Category: রাঢ় বঙ্গ

  • অনলাইন গেম খেলে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে জয়পুরের যুবতী মৃত্যুর ঘটনায় রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার যুবক।

    অনলাইন গেম খেলে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে জয়পুরের যুবতী মৃত্যুর ঘটনায় রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার যুবক।

    ২০২৪ সালে অনলাইন গেম খেলে প্রতারণার শিকার হয়ে শেষমেষ জীবন দিতে হয়েছিল বাঁকুড়ার জয়পুরের যুবতীকে, এবার সেই ঘটনায় রাজস্থান থেকে প্রতারক যুবকে গ্রেফতার করল জয়পুর থানার পুলিশ। আবারো জয়পুর থানা পুলিশের বড় সাফল্য।
    রাজস্থানের ভারত পাকিস্তানের বর্ডার এলাকা থেকে প্রতারক যুবককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে এলো বাঁকুড়ার জয়পুর থানার পুলিশি।


    পুলিশী রিমান্ডের আবেদন নিয়ে ওই প্রতারক যুবককে নিয়ে আরো তদন্তের স্বার্থে নিয়ে যাওয়া হল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে। বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
    জানা যায় ২০২৪ সালে বাঁকুড়া জয়পুর ব্লকের হেতিয়া নারায়ণপুর এলাকার এক যুবতী সদ্য গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে বাড়িতে এসেছিলেন।
    কয়েকদিনের মধ্যে শুরু করেছিল গেম খেলা আর সেই খেলায় চলে যাবে এক মেধাবী ছাত্রীর জীবন কল্পনাও করতে পারেনি গ্রামবাসী তো বটেই তার নিজের মা-বাবা।
    একই মায়ের ক্যান্সার তার উপর বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে সুপ্রীতি মণ্ডল পিতা অংশুমান মন্ডল ও মা রুপা মন্ডল।।

    সদ্য বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজ থেকে বি এ ফার্স্ট ডিভিশনে পাস করে ভর্তি হয়েছিল জয়পুর ডি এল এড কলেজে।
    বাড়িতে ছিল মাত্র 10 থেকে 15 টা দিন তার মধ্যেই বাড়ির লোকের অজান্তেই শুরু করেছিল অনলাইন গেম খেলা। আর সেই খেলা খেলতে গিয়ে ব্ল্যাকমেল এর শিকার হয়ে খোয়া গিয়েছিল ব্যাংক একাউন্ট থেকে নগদ ২৬ হাজার টাকা, তারপরেই যুবতী বাড়িতে সুসাইড নোট লেখে জীবন দিয়ে চলে গিয়েছিল না ফেরার দেশে।
    আর নিজের একমাত্র মেয়ে কে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল বাবা-মা। খবর দেওয়া হয় জয়পুর থানায়,জয়পুর থানার পুলিশ শুরু করে তদন্ত ।


    সেই সময় তদন্ত ভার দেয়া হয় জয়পুর থানার এসআই কৃষ্ণ প্রসাদ মান্ডি কে, তখন থেকেই শুরু করে তদন্ত উদ্ধার করা হয় সুসাইড নোট ও ব্যাংক একাউন্টের ডিটেলস, সেখান থেকেই শুরু হয় তদন্ত আর তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারেন রাজস্থানের হনুমান নগর জেলার ফে ফনা গ্রামের এক ব্যক্তি যার নাম শচীন ইন্দরিয়া, তার একাউন্টে এই টাকা ট্রান্সফার হয়। আর বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর পেয়ে অনলাইন গেম প্রতারকদের খোঁজে চলে তল্লাশি।


    অবশেষে রাজস্থানের হনুমান নগর জেলা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে জয়পুর থানার পুলিশ। আর এই প্রতারক যুবক গ্রেফতার হতেই একমাত্র মেয়ে হারা মা ও বাবা এই দোষী প্রতারকের যাতে ফাঁসি হয় সেই আবেদন রাখলেন একমাত্র মেয়ে হারা মা।
    আর যাতে করে কোন মায়ের কোল অনলাইন গেম খেলে না হারাতে হয় প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখলেন।

