Category: রাঢ় বঙ্গ

  • ইন্দাসে কথা রাখলেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা, শুরু হল নদী বাঁধের কাজ।খুশি বাঁকুড়ার ইন্দাস বিধানসভার বেতালন গ্রামের মানুষ।

    ইন্দাসে কথা রাখলেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা, শুরু হল নদী বাঁধের কাজ।খুশি বাঁকুড়ার ইন্দাস বিধানসভার বেতালন গ্রামের মানুষ।

    ইন্দাসে কথা রাখলেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা, শুরু হল নদী বাঁধের কাজ।

    বাঁকুড়ার ইন্দাস বিধানসভার বেতালন গ্রামে অবশেষে শুরু হল নদীবাঁধ নির্মাণের কাজ। দীর্ঘদিনের দাবি, শেষমেশ বাস্তবায়নের পথে। কথা দিয়ে কথা রেখেছেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা। ফলে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে ইন্দাস ব্লকের মঙ্গলপুর অঞ্চলের বেতালন গ্রামে।

    দ্বারকেশ্বর নদীর দু’পারে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন চলছিল। যার ফলে ভয়াবহ নদীভাঙন শুরু হয় এলাকায়। নদীগর্ভে চলে গেছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি, বসতভিটে, বহু পরিবার ঘরছাড়া হয়েছেন। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা ছিল এভাবে চললে আর কয়েক বছরের মধ্যে গ্রামটাই তলিয়ে যাবে নদীতে।

    এই পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের বর্ষায় বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা নৌকায় চেপে এলাকা পরিদর্শনে যান। নদীভাঙনের ভয়াবহতা স্বচক্ষে দেখে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, নিজের ক্ষমতার মধ্যে থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। সে সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বারবার পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। অবৈধভাবে বালি তুলতে তুলতে নদীর তলদেশের মাটি উঠে যাওয়ায় ভাঙন আরও বাড়ছে।

    পরে তিনি সেচ দফতরে লিখিত আবেদন করেন নদীবাঁধ নির্মাণের জন্য। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে সেই কাজ শুরু হয়েছে।

    বাঁধ নির্মাণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানান, “এতদিনে কেউ আমাদের কথা শুনল। বিধায়ক নিজে এসে দেখেছেন, কথা দিয়েছিলেন, আজ কাজ হচ্ছে। ধন্যবাদ ওনাকে।”

    এই উদ্যোগে যেমন রক্ষা পাবে জমি ও ঘরবাড়ি, তেমনই ফিরে আসবে এলাকাবাসীর স্বস্তি ও নিরাপত্তা।

  • খাল সংস্কারে গ্রামে হবে উন্নয়ন, আর সেই উন্নয়নযোগ্য চলাকালীন জলের তোরে ভেঙে গেল একাংশ। গাফিলতি কার?

    খাল সংস্কারে গ্রামে হবে উন্নয়ন, আর সেই উন্নয়নযোগ্য চলাকালীন জলের তোরে ভেঙে গেল একাংশ। গাফিলতি কার?

    ভাঙন রোধের কাজ চলাকালীন জলের তোড়ে ভেঙে গেল একাংশ। ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতিতেই এমন কাণ্ড অভিযোগ স্থানীয়দের। তর্জা শাসক বিরোধী।।।

    ভাঙন রোধের কাজ চলাকালীন জলের তোড়ে  ভেঙ্গে পড়ল একাংশ। ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতিতেই এমন কান্ড বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার মানুষ। কাজের গুনমান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা৷ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদার সংস্থা। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের ধগড়িয়া গ্রামের ঘটনা। 

    প্রায় ১ বছর আগে প্রবল বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের ধগড়িয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া  কুকড়া খালের জল ফুলেফেঁপে উঠে।  প্রায় ৫০০ মিটার জায়গা জুড়ে এই খালের পাড় ধসে পড়ে। স্থানীয়  প্রশাসন ও সেচ দফতর ভয়ংকর এই পাড়ের ধস দেখেই গ্রাম বাঁচাতে পাড় বাঁধানোর পরিকল্পনা গ্রহন করেন। সম্প্রতি শুরু হয় বালির বস্তা দিয়ে কুকড়া খালের পাড় বাঁধানোর কাজ। কাজ চলাকালীন হল বিপত্তি।

    দুদিনের বৃষ্টিতে ফের কুকড়া খালের জলে তোড়ে ভেঙে পড়ে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধানো একাংশ। আর তাতেই ক্ষোভ জমে এলাকার মানুষের। গ্রামের মানুষের দাবি, কাজ করার সময় ঠিকাদার সংস্থা কে সতর্ক করা হয় খালের মাঝের জমে থাকা মাটির স্তর সরিয়ে জল নিকাশির ব্যবস্থা করেই পাড় বাঁধানোর কাজ করার। কিন্তু তাতে কোন কর্নপাত না করায় ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলেই দাবি এলাকবাসীর।

