বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটী থানার ভাড়াডিহী গ্রামের ছোট্ট আখিঁ মাজী ছোট থেকে একটি বিরল রোগে আক্রান্ত, ওর শরীরে Blood তৈরি হয় না। রোগের নাম:
ডায়মন্ড-ব্ল্যাকফ্যান অ্যানিমিয়া (DBA) একটি বিরল জেনেটিক রোগ। Ankhi-র বেঁচে থাকার লড়াই যেন বিরাট Challenge হয়ে দাঁড়িয়েছে, ছোটো থেকে ওর পরিবার চিকিৎসা করিয়ে যাচ্ছে Chennai Apollo Hospital এ। কিন্তু ডাক্তারবাবুরা জানিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওর (Bone Marrow Transplant) করতে হবে। (Bone Marrow Transplant) আনুমানিক 40 লাখ টাকার প্রয়োজন।
এতো টাকা কোথায় কিভাবে পাবে তার পরিবার চিন্তায় আছে। তাই সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ যে যতটুকু পারবেন সাহায্য করে, এই বাচ্চাটাকে সুস্থ করে তুলুন।
এই পোস্টটি সকলকে শেয়ার করুন। আপনাদের এই ছোট্ট শেয়ার ও সহযোগিতা আগামী দিনে আঁখিকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করবে। আপনাদের এই সহযোগিতা বাচ্চাটাকে নতুন জীবন দান করবে।। ঈশ্বর আপনাদের সকলের মঙ্গল করুক ও ভালো থাকবেন।।
একটানা বৃষ্টিতে ডুবল শিলাবতীর সিমলাপাল সেতু, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে, সেতুতে আটকে একাধিক ট্রাক, ট্রাকগুলিতে আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার করল স্থানীয় বাসিন্দারা
লাগাতার বৃষ্টিতে ডুবলো বাঁকুড়ার সিমলাপাল সেতু। আজ ভোর থেকে ওই সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে। বিপদজনক অবস্থায় থাকা ওই সেতু দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে সেতুর উপর আটকে যায় তিনটি ট্রাক। ট্রাকে থাকা ব্যক্তিদের পরে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু সিমলাপাল সেতুই নয় শিলাবতী নদীর জলে ডুবেছে ভেলাইডিহা সেতুও।
বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের উপর থাকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেতু সিমলাপাল সেতু। গত পরশু থেকে বাঁকুড়া জেলায় একটানা বৃষ্টির ফলে গতকাল রাত থেকেই এই সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে। সেতুর উপর দিয়ে বইতে থাকা জলের বেগ আন্দাজ করতে না পেরে সেতু পারাপারের সময় সেতুর মাঝখানে আটকে পড়ে তিনটি ট্রাক।
বিপজ্জনকভাবে সেতুর উপর আটকে থাকা ওই ট্রাকগুলি থেকে আটকে পড়া ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করেন। বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম এর মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে অসংখ্য সাধারণ মানুষ।
সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন কার্যালয় তৈরীকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মাঝেই এবার দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অনুরোধ বাউরী ।
গতকাল সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন কার্যালয় তৈরীকে কেন্দ্র করে,একাধিক পঞ্চায়েতের সদস্য ও গ্রামবাসীরা মিলে বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ ডেপুটেশন কর্মসূচি ন্যায় এলাকার মানুষ। আর সেই রেস কাটতে না কাটতেই এবার আজকে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে তুলে নিয়ে গিয়ে মার ধরের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
তার দাবী তিনি যখন তার কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছিলেন সেই সময় কয়েক জন দুষ্কৃতী তাকে সাহারজোড়া গ্রামে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে এবং অশ্লালীন আচরণ করে বলেই অভিযোগ।
এই অবস্থায় তিনি বড়জোড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি আজ বুধবার বিকালে শীতলা বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঁচটি গ্রামের মানুষকে নিয়ে সভা করা করে ।
এই বিষয়ে আক্রান্ত শিক্ষক তথা বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তিনি জানান সাহারজোড়া গ্রামে গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন ভবন হবে না ভবন হবে শীতলা গ্রামে এই ভবন কি বলছেন শুনুন।