    কি জানাচ্ছেন আমাদের ক্যামেরার সামনে চলুন শোনাবো আপনাদের।

    ১/বক্তব্য-মৃত সুপ্রীতি মণ্ডলের বাবা অংশুমান মণ্ডল:-
    ২/মাতা-রুপা মন্ডল:-

  • গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনায় জয়পুর বন দপ্তরের করা চিকিত্সায় সুস্থ হয়ে এবার দুই চিতল হিরিনের বাড়ি ফেরার শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনায় জয়পুর বন দপ্তরের করা চিকিত্সায় সুস্থ হয়ে এবার দুই চিতল হিরিনের বাড়ি ফেরার শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনায় বন দপ্তরের করা চিকিত্সায় জঙ্গলের দুই হরিন সুস্থ হয়ে ফিরতে চলেছে নিজের বাড়িতে।

    চার দেওয়ালের আবদ্ধে থেকেই অসুস্থ জীবন থেকে এবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চলেছে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম দুই হরিন খুশি বনবিভাগ।।

    দীর্ঘ সময় চিকিতসা পরিষেবায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়েছে তারা। চার দেওয়ালের পরিবেশ থেকে এবার চেনা জীবনে ফেরার অপেক্ষা। কয়েকমাস আগে বাঁকুড়ার জয়পুরে দুর্ঘটনায় জখম দুই স্ত্রী হরিন চিকিতসায় সুস্থ হয়ে এবার ফিরতে চলেছে জঙ্গলের চেনা পথে। 

    মাস খানেক আগে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বনবিভাগের জয়পুরের জঙ্গলে রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে গুরুতর জখম হয় একটি স্ত্রী হরিন। ফের সেই ঘটনার পরে আর একটি স্ত্রী হরিন শাবক একই ভাবে জখম৷ হয়।  দুটি পৃথক দুর্ঘটনার কবলে পড়া দুটি হরিন কে উদ্ধারে করে জয়পুর রেঞ্জ অফিসে চিকিতসা শুরু করে দেয় বনবিভাগ।

    প্রানী চিকিতসকের চিকিতসায় ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করে দুই হরিন। রেঞ্জ অফিসের ছোট্ট ঘরে বনবিভাগের আদরে ভালোবাসায় চিকিতসায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে দুই হরিন। শাল, পিয়াল,  মহুয়ার জঙ্গল ঘেরা সুন্দরী জয়পুরের প্রকৃতির কোলে রয়েছে শয়ে শয়ে চিতল হরিনের দল। সেই হরিন দলের দুই হরিন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতর জখম হয়। দীর্ঘ চিকিতসার পর চিকিতসক ফীট সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছেন। এবার  স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পালা।

      দীর্ঘ লড়াই থেকে সুস্থ হয়ে জঙ্গলের হরিনের দলে ফিরে যাবে তারা। ফিরে যাবে তাদের চেনা জীবনে চেনা দলের সঙ্গীদের সাথে। সামনের সপ্তাহে ওদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে জঙ্গলে।

    বাইট বিরেন কুমার শর্মা ( এডিএফও, বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বনবিভাগ)

  • আবারো দ্রুত গতিতে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছুটে এসে অল্টো( ৮০০) গাড়ি ঢুকে পড়লো , স্টিল ফার্নিচার দোকানে।

    আবারো দ্রুত গতিতে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছুটে এসে অল্টো( ৮০০) গাড়ি ঢুকে পড়লো , স্টিল ফার্নিচার দোকানে।

    আবারো দ্রুত গতিতে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছুটে এসে অল্টো( ৮০০) গাড়ি ঢুকে পড়লো , স্টিল ফার্নিচার দোকানে।

    ঘটনায় আহত ড্রাইভার আতঙ্কিত দোকানের কর্মচারী থেকে মালিক সকলে।
    জানা যায় আজ বোলপুর সন্নিকট শিয়ান হসপিটাল এর কাছে এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে।।

    বোলপুর অভিমুখে সিয়ান হসপিটালে সন্নিকট মারুতি সুজুকি অল্টো( ৮০০) একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে বেপরোয়া ভাবে এসে প্রথমে একটি ফার্নিচারের দোকানে স্লাবে ধাক্কা মারে তারপর সেই দোকানের ভিতর গাড়িটি ঢুকে যায় এবং দোকানের আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
    স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শিতা জানান গাড়িটি এতটাই জোরে যাচ্ছিল যে উল্টে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারার সাথে সাথেই পাল্টি হয়ে যায়। সাথে সাথেই এলাকার মানুষ ছুটে যান উদ্ধার করে ওই ড্রাইভারকে।


    বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। কপাল জোরে দোকানে বসে থাকা লোকজনেরা বেঁচে গেছে। বসে থাকা লোকেরা হতভম্ব হয়ে যায়। এই পথ দূরঘটনায় ক্ষতি হয়েছে একমাত্র দোকানদারের জিনিসপত্র ভেঙে গেছে। গাড়িতে ড্রাইভার ছাড়া কোন আরোহী ছিলেন না থাকলে হয়তো আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটতো। স্থানীয় মানুষ জন এসে ড্রাইভারকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে বোলপুর মহকুমা হসপিটালে ভর্তি করেন ওখানেই তার চিকিৎসা চলছে বলেই খবর।


    এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আর এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বোলপুর থানার পুলিশ,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    কাজী আমীরুল ইসলামের রিপোর্ট bcn বাংলা।।

  • একের পর এক বাইক দুর্ঘটনা বাঁকুড়া জেলায়, তবুও হুশ ফিরছে না বাইক আরোহীদের।

    একের পর এক বাইক দুর্ঘটনা বাঁকুড়া জেলায়, তবুও হুশ ফিরছে না বাইক আরোহীদের।

    এড়ানো যাচ্ছে না বাইক দুর্ঘটনা,আবারো মোটর বাইক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারালো এক যুবক । আহত আরও এক।
    মৃত ও আহতদের নাম যথাক্রমে শ্রীমন্ত বাউরী (৩৩) ও বিভীষণ দুলে। বুধবার তালডাংরার হাড়মাসড়া গ্রামের ঘটনা। মৃত শ্রীমন্তের বাড়ি স্থানীয় নবগ্রামে ও আহত বিভীষণের বাড়ি হাড়মাসড়ায় বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে লক্ষীসাগর-হাড়মাসড়া রাস্তা ধরে একটি মোটর বাইকে চেপে শ্রীমন্ত ও বিভীষণ দুলেরা বাড়ির দিকে আসছিলেন। হাড়মাসড়া বাসস্ট্যাণ্ডে পৌঁছানোর বেশ কিছু আগেই একটি বাঁকের মুখে তাদের বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিকাশী নালার মধ্যে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভল্যান্টিয়াররা। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে তারা গুরুতর আহত দু'জনকে উদ্ধার করে তালডাংরা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় শ্রীমন্ত বাউরীর।
    
    
     পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
  • রাস্তায় পড়ে এক হিংস্র বন্য জন্তু প্রাণীর বাচ্চা, যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার জয়পুরে।

    রাস্তায় পড়ে এক হিংস্র বন্য জন্তু প্রাণীর বাচ্চা, যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার জয়পুরে।

    রাস্তায় পড়ে এক হিংস্র বন্য জন্তু প্রাণীর বাচ্চা, যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার জয়পুরে।

    রাস্তায় পড়ে এক ক্ষুদ্র ছোট্ট প্রাণী মায়ের খোঁজে মাও মাও করে চিৎকার করছে রাস্তার ধারে। গ্রামের লোকজনের ভয়ে ছেড়ে গেছে মা, মাকে না দেখতে পেয়ে মায়ের কান্নায় রাস্তায় পড়ে চেঁচিয়ে যাচ্ছে এই ক্ষুদে প্রাণীটি। এক ব্যক্তি বাচ্চা ছেলের কান্নার শব্দ শুনে দাঁড়িয়ে পড়ে রাস্তার ধারে। তারপর দেখেন একটা অজানা প্রাণী হুবহু দেখতে বেড়াল ছানার মত,কিন্তু তার নখ গায়ের রং বড় কান ও পায়ের থাবা প্রচন্ড বড় হওয়ায় সন্দেহ দানাবাধে।


    মনে হয় বেড়াল ছানা নয় এ এক অন্য কোন জংলি হিংস্র প্রাণীর বাচ্চা। সেই সময় এই ব্যক্তি এই বাচ্চা নিয়ে কি করবে ভেবে উঠতে না পেরে খবর দেয় bcn বাংলা সংবাদ মাধ্যমে। সেই খবর সংবাদমাধ্যমের কানে পৌঁছতেই ছুটে গিয়ে বনদপ্তরকে খবর দিয়ে উদ্ধার করা হয়। তবে বনদপ্তর সূত্রে খবর এই প্রাণীটি একেবারেই নেহাতই ছোট মনে করছেন কোন বন-বিড়াল বা মেছো বেড়ালের বাচ্চা হবে। তবে তারা উদ্ধার করে জয়পুর বনদপ্তরে নিয়ে যায়।