    তাছাড়া অস্থায়ী যেভাবে পাড় বাঁধানো হচ্ছে সেই কাজ নিয়েও ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে নানান প্রশ্ন উঠছে। কাজে বেনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বরাত পাওয়া ঠিকাদার। সরকারী estimate অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি ঠিকাদারের।  এদিকে এই ঘটনা কে নিয়ে শাসক ও বিরোধী তর্জা শুরু হয়েছে।    

  • বেসরকারি হোটেল কর্তৃপক্ষের লাগানো জঙ্গলের মাঝে বেআইনি পথবাতী লাগানো বরদাস্ত নয় বুঝিয়ে দিল বাঁকুড়া বনদপ্তর

    বেসরকারি হোটেল কর্তৃপক্ষের লাগানো জঙ্গলের মাঝে বেআইনি পথবাতী লাগানো বরদাস্ত নয় বুঝিয়ে দিল বাঁকুড়া বনদপ্তর

    ‘খবর সম্প্রচারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড় পদক্ষেপ বনদফতরের, উপড়ে ফেলা হল বেআইনি পথবাতি।

    খবর সম্প্রচারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বড় পদক্ষেপ নিল বাঁকুড়ার বনদফতর। বন্যপ্রাণীর করিডরে বেআইনি ভাবে বসানো ২৫টি উচ্চক্ষমতার পথবাতি একে একে উপড়ে ফেলল বনদফতরের আধিকারিকরা। অভিযুক্ত এক বেসরকারি বিলাসবহুল হোটেল কর্তৃপক্ষ এই বাতিগুলি বসিয়েছিল বলেই অভিযোগ।

    ঘটনাটি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমার পাঞ্চেত বন বিভাগের অন্তর্গত বিষ্ণুপুর রেঞ্জের লটিহীড় জঙ্গলের মধ্যে দু’নম্বর রাজ্য সড়কের ধারে। এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের পারাপারের করিডর হিসেবে পরিচিত। সেখানেই স্থানীয় একটি বেসরকারি হোটেল কর্তৃপক্ষ কোনো অনুমতি ছাড়াই বসায় একের পর এক পথবাতি। এতে বন্যপ্রাণীদের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং করিডরের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

    এই বেআইনি কাজ প্রথম সামনেতুলে ধরি আমরা। খবর সম্প্রচারের পরই বনদফতর সক্রিয় হয় এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে সমস্ত বাতি ও স্তম্ভ তুলে ফেলা হয়। বনদফতর জানায়, বন্যপ্রাণ সুরক্ষায় কোনওরকম ছাড় দেওয়া হবে না এবং অভিযুক্ত হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ঘটনা সম্পর্কে হোটেল কর্তৃপক্ষের এক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এইভাবে কিছু বলা যাবে না। বরং ক্যামেরা দেখে মুখ লুকানোর চেষ্টা করেন।

  • নেশা মুক্তি কেন্দ্রে রোগী মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা বারবিশায়।

    নেশা মুক্তি কেন্দ্রে রোগী মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা বারবিশায়।

    নেশা মুক্তি কেন্দ্রে রোগী মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা বারবিশায়।

    নেশা মুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হলো রোগীর, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে কুমারগ্রাম থানার কামাখ্যাগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। আলিপুরদুয়ার জেলার বারবিশা নিউটাউন এলাকায় এক নেশা মুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে এসে এক ব্যক্তির রহস্য জনক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতের নাম রাকেশ চন্দ্র পাল। বয়স অনুমানিক ৫৫ বছর।

    জানাগিয়েছে , গত ৪ঠা জুন অসমের শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ঐ ব্যক্তিকে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করেন পরিবার লোকজনেরা এরপর তাঁর চিকিৎসা চলে সেখানে। রবিবার সকাল সাড়ে এগাড়োটা নেশায় আসক্ত ঐ ব্যক্তির সাথে কথা বলেন পরিবারের লোকেরা। এরপর হঠাৎ নেশা মুক্তি কেন্দ্রথেকে বিকেলে ফোন করে পরিবার লোকজনকে জানানো হয় ঐ ব্যক্তি অসুস্থ তাঁকে কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক পরিবারকে জানিয়েছে ওই ব্যক্তি দুই যণ্টা আগেই মারা গিয়েছে।

    তবে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জের তরফে জানানো হয়েছে রোগী অসুস্থ থাকাকালীন বার বার পরিবারকে ফোন করে জানানোর পরেও পরিবারের লোকেরা কাল বিলম্ব করেছে। অবশেষে আমরা বাদ্ধ হয়ে নিজেরাই হাসপাতালে নিয়ে যাই।

    তারপর কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালের চিকিৎসক রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করে।এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে কামাখ্যাগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ।

