত ৭২ ঘন্টায় গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে প্রায় ১৯২.৯ মিমি।

    ১৮ জুন সকালে যেখানে বৃষ্টি ছিল ৪৫.৩ মিমি, ১৯ জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮.২ মিমি।

    এই বৃষ্টির জেরে জেলার ২২টি ব্লকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলির মধ্যে রয়েছে – বাঁকুড়া-I ও II, ছাতনা, ওন্দা, কোতুলপুর, জয়পুর, ইন্দাস, তালডাঙরা, সিমলাপাল ও সারেঙ্গা। বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী – এই তিনটি পৌরসভাও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত।

    মোট ১০৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৩৪৯টি গ্রাম বন্যায় আক্রান্ত। পাশাপাশি বাঁকুড়া পৌরসভার ৬টি, বিষ্ণুপুরের ১৯টি এবং সোনামুখীর ৬টি ওয়ার্ড ক্ষতিগ্রস্ত।

    জলের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে আজ ৪৩,৭৫০ কিউসেক জল ছাড়ে ডিভিসি। এছাড়া শিলাবতী ব্যারেজ থেকে ৩৫০০ কিউসেক ও ভৈরব বাঁকি ব্যারেজ থেকে ১৬৯০ কিউসেক জল ছাড়া হয়। তবে মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে এখনো কোনো জল ছাড়া হয়নি।

    এপর্যন্ত ৯৯০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২০৫টি সম্পূর্ণ ও ৭৮৫টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। প্রশাসনের তরফে ১০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে, যার মধ্যে বর্তমানে ৭টি চালু রয়েছে এবং সেখানে ৫৩০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বিতরণ করা হয়েছে ২৩,২৮২টি ত্রিপল, ১৩ মেট্রিক টন চাল ও ২০০০টি পোশাক।

    জেলায় ১২টি কজওয়ে প্লাবিত হওয়ায় যান চলাচল ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্স মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। জেলার প্রতিটি ব্লক, মহকুমা ও সদর দপ্তরে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু রয়েছে।

    বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফে জনগণকে সতর্ক থাকতে এবং প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।

  • ছোট্ট আখিঁ মাজী ছোট থেকে একটি বিরল রোগে আক্রান্ত ওকে সবাই মিলে বাঁচান, সকলের সহযোগিতায় হয়তো ফিরে পাবে জীবন।

    ছোট্ট আখিঁ মাজী ছোট থেকে একটি বিরল রোগে আক্রান্ত ওকে সবাই মিলে বাঁচান, সকলের সহযোগিতায় হয়তো ফিরে পাবে জীবন।

    সকলকে পোস্টটি পড়ার জন্য অনুরোধ করছি:-


    বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটী থানার ভাড়াডিহী গ্রামের ছোট্ট আখিঁ মাজী ছোট থেকে একটি বিরল রোগে আক্রান্ত, ওর শরীরে Blood তৈরি হয় না। রোগের নাম:

    ডায়মন্ড-ব্ল্যাকফ্যান অ্যানিমিয়া (DBA) একটি বিরল জেনেটিক রোগ। Ankhi-র বেঁচে থাকার লড়াই যেন বিরাট Challenge হয়ে দাঁড়িয়েছে, ছোটো থেকে ওর পরিবার চিকিৎসা করিয়ে যাচ্ছে Chennai Apollo Hospital এ। কিন্তু ডাক্তারবাবুরা জানিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওর (Bone Marrow Transplant) করতে হবে।
    (Bone Marrow Transplant) আনুমানিক 40 লাখ টাকার প্রয়োজন।

    এতো টাকা কোথায় কিভাবে পাবে তার পরিবার চিন্তায় আছে। তাই সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ যে যতটুকু পারবেন সাহায্য করে, এই বাচ্চাটাকে সুস্থ করে তুলুন।

    এই পোস্টটি সকলকে শেয়ার করুন। আপনাদের এই ছোট্ট শেয়ার ও সহযোগিতা আগামী দিনে আঁখিকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করবে। আপনাদের এই সহযোগিতা বাচ্চাটাকে নতুন জীবন দান করবে।। ঈশ্বর আপনাদের সকলের মঙ্গল করুক ও ভালো থাকবেন।।