কেনেল পোলের তোলার গর্ত দিয়ে জল নামা দেখতে গিয়ে কংসাবতী ক্যানেলের লক গেট ভেঙে পড়ে গুরুতর যখন এক। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হলো বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে, অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনা বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের রাউৎখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের সুজারগড় গ্রামে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এখন এমনিতেই ক্যানেলে কোন জল নেই হঠাৎ কেনেলপোলের গত্ত দিয়ে জল বের হতে থাকে আর সেই জল বের হতে যাওয়া দেখতে যান ওই বছর ৪৫ এর ব্যক্তি ষষ্ঠী লোহার পিতা মোথুর লোহার সেই সময় কাধে ছিল গামছা সেই গামছাটা কোনক্রমে পড়ে যায় লকেটের নিচে আর সেই গামছা আনতে গিয়ে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
লক গেটের একদিকের তার ছিড়ে পড়ে যায় গায়ের উপর জাপা পড়ে যান লকেটের নিচে, শব্দ শুনে ছুটে আছেন পাড়া-প্রতিবেশী উদ্ধার করা হয় ওই ব্যক্তিকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়, জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আর এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসলো কংসাবতী ক্যানেল কর্তৃপক্ষ, দ্রুত সাড়াইয়ের কাজ শুরু করে দেন সুজার গড় কংসাবতী ক্যানেল পোল লগ গেটের।
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন কংসাবতী ক্যানেল সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা এমনটাই জানান এলাকার মানুষ, তারা জানান এই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হওয়া ব্যক্তির যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে হসপিটাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারে,প্রশাসন যাতে এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ায় তার জন্য আহ্বান জানান, কি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা সুকুমার লোহার চলুন শোনাবো আপনাদের।
বর্ষণকে উপেক্ষা করেই বাঁকুড়া শহরে পালিত হলো প্যালেস্তাইন সংহতি কর্মসূচী
বাঁকুড়া, ১৭ই জুন, ২০২৫
চলছে দিনভোর বৃষ্টি – সেই বৃষ্টিতে উপেক্ষা করেই বাঁকুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র মাচানতলা চত্বরে প্যালেস্তাইনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তথা গাজা ভূখন্ড-সহ সমগ্র প্যালেস্তাইনে অবিলম্বে ইসরাইলের জীয়নবাদী সরকারের গণহত্যা বন্ধের দাবী জানিয়ে বামপন্থী দলসমূহের দেশজুড়ে প্যালেস্তাইন সংহতি দিবস পালনের আহ্বানের সাথে সাযুজ্য রেখে মিছিল ও সভায় সামিল হলেন বামপন্থী দলসমূহের কর্মী সমর্থকরা।
মিছিল থেকে দাবী উঠলো, “মার্কিন মদতে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ কর”, “প্যালেস্তাইন ভূখন্ড থেকে অবিলম্বে ইসরাইল হাত ওঠাও”, “অবিলম্বে গাজা ভূখন্ডে রাস্ট্রসংঘের সংঘর্ষ বিরতি প্রস্তাব কার্যকরী করতে হবে”, “যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা ভূখন্ডের মানুষদের অনাহার ও অর্ধাহারের হাত থেকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহে সমস্ত বাধা দূর করতে হবে”, “মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ইসরাইলকে মদত প্রদান বন্ধ কর”, “যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু নিপাত যাক”, “গণহত্যাকারী নেতানিয়াহু’র ক্ষমা নেই”, “মোদী সরকার ইসরাইলকে পরোক্ষে মদত প্রদান বন্ধ কর”, “গণহত্যা ও সংঘর্ষ বন্ধে ভারত সরকারকে সদার্থক ভূমিকা পালন করতে হবে” – মিছিল শেষে মাচানতলা মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় এক অতি সংক্ষিপ্ত সভা। এই সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) নেতা প্রতীপ মুখার্জী।