    সোমবার আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্ত করা হবে ।


    নিমাই চাঁদ, কুমারগ্রাম, আলিপুরদুয়ার।

  • আবারো বাঁকুড়ার ওন্দা দারকেশ্বর নদী থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি যাকে ঘিরে পূজা অর্চনা শুরু গ্রামে।

    আবারো বাঁকুড়ার ওন্দা দারকেশ্বর নদী থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি যাকে ঘিরে পূজা অর্চনা শুরু গ্রামে।

    প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। এই মূর্তি ব্যাতিক্রমি এবং মহামূল্যবান বলে দাবি গবেষকদের।

    বালি খোড়ার সময় বেরিয়ে এল প্রাচীন মূর্তি৷ গবেষকদের দাবি বাদামী বেলে পাথরের নির্মিত দ্বাদশ ভূজা এই বিষ্ণু মূর্তি একাদশ ও দ্বাদশ শতকের। এই মূর্তি মহামূল্যবান এবং ব্যাতিক্রমী বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। বাঁকুড়ার ওন্দা থানার ওলার দুবরাজপুর নবগ্রাম দ্বারকেশ্বর নদের বালি ঘাট থেকেই উদ্ধার হয়েছে মূর্তিটি।

    বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর নদের গর্ভে নানান পুরাকৃতি ছড়িয়ে রয়েছে। নদের গর্ভে একের পর এক মূর্তি উদ্ধারের ঘটনায় টের পাওয়া গেছে প্রাচীন ইতিহাসের৷ ফের ওন্দা থানার ওলা দুবরাজপুরের নবগ্রাম দ্বারকেশ্বর নদের বালি ঘাট থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি। শনিবার বিকেলে বালি তোলার সময় বেরিয়ে আসে প্রাচীন মূর্তি। এলাকার মানুষ মূর্তিটি উদ্ধার করে স্থানীয় একটি মন্দিরে রাখে। স্থানীয় মানুষের দাবি তারা শুনেছেন দ্বারকেশ্বর নদের ধারে ছিল প্রাচীন মন্দির। দ্বারকেশ্বর নদের গর্ভে সেই মন্দির ধসেও পড়ে।

    সেই মন্দিরের এই মূর্তি বলে দাবি এলাকা বাসীর। গবেষকদের দাবি, এই মূর্তি বাদামী বেলে পাথরের। একাদশ ও দ্বাদশ শতকের প্রাচীন এই মূর্তি। দ্বাদশ ভূজা বিশিষ্ট এই মূর্তি একটু ব্যাতিক্রমী ধরনের। পুরো মূর্তির অলংকরন থেকে তা স্পষ্ট। এর আগেও একাধিক মূর্তি উদ্ধার হয়েছে দ্বারকেশ্বর নদের গর্ভে সেগুলির থেকেও এই বিষ্ণু মুর্তির ধরন বৈশিষ্ট্য একটু ব্যাতিক্রমী ধরনের। 

  • বহু প্রাচীন দশহরা উৎসব,সেই উৎসবে মাতল বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ।

    বহু প্রাচীন দশহরা উৎসব,সেই উৎসবে মাতল বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ।

    পাহাড়পুরে দশহারা উৎসব ও গ্রামীণ মেলা।
    -সংবাদদাতা


    বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া ব্লকের অন্তর্গত আমোদপুর শহরের দক্ষিনে,বকেশ্বর নদীর ধারে, পাহাড়পুর গ্রামে বহু প্রাচীন শ্রী শ্রী মনসা মাতার মহা পূজা উপলক্ষে দশহরা উৎসব ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হলো,৩রা জুন হতে ৭ই জুন ২০২৫ পর্যন্ত। এই উৎসবটি কে কেন্দ্র করে স্থানীয় অঞ্চলে জনচেতনার চমৎকার বাতাবরণ গড়ে ওঠে।

    বিশেষ করে বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত হতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ব্যাপকমানুষ এই উৎসবে শামিল হয়ে থাকে। ৩রা জুন বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দশাহরা উৎসবের শুভ সূচনা হলো। বিকালে বাল্যবিবাহ রোধের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলো , উপস্থিত ছিলেন বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি রাজকুমার ফুলমালি, সম্পাদক এ এম, জামাল সাহেব, কোষাধ্যক্ষ মিঠুন দাস এবং আনন্দপাঠ শিক্ষা কেন্দ্রের সমাজসেবী মহিলা গন। রাত্রিতে দূরদর্শন ও বেতার শিল্পী সনৎ মুখার্জী সম্প্রদায়ের কর্তৃক মনসামঙ্গল পালা গান ।