    সেখানে সেবা সুশ্রষা করছেন, বলেই খবর।
    তো আপনারা কি মনে করছেন এটা কোন প্রাণীর বাচ্চা হতে পারে, অবশ্যই কমেন্ট করে জানান।

  • ইন্দাসে কথা রাখলেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা, শুরু হল নদী বাঁধের কাজ।খুশি বাঁকুড়ার ইন্দাস বিধানসভার বেতালন গ্রামের মানুষ।

    ইন্দাসে কথা রাখলেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা, শুরু হল নদী বাঁধের কাজ।খুশি বাঁকুড়ার ইন্দাস বিধানসভার বেতালন গ্রামের মানুষ।

    ইন্দাসে কথা রাখলেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা, শুরু হল নদী বাঁধের কাজ।

    বাঁকুড়ার ইন্দাস বিধানসভার বেতালন গ্রামে অবশেষে শুরু হল নদীবাঁধ নির্মাণের কাজ। দীর্ঘদিনের দাবি, শেষমেশ বাস্তবায়নের পথে। কথা দিয়ে কথা রেখেছেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা। ফলে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে ইন্দাস ব্লকের মঙ্গলপুর অঞ্চলের বেতালন গ্রামে।

    দ্বারকেশ্বর নদীর দু’পারে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন চলছিল। যার ফলে ভয়াবহ নদীভাঙন শুরু হয় এলাকায়। নদীগর্ভে চলে গেছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি, বসতভিটে, বহু পরিবার ঘরছাড়া হয়েছেন। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা ছিল এভাবে চললে আর কয়েক বছরের মধ্যে গ্রামটাই তলিয়ে যাবে নদীতে।

    এই পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের বর্ষায় বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা নৌকায় চেপে এলাকা পরিদর্শনে যান। নদীভাঙনের ভয়াবহতা স্বচক্ষে দেখে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, নিজের ক্ষমতার মধ্যে থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। সে সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বারবার পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। অবৈধভাবে বালি তুলতে তুলতে নদীর তলদেশের মাটি উঠে যাওয়ায় ভাঙন আরও বাড়ছে।

    পরে তিনি সেচ দফতরে লিখিত আবেদন করেন নদীবাঁধ নির্মাণের জন্য। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে সেই কাজ শুরু হয়েছে।

    বাঁধ নির্মাণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানান, “এতদিনে কেউ আমাদের কথা শুনল। বিধায়ক নিজে এসে দেখেছেন, কথা দিয়েছিলেন, আজ কাজ হচ্ছে। ধন্যবাদ ওনাকে।”

    এই উদ্যোগে যেমন রক্ষা পাবে জমি ও ঘরবাড়ি, তেমনই ফিরে আসবে এলাকাবাসীর স্বস্তি ও নিরাপত্তা।

  • খাল সংস্কারে গ্রামে হবে উন্নয়ন, আর সেই উন্নয়নযোগ্য চলাকালীন জলের তোরে ভেঙে গেল একাংশ। গাফিলতি কার?

    খাল সংস্কারে গ্রামে হবে উন্নয়ন, আর সেই উন্নয়নযোগ্য চলাকালীন জলের তোরে ভেঙে গেল একাংশ। গাফিলতি কার?

    ভাঙন রোধের কাজ চলাকালীন জলের তোড়ে ভেঙে গেল একাংশ। ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতিতেই এমন কাণ্ড অভিযোগ স্থানীয়দের। তর্জা শাসক বিরোধী।।।

    ভাঙন রোধের কাজ চলাকালীন জলের তোড়ে  ভেঙ্গে পড়ল একাংশ। ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতিতেই এমন কান্ড বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার মানুষ। কাজের গুনমান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা৷ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদার সংস্থা। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের ধগড়িয়া গ্রামের ঘটনা। 