    শিশুটির নাম -আঁখি মাজী
    বাবার নাম-মিঠু মাজী
    গ্রাম-ভাড়াডিহী, পোষ্ট- লছমনপুর, থানা-গঙ্গাজলঘাটী, জেলা-বাঁকুড়া পিন-722133
    Mob:-9641935244

  • জলের তোরে শিলাবতী নদীর সেতুর মাঝে আটকে গেল লরি শহ চালক ও খালাসী, উদ্ধারে স্থানীয় বাসিন্দারা।

    জলের তোরে শিলাবতী নদীর সেতুর মাঝে আটকে গেল লরি শহ চালক ও খালাসী, উদ্ধারে স্থানীয় বাসিন্দারা।

    একটানা বৃষ্টিতে ডুবল শিলাবতীর সিমলাপাল সেতু, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে, সেতুতে আটকে একাধিক ট্রাক, ট্রাকগুলিতে আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার করল স্থানীয় বাসিন্দারা


    লাগাতার বৃষ্টিতে ডুবলো বাঁকুড়ার সিমলাপাল সেতু। আজ ভোর থেকে ওই সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে। বিপদজনক অবস্থায় থাকা ওই সেতু দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে সেতুর উপর আটকে যায় তিনটি ট্রাক। ট্রাকে থাকা ব্যক্তিদের পরে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু সিমলাপাল সেতুই নয় শিলাবতী নদীর জলে ডুবেছে ভেলাইডিহা সেতুও।

    বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের উপর থাকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেতু সিমলাপাল সেতু। গত পরশু থেকে বাঁকুড়া জেলায় একটানা বৃষ্টির ফলে গতকাল রাত থেকেই এই সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে। সেতুর উপর দিয়ে বইতে থাকা জলের বেগ আন্দাজ করতে না পেরে সেতু পারাপারের সময় সেতুর মাঝখানে আটকে পড়ে তিনটি ট্রাক।

    বিপজ্জনকভাবে সেতুর উপর আটকে থাকা ওই ট্রাকগুলি থেকে আটকে পড়া ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করেন। বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম এর মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে অসংখ্য সাধারণ মানুষ।

  • সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে নতুন কার্যালয় কে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মাঝে দুষ্কৃতীদের হাতে মার খেলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।

    সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে নতুন কার্যালয় কে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মাঝে দুষ্কৃতীদের হাতে মার খেলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।

    সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন কার্যালয় তৈরীকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মাঝেই এবার দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অনুরোধ বাউরী ।

    গতকাল সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন কার্যালয় তৈরীকে কেন্দ্র করে,একাধিক পঞ্চায়েতের সদস্য ও গ্রামবাসীরা মিলে বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ ডেপুটেশন কর্মসূচি ন্যায় এলাকার মানুষ।
    আর সেই রেস কাটতে না কাটতেই এবার আজকে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে তুলে নিয়ে গিয়ে মার ধরের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।


    তার দাবী তিনি যখন তার কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছিলেন সেই সময় কয়েক জন দুষ্কৃতী তাকে সাহারজোড়া গ্রামে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে এবং অশ্লালীন আচরণ করে বলেই অভিযোগ।


    এই অবস্থায় তিনি বড়জোড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি আজ বুধবার বিকালে শীতলা বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঁচটি গ্রামের মানুষকে নিয়ে সভা করা করে ।


    এই বিষয়ে আক্রান্ত শিক্ষক তথা বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তিনি জানান সাহারজোড়া গ্রামে গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন ভবন হবে না ভবন হবে শীতলা গ্রামে এই ভবন কি বলছেন শুনুন।

  • কংসাবতী ক্যানেলের লক গেট ভেঙে পড়ে গুরুতর যখন এক,তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হলো বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে,অবস্থা আশঙ্কাজনক

    কংসাবতী ক্যানেলের লক গেট ভেঙে পড়ে গুরুতর যখন এক,তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হলো বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে,অবস্থা আশঙ্কাজনক

    কেনেল পোলের তোলার গর্ত দিয়ে জল নামা দেখতে গিয়ে কংসাবতী ক্যানেলের লক গেট ভেঙে পড়ে গুরুতর যখন এক। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হলো বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে, অবস্থা আশঙ্কাজনক।