২০মাস ১১দিন ধরে চলতে থাকা এই সংঘর্ষ ৬৯৫৮০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন, ১ লক্ষ ২৯ হাজার মানুষ হয়েছেন আহত বা জখম, নিখোঁজ হয়েছেন ১৪০০০ মানুষ, বোমাবর্ষণ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৪০০ স্কুলবাড়ী ও ৭০০ হাসপাতাল, গৃহহীন হতে হয়েছে ১৯ লক্ষ মানুষকে আর ধ্বংস হয়ে গেছে গাজা ভূখন্ডের ৯২% ঘরবাড়ী এমনকি বোমাবর্ষণ করা হয়েছে ত্রাণ শিবিরগুলিতেও তা সভাতে তুলে ধরা হয়।
যে ভারতবর্ষ প্যালেস্তাইন ভূখন্ডের ৫৫% জমি দিয়ে ইসরাইল রাস্ট্র গঠনের বিরোধীতা করেছিল, ইয়াসের আরাফত তথা প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলও’কে দিয়েছিল প্যালেস্তাইন জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি, প্যালেস্তাইনকে রাস্ট্র হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি এবং হয়ে উঠেছিল জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের নেতা আজ সেই দেশেরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার সরকার যেভাবে ইসরাইল তথা তাদের মদতদাতা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে তুষ্ট করতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে ভূমিকা পালন করছে তার প্রতিও ধিক্কার জানানো হয়।
এই কর্মসূচীতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অশোক ব্যানার্জী, প্রভাত রায়[সিপিআই(এম)], ভাস্কর সিংহ, কল্যাণ সিংহ(সিপিআই), বাবলু ব্যানার্জী [সিপিআই(এমএল)], বিশ্বজিত সিংহ, শৌভিক বিশ্বাস(ফরওয়ার্ড ব্লক), শান্তনু অধূর্য্যয(আরএসপি) প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। – এছাড়াও উদয় অধূর্য্য, মানস ভট্টাচার্য প্রমুখ এআইপিএসও নেতৃত্বও সামিল হয়েছিলেন এই কর্মসূচীতে।
কোথায় এমন ঘটনা ঘটলো দেখুন তাহলে,সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভবন সাহারজোড়া গ্রামে না হয়ে শীতলা গ্রামে কেন হবে এই প্রশ্ন তুলে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বড়জোড়ার বিডিওর কাছে ডেপুটেশন দিয়ে স্মারকলিপি জমা দিলেন সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সহ একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য।এই পঞ্চায়েতের স্থায়ী ভবন না থাকায় অস্থায়ী ভাবে নানা জায়গায় অফিস করে পঞ্চায়েতের পরিষেবা হয়েছে বলে জানান প্রতিবাদী প্রাক্তন প্রধান গৌতম মন্ডল। তিনি বলেন, প্রথমে মুক্তাতোড় গ্রামে পঞ্চায়েত অফিস ছিল। সেখান তা স্থানান্তরিত হয় কোচকুন্ডা গ্রামে।
বর্তমানে শীতলা গ্রামে একটি ভাড়া ঘরে অস্থায়ী পঞ্চায়েত অফিস চলে। গৌতমবাবুর দাবি সাহারজোড়া পঞ্চায়েত অফিস সাহারজোড়া গ্রামে হলে ১২ খানা গ্রামের সুবিধা হবে। কিন্তু তা শীতলায় হলে ২ টি গ্রামের সুবিধা হবে। তার অভিযোগ বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান তারাপদ ঘোষের বাড়ি শীতলা গ্রামে হওয়ায় তিনি কোনো পঞ্চায়েত সদস্যের মতামত বা মিটিং না করে স্থায়ী ভবন নির্মাণ নিজের গ্রামে করিয়ে নিতে চাইছেন। সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৪ টি গ্রাম ও ১২ টি সংসদ রয়েছে। তার মধ্যে ১০ জন তৃনমূলের এবং ১ জন করে বিজেপি ও সিপিআইএম প্রার্থী রয়েছেন।
এই ১২ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৭ জন স্মারকলিপিতে সাক্ষর করেছেন। পঞ্চায়েত প্রধান তারাপদ ঘোষ বলেন, শীতলা গ্রামে বহু বছর ধরে পঞ্চায়েত অফিস রয়েছে। রাজ্য সড়কের উপর হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। ব্যাঙ্ক, পোষ্ট অফিস সবই আছে। মানুষ এক জায়গায় সমস্ত পরিষেবা পাবেন।
সেজন্য সরকার এখানেই পঞ্চায়েত অফিস নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন।বিষয়টি নিয়ে বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। এনিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশ চাওয়া হবে বলেই তিনি জানান।
“মাওবাদী” হুমকি চিঠি নিয়ে তৃণমূল নেতাকে ঘিরে চাঞ্চল্য, কটাক্ষ বিজেপির- বুথ সভাপতির কাছে যদি ৫০ হাজার টাকার দাবি ওঠে, তবে বড় নেতাদের কাছে কত আছে ?