    ৪ তারিখে বিকালে এলাকার দুস্থদের মধ্যে জামা গেঞ্জি প্যান্ট এবং শাড়ি বিতরণ করা হলো ৬৪ জন মানুষের মধ্যে, রাতে মনসামঙ্গল পালা গান। ৫ তারিখ মা মনসার মহা পূজা, চন্ডী পাঠ, যোগ্য,বেলা একটার পর মা মনসার,বড়মা ছোট মা,গ্রাম পরিক্রমা ও গাছ মঙ্গলা অনুষ্ঠান। বিকালে বলিদান,পরে প্রসাদ বিতরণ, রাতে মনসামঙ্গল পালা গান।, ৬ই জুন বিকালে সংড়া ও নানুবাজার আদিবাসী পাড়ার লোকনৃত্য। সন্ধ্যায় গুণীজনদের সংবর্ধনা। সন্ধ্যা সাত ঘটিকায় বোলপুর সঙ্গীতায়ন পরিবেশিত নৃত্যনাট্য ও রকমারি গানের অনুষ্ঠান। রাত্রি ৮ঃ০০ ঘটিকার পর জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অনুমোদনের তপন দাস সম্প্রদায়ের বাউল গান। ৭ই জুন বিকালে পাহাড়পুর ও শহিষপুর আদিবাসী লোকনৃত্য।

    ৭ ঘটিকায় কবিতা হেমরম পরিচালিত একাঙ্গ নাটক, আম্মাজান,,। রাত্রি ৮ঃ০০ ঘটিকায় পরান বন্ধু লোক ব্যান্ডের লোকসংগীত ও লোকনৃত্য। মেলাগুলোতে জনসাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাছাড়া এই মেলাতে উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও উভোক্তাদের অধিকার পণ্য পরিষেবা পণ্যের গুণগত মান ও নিরাপত্তা উপভোক্তা সুরক্ষা আইন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে পোস্টার ও প্রদর্শনী স্টল লিফলেট বিতরণ জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।উৎসব অনুষ্ঠানে জাতির ধর্ম নির্বিশেষে ব্যাপক মানুষের সমাগম ঘটেছে, সেবাইদের পক্ষে জয়দেব দেবাংশী গ্রাম ও এলাকার মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় সুস্থ সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করলেন।

    ভিডিও দেখুন।

  • বন্যজন্তুর করিডরে পথবাতি লাগিয়ে বিতর্কে বেসরকারী হোটেল কর্তৃপক্ষ, সরজমিন খতিয়ে দেখতে এলেন বনবিভাগ।

    বন্যজন্তুর করিডরে পথবাতি লাগিয়ে বিতর্কে বেসরকারী হোটেল কর্তৃপক্ষ, সরজমিন খতিয়ে দেখতে এলেন বনবিভাগ।

    বন্যজন্তুর করিডরে পথবাতি লাগিয়ে বিতর্কে বেসরকারী হোটেল কর্তৃপক্ষ,সরজমিন খতিয়ে দেখতে এলেন বনবিভাগ।

    বন্যজন্তুর করিডরে পথবাতি লাগিয়ে বিতর্কে জড়াল বেসরকারী হোটেল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে খতিয়ে দেখতে এলেন বনবিভাগ। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের লটিহীড় জঙ্গলের ঘটনা। হোটেল কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। খতিয়ে দেখার আশ্বাস বনবিভাগের। কোন অনুমতি না নিয়ে বনবিভাগের জায়গায় কিভাবে এই কাজ করল হোটেল কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।  বন্যজন্তুর করিডরে পথবাতি লাগানো নিয়েও স্থানীয় গ্রামের মানুষের মধ্যেও জমেছে ক্ষোভ৷ জঙ্গলের রাস্তায় আলো দিলে গ্রামে ঢুকবে বন্যজন্তুরা দাবি এলাকাবাসীর।  প্রশ্ন উঠছে কিভাবে কার মদতে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ?

    বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বনবিভাগের বিষ্ণুপুর রেঞ্জের লটিহিড়, লাগারডাঙ্গা, মোলকারী, মুড়াবাড়ি, বাসুদেবপুর সহ একাধিক গ্রামের মানুষের যাতায়াত গভীর জঙ্গলের মাঝ বরাবর মাটির রাস্তা৷ একজঙ্গল থেকে আর এক জঙ্গলে যেতে এই রাস্তা ব্যবহার করে হাতি সহ জঙ্গলের অনান্য বন্যজন্তুরা।   সম্প্রতি লটিহীড় গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে মাঝে গড়ে উঠেছে একটি বেসরকারী রিসোর্ট। জঙ্গলের প্রায় ১ কিমি এই রাস্তা বেসরকারী ওই রিসোর্ট যাওয়ার রাস্তা। জঙ্গলের ওই রাস্তায় লাগানো হয়েছে পথবাতি। বনদফতরের রাস্তায় হোটেল কর্তৃপক্ষ এই পথবাতি নিজেদের উদ্যোগে লাগিয়েছেন।

    আর তাতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ গভীর জঙ