    প্রায় ১ বছর আগে প্রবল বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের ধগড়িয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া  কুকড়া খালের জল ফুলেফেঁপে উঠে।  প্রায় ৫০০ মিটার জায়গা জুড়ে এই খালের পাড় ধসে পড়ে। স্থানীয়  প্রশাসন ও সেচ দফতর ভয়ংকর এই পাড়ের ধস দেখেই গ্রাম বাঁচাতে পাড় বাঁধানোর পরিকল্পনা গ্রহন করেন। সম্প্রতি শুরু হয় বালির বস্তা দিয়ে কুকড়া খালের পাড় বাঁধানোর কাজ। কাজ চলাকালীন হল বিপত্তি।

    দুদিনের বৃষ্টিতে ফের কুকড়া খালের জলে তোড়ে ভেঙে পড়ে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধানো একাংশ। আর তাতেই ক্ষোভ জমে এলাকার মানুষের। গ্রামের মানুষের দাবি, কাজ করার সময় ঠিকাদার সংস্থা কে সতর্ক করা হয় খালের মাঝের জমে থাকা মাটির স্তর সরিয়ে জল নিকাশির ব্যবস্থা করেই পাড় বাঁধানোর কাজ করার। কিন্তু তাতে কোন কর্নপাত না করায় ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলেই দাবি এলাকবাসীর।

    তাছাড়া অস্থায়ী যেভাবে পাড় বাঁধানো হচ্ছে সেই কাজ নিয়েও ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে নানান প্রশ্ন উঠছে। কাজে বেনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বরাত পাওয়া ঠিকাদার। সরকারী estimate অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি ঠিকাদারের।  এদিকে এই ঘটনা কে নিয়ে শাসক ও বিরোধী তর্জা শুরু হয়েছে।    

  • বেসরকারি হোটেল কর্তৃপক্ষের লাগানো জঙ্গলের মাঝে বেআইনি পথবাতী লাগানো বরদাস্ত নয় বুঝিয়ে দিল বাঁকুড়া বনদপ্তর

    বেসরকারি হোটেল কর্তৃপক্ষের লাগানো জঙ্গলের মাঝে বেআইনি পথবাতী লাগানো বরদাস্ত নয় বুঝিয়ে দিল বাঁকুড়া বনদপ্তর

    ‘খবর সম্প্রচারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড় পদক্ষেপ বনদফতরের, উপড়ে ফেলা হল বেআইনি পথবাতি।

    খবর সম্প্রচারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বড় পদক্ষেপ নিল বাঁকুড়ার বনদফতর। বন্যপ্রাণীর করিডরে বেআইনি ভাবে বসানো ২৫টি উচ্চক্ষমতার পথবাতি একে একে উপড়ে ফেলল বনদফতরের আধিকারিকরা। অভিযুক্ত এক বেসরকারি বিলাসবহুল হোটেল কর্তৃপক্ষ এই বাতিগুলি বসিয়েছিল বলেই অভিযোগ।

    ঘটনাটি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমার পাঞ্চেত বন বিভাগের অন্তর্গত বিষ্ণুপুর রেঞ্জের লটিহীড় জঙ্গলের মধ্যে দু’নম্বর রাজ্য সড়কের ধারে। এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের পারাপারের করিডর হিসেবে পরিচিত। সেখানেই স্থানীয় একটি বেসরকারি হোটেল কর্তৃপক্ষ কোনো অনুমতি ছাড়াই বসায় একের পর এক পথবাতি। এতে বন্যপ্রাণীদের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং করিডরের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

    এই বেআইনি কাজ প্রথম সামনেতুলে ধরি আমরা। খবর সম্প্রচারের পরই বনদফতর সক্রিয় হয় এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে সমস্ত বাতি ও স্তম্ভ তুলে ফেলা হয়। বনদফতর জানায়, বন্যপ্রাণ সুরক্ষায় কোনওরকম ছাড় দেওয়া হবে না এবং অভিযুক্ত হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ঘটনা সম্পর্কে হোটেল কর্তৃপক্ষের এক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এইভাবে কিছু বলা যাবে না। বরং ক্যামেরা দেখে মুখ লুকানোর চেষ্টা করেন।

  • নেশা মুক্তি কেন্দ্রে রোগী মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা বারবিশায়।

    নেশা মুক্তি কেন্দ্রে রোগী মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা বারবিশায়।

    নেশা মুক্তি কেন্দ্রে রোগী মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা বারবিশায়।