আবারও আতঙ্ক ছড়াল মাওবাদী হুমকির নামে। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে খাতড়া ব্লকের বৈদ্যনাথপুর অঞ্চলের মুকুন্দপুর গ্রামে প্রাক্তন বন কর্মী তথা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি দ্বিজপদ মিশ্রর কাছে এসে পৌঁছেছে এক হুমকির চিঠি।
চিঠিটি লেখা সাদা কাগজে লাল কালিতে, বানান ও ভাষাগত দিক দিয়ে প্রচুর ভুলে ভরা হলেও তাতে লেখা বক্তব্য যথেষ্টই ভয়াবহ এবং উদ্বেগজনক।
চিঠিতে লেখা রয়েছে – “মাওবাদী = সারেঙ্গা নাম = দ্বিজপদ মিশ্র মুকুন্দপুর তোমার নাতি দুটো আছে ভয়ঙ্কর হবে তোমকে- টাকা দিতে হবে টাকা মাওবাদী ফান্ডে জমা হযে টাকার পরিমান ৫০০০০ হাজার টাকা চাকরি নেই তাই ৫০০০০ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়ার ঠিকানা রাস্তায় বেরিয়ে ডান দিক পুকুর পাড় চাতল ঘাট নামিয়ে দিয়ে চলে আসবে রাত্রি সাড়ে এগারোটা টাকা না পেলে পরিনাম ভয়ঙ্কর হবে যদি না দাও তাহলে তোমর নাতি দুটো তুলে নিয়ে যাব তোমকে রাস্তায় গুলি কেরে দেবো
কোন চালাকি নয় কোন পুলিশ নয় পুলিশ তোমাকে কদিন আমোট-করবে আঘাট মাস চার 4 তারিখ রাস্তায় বেরিয়ে ডান দিক পুকুর পাড় চাতল ঘাট রাত্রি ১১.৩০ নামিয়ে দিয়ে চলে আসবে আমার লোক তোমাকে X = ফলো করবে ২৪ ঘন্টা = ইতি (মাওবাদী) বোমা ফেলবো একটা তোমার ঘরে – মাওবাদী। (1) দ্বিজপদ মিশ্র।”
কমা পূর্ণচ্ছেদ হীন বানান ও ভাষাগত ভুলে ভরা চিঠির প্রতিটি লাইনে স্পষ্ট প্রাণনাশ ও অপহরণের হুমকি। শিশুনাতিদের নাম টেনে হুমকি, টাকার অঙ্ক নির্ধারণ করে দেওয়া, নির্দিষ্ট সময় ও জায়গায় পৌঁছনোর নির্দেশ সব মিলিয়ে ঘটনা অত্যন্ত চিন্তাজনক।
চিঠির “মাওবাদী = সারেঙ্গা” লেখাটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সারেঙ্গা অঞ্চল থেকে বা নাম ব্যবহার করে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কেউ এই চিঠির সত্যতা বা উৎস নিশ্চিত করেনি।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে এই হুমকির নেপথ্যে আসলেই মাওবাদীরা, না কি কেউ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নিয়ে এই ভয়াবহ নাটক সাজিয়েছে ?