    ঘটনা বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের রাউৎখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের সুজারগড় গ্রামে।
    স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এখন এমনিতেই ক্যানেলে কোন জল নেই হঠাৎ কেনেলপোলের গত্ত দিয়ে জল বের হতে থাকে আর সেই জল বের হতে যাওয়া দেখতে যান ওই বছর ৪৫ এর ব্যক্তি ষষ্ঠী লোহার পিতা মোথুর লোহার সেই সময় কাধে ছিল গামছা সেই গামছাটা কোনক্রমে পড়ে যায় লকেটের নিচে আর সেই গামছা আনতে গিয়ে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

    লক গেটের একদিকের তার ছিড়ে পড়ে যায় গায়ের উপর জাপা পড়ে যান লকেটের নিচে, শব্দ শুনে ছুটে আছেন পাড়া-প্রতিবেশী উদ্ধার করা হয় ওই ব্যক্তিকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়, জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আর এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসলো কংসাবতী ক্যানেল কর্তৃপক্ষ, দ্রুত সাড়াইয়ের কাজ শুরু করে দেন সুজার গড় কংসাবতী ক্যানেল পোল লগ গেটের।

    ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন কংসাবতী ক্যানেল সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা এমনটাই জানান এলাকার মানুষ, তারা জানান এই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হওয়া ব্যক্তির যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে হসপিটাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারে,প্রশাসন যাতে এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ায় তার জন্য আহ্বান জানান,
    কি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা সুকুমার লোহার চলুন শোনাবো আপনাদের।

  • বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই প্যালেস্তাইন সংহতি কর্মসূচীতে নামলো বামেরা।

    বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই প্যালেস্তাইন সংহতি কর্মসূচীতে নামলো বামেরা।

    বর্ষণকে উপেক্ষা করেই বাঁকুড়া শহরে পালিত হলো প্যালেস্তাইন সংহতি কর্মসূচী

    বাঁকুড়া, ১৭ই জুন, ২০২৫

    চলছে দিনভোর বৃষ্টি – সেই বৃষ্টিতে উপেক্ষা করেই বাঁকুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র মাচানতলা চত্বরে প্যালেস্তাইনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তথা গাজা ভূখন্ড-সহ সমগ্র প্যালেস্তাইনে অবিলম্বে ইসরাইলের জীয়নবাদী সরকারের গণহত্যা বন্ধের দাবী জানিয়ে বামপন্থী দলসমূহের দেশজুড়ে প্যালেস্তাইন সংহতি দিবস পালনের আহ্বানের সাথে সাযুজ্য রেখে মিছিল ও সভায় সামিল হলেন বামপন্থী দলসমূহের কর্মী সমর্থকরা।

    মিছিল থেকে দাবী উঠলো, “মার্কিন মদতে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ কর”, “প্যালেস্তাইন ভূখন্ড থেকে অবিলম্বে ইসরাইল হাত ওঠাও”, “অবিলম্বে গাজা ভূখন্ডে রাস্ট্রসংঘের সংঘর্ষ বিরতি প্রস্তাব কার্যকরী করতে হবে”, “যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা ভূখন্ডের মানুষদের অনাহার ও অর্ধাহারের হাত থেকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহে সমস্ত বাধা দূর করতে হবে”, “মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ইসরাইলকে মদত প্রদান বন্ধ কর”, “যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু নিপাত যাক”, “গণহত্যাকারী নেতানিয়াহু’র ক্ষমা নেই”, “মোদী সরকার ইসরাইলকে পরোক্ষে মদত প্রদান বন্ধ কর”, “গণহত্যা ও সংঘর্ষ বন্ধে ভারত সরকারকে সদার্থক ভূমিকা পালন করতে হবে” – মিছিল শেষে মাচানতলা মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় এক অতি সংক্ষিপ্ত সভা। এই সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) নেতা প্রতীপ মুখার্জী।

    ২০মাস ১১দিন ধরে চলতে থাকা এই সংঘর্ষ ৬৯৫৮০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন, ১ লক্ষ ২৯ হাজার মানুষ হয়েছেন আহত বা জখম, নিখোঁজ হয়েছেন ১৪০০০ মানুষ, বোমাবর্ষণ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৪০০ স্কুলবাড়ী ও ৭০০ হাসপাতাল, গৃহহীন হতে হয়েছে ১৯ লক্ষ মানুষকে আর ধ্বংস হয়ে গেছে গাজা ভূখন্ডের ৯২% ঘরবাড়ী এমনকি বোমাবর্ষণ করা হয়েছে ত্রাণ শিবিরগুলিতেও তা সভাতে তুলে ধরা হয়।

    যে ভারতবর্ষ প্যালেস্তাইন ভূখন্ডের ৫৫% জমি দিয়ে ইসরাইল রাস্ট্র গঠনের বিরোধীতা করেছিল, ইয়াসের আরাফত তথা প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলও’কে দিয়েছিল প্যালেস্তাইন জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি, প্যালেস্তাইনকে রাস্ট্র হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি এবং হয়ে উঠেছিল জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের নেতা আজ সেই দেশেরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার সরকার যেভাবে ইসরাইল তথা তাদের মদতদাতা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে তুষ্ট করতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে ভূমিকা পালন করছে তার প্রতিও ধিক্কার জানানো হয়।


    এই কর্মসূচীতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অশোক ব্যানার্জী, প্রভাত রায়[সিপিআই(এম)], ভাস্কর সিংহ, কল্যাণ সিংহ(সিপিআই), বাবলু ব্যানার্জী [সিপিআই(এমএল)], বিশ্বজিত সিংহ, শৌভিক বিশ্বাস(ফরওয়ার্ড ব্লক), শান্তনু অধূর্য্যয(আরএসপি) প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। – এছাড়াও উদয় অধূর্য্য, মানস ভট্টাচার্য প্রমুখ এআইপিএসও নেতৃত্বও সামিল হয়েছিলেন এই কর্মসূচীতে।

  • তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের গ্রামে কেন হবে ভবন এই প্রশ্ন তুলে বৃষ্টির মধ্যেই জলে ভিজে বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা।

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের গ্রামে কেন হবে ভবন এই প্রশ্ন তুলে বৃষ্টির মধ্যেই জলে ভিজে বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা।

    কোথায় এমন ঘটনা ঘটলো দেখুন তাহলে,সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভবন সাহারজোড়া গ্রামে না হয়ে শীতলা গ্রামে কেন হবে এই প্রশ্ন তুলে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বড়জোড়ার বিডিওর কাছে ডেপুটেশন দিয়ে স্মারকলিপি জমা দিলেন সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সহ একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য।এই পঞ্চায়েতের স্থায়ী ভবন না থাকায় অস্থায়ী ভাবে নানা জায়গায় অফিস করে পঞ্চায়েতের পরিষেবা হয়েছে বলে জানান প্রতিবাদী প্রাক্তন প্রধান গৌতম মন্ডল। তিনি বলেন, প্রথমে মুক্তাতোড় গ্রামে পঞ্চায়েত অফিস ছিল। সেখান তা স্থানান্তরিত হয় কোচকুন্ডা গ্রামে।

    বর্তমানে শীতলা গ্রামে একটি ভাড়া ঘরে অস্থায়ী পঞ্চায়েত অফিস চলে। গৌতমবাবুর দাবি সাহারজোড়া পঞ্চায়েত অফিস সাহারজোড়া গ্রামে হলে ১২ খানা গ্রামের সুবিধা হবে। কিন্তু তা শীতলায় হলে ২ টি গ্রামের সুবিধা হবে। তার অভিযোগ বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান তারাপদ ঘোষের বাড়ি শীতলা গ্রামে হওয়ায় তিনি কোনো পঞ্চায়েত সদস্যের মতামত বা মিটিং না করে স্থায়ী ভবন নির্মাণ নিজের গ্রামে করিয়ে নিতে চাইছেন। সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৪ টি গ্রাম ও ১২ টি সংসদ রয়েছে। তার মধ্যে ১০ জন তৃনমূলের এবং ১ জন করে বিজেপি ও সিপিআইএম প্রার্থী রয়েছেন।

    এই ১২ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৭ জন স্মারকলিপিতে সাক্ষর করেছেন। পঞ্চায়েত প্রধান তারাপদ ঘোষ বলেন, শীতলা গ্রামে বহু বছর ধরে পঞ্চায়েত অফিস রয়েছে। রাজ্য সড়কের উপর হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। ব্যাঙ্ক, পোষ্ট অফিস সবই আছে। মানুষ এক জায়গায় সমস্ত পরিষেবা পাবেন।

    সেজন্য সরকার এখানেই পঞ্চায়েত অফিস নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন।বিষয়টি নিয়ে বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। এনিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশ চাওয়া হবে বলেই তিনি জানান।