    নেশা মুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হলো রোগীর, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে কুমারগ্রাম থানার কামাখ্যাগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। আলিপুরদুয়ার জেলার বারবিশা নিউটাউন এলাকায় এক নেশা মুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে এসে এক ব্যক্তির রহস্য জনক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতের নাম রাকেশ চন্দ্র পাল। বয়স অনুমানিক ৫৫ বছর।

    জানাগিয়েছে , গত ৪ঠা জুন অসমের শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ঐ ব্যক্তিকে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করেন পরিবার লোকজনেরা এরপর তাঁর চিকিৎসা চলে সেখানে। রবিবার সকাল সাড়ে এগাড়োটা নেশায় আসক্ত ঐ ব্যক্তির সাথে কথা বলেন পরিবারের লোকেরা। এরপর হঠাৎ নেশা মুক্তি কেন্দ্রথেকে বিকেলে ফোন করে পরিবার লোকজনকে জানানো হয় ঐ ব্যক্তি অসুস্থ তাঁকে কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক পরিবারকে জানিয়েছে ওই ব্যক্তি দুই যণ্টা আগেই মারা গিয়েছে।

    তবে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জের তরফে জানানো হয়েছে রোগী অসুস্থ থাকাকালীন বার বার পরিবারকে ফোন করে জানানোর পরেও পরিবারের লোকেরা কাল বিলম্ব করেছে। অবশেষে আমরা বাদ্ধ হয়ে নিজেরাই হাসপাতালে নিয়ে যাই।

    তারপর কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালের চিকিৎসক রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করে।এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে কামাখ্যাগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ।

    সোমবার আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্ত করা হবে ।


    নিমাই চাঁদ, কুমারগ্রাম, আলিপুরদুয়ার।

  • আবারো বাঁকুড়ার ওন্দা দারকেশ্বর নদী থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি যাকে ঘিরে পূজা অর্চনা শুরু গ্রামে।

    আবারো বাঁকুড়ার ওন্দা দারকেশ্বর নদী থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি যাকে ঘিরে পূজা অর্চনা শুরু গ্রামে।

    প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। এই মূর্তি ব্যাতিক্রমি এবং মহামূল্যবান বলে দাবি গবেষকদের।

    বালি খোড়ার সময় বেরিয়ে এল প্রাচীন মূর্তি৷ গবেষকদের দাবি বাদামী বেলে পাথরের নির্মিত দ্বাদশ ভূজা এই বিষ্ণু মূর্তি একাদশ ও দ্বাদশ শতকের। এই মূর্তি মহামূল্যবান এবং ব্যাতিক্রমী বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। বাঁকুড়ার ওন্দা থানার ওলার দুবরাজপুর নবগ্রাম দ্বারকেশ্বর নদের বালি ঘাট থেকেই উদ্ধার হয়েছে মূর্তিটি।

    বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর নদের গর্ভে নানান পুরাকৃতি ছড়িয়ে রয়েছে। নদের গর্ভে একের পর এক মূর্তি উদ্ধারের ঘটনায় টের পাওয়া গেছে প্রাচীন ইতিহাসের৷ ফের ওন্দা থানার ওলা দুবরাজপুরের নবগ্রাম দ্বারকেশ্বর নদের বালি ঘাট থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি। শনিবার বিকেলে বালি তোলার সময় বেরিয়ে আসে প্রাচীন মূর্তি। এলাকার মানুষ মূর্তিটি উদ্ধার করে স্থানীয় একটি মন্দিরে রাখে। স্থানীয় মানুষের দাবি তারা শুনেছেন দ্বারকেশ্বর নদের ধারে ছিল প্রাচীন মন্দির। দ্বারকেশ্বর নদের গর্ভে সেই মন্দির ধসেও পড়ে।

    সেই মন্দিরের এই মূর্তি বলে দাবি এলাকা বাসীর। গবেষকদের দাবি, এই মূর্তি বাদামী বেলে পাথরের। একাদশ ও দ্বাদশ শতকের প্রাচীন এই মূর্তি। দ্বাদশ ভূজা বিশিষ্ট এই মূর্তি একটু ব্যাতিক্রমী ধরনের। পুরো মূর্তির অলংকরন থেকে তা স্পষ্ট। এর আগেও একাধিক মূর্তি উদ্ধার হয়েছে দ্বারকেশ্বর নদের গর্ভে সেগুলির থেকেও এই বিষ্ণু মুর্তির ধরন বৈশিষ্ট্য একটু ব্যাতিক্রমী ধরনের।