তবে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক জল বেশ খানিকটা ঘোলা হয়েছে। বিজেপি কটাক্ষ করেছে, “যদি এটা মাওবাদীরা করে থাকে, তাহলে তারা জানে কার কাছে কত চুরির টাকা আছে! একটা বুথ সভাপতির কাছেই যদি ৫০ হাজার টাকার দাবি আসে, তাহলে জেলা বা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে কত আছে, সেটা কি আন্দাজ করা যায় না ?
এই হুমকি চিঠি সত্যিই মাওবাদীদের তরফে কি না, নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনও ষড়যন্ত্র, তা এখন তদন্তেই বিষয়!
বাঁকুড়াঃ গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে। সোনামুখীর নারায়ণ সুন্দরীর বাসিন্দা দয়াময় চক্রবর্তীর অভিযোগ,শুক্রবার রাতে গর্ভ যন্ত্রণা নিয়ে তার স্ত্রীকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ইউএসজি করানো হলে জানা যায় গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ আছে। তারপরেই শুরু হয় রক্তক্ষরণ।
বারবার চিকিৎসককে জানালেও কোন ফল হয়নি। অবশেষে রবিবার গভীর রাতে চিকিৎসক সিজার করে মৃত সন্তান প্রসব করান।
সোমবার সকালে চিকিৎসার গাফিলতি তুলে রোগীর পরিবার পরিজনেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতাল সুপার না থাকায় তারা লিখিত অভিযোগ জমা দেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে। একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গোপাল দাস, তিনি কি বললেন চলুন শোনাবো আপনাদের।
দলের কর্মসূচীতে হাজির না থাকলে এবার জনপ্রতিনিধিদের সাম্মানিক বন্ধের হুঁশিয়ারি বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির, কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসুয়া রায়। সভাধিপতি পঞ্চায়েতের নিয়ম উল্লেখ করে বলেন, পঞ্চায়েতের পরপর তিনটি বৈঠকে জনপ্রতিনিধিরা গরহাজির থাকলে যেমন পঞ্চায়েত সদস্যদের সাম্মানিক বন্ধ হয়ে যায় তেমনই এরপর থেকে দলের বৈঠকে জনপ্রতিনিধিরা গরহাজির থাকলে তাঁদের সাম্মানিক বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সভাধিপতির এই বক্তব্য সামনে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি পঞ্চায়েতের তিন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট হারে সরকারি সাম্মানিক পান।
দলীয় কর্মসূচীতে গরহাজির থাকলে সেই সাম্মানিক আদৌ কী তৃনমূলের বন্ধ করার কোনো এক্তিয়ার রয়েছে ? বিজেপির দাবি এ রাজ্যে তৃনমূলের দলীয় কাজ ও সরকারি কাজ এক হয়ে গেছে।
বিজেপির কটাক্ষ তৃনমূলের স্বরূপ বুঝতে পেরে দলেরই জনপ্রতিনিধিদের একাংশ দলীয় কাজে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে তাদের উজ্জীবিত করতেই এখন তৃনমূল নেতৃত্বকে এমন হুঁশিয়ারি দিতে হচ্ছে।
বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে মধ্যরাতে তালা ভেঙে পুলিশের অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল বাঁকুড়া শহর।
রবিবার দুপুরে বিজেপির পক্ষ থেকে র্যালি করে বাঁকুড়া সদর থানায় এসে পৌঁছান নেতা-কর্মীরা। থানার মূল গেট আগেই বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। থানা ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়।
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাঁকুড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন রোড অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে।
বিজেপির অভিযোগ, শনিবার গভীর রাত ২টা নাগাদ বাঁকুড়া সদর থানার আইসির নেতৃত্বে, সদর থানার ও খাতড়া থানার পুলিশ দল যৌথভাবে নতুনগঞ্জে অবস্থিত বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে তালা ভেঙে ঢুকে পড়ে। পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করা হয়, এমনকি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও নষ্ট করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।
ঘটনার সময় খবর পেয়ে বিজেপি কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশ দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
এই ঘটনার প্রতিবাদেই আজ থানার ঘেরাও ও রোড অবরোধের কর্মসূচি নেয় বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে তারা।
পুলিশের পক্ষ থেকে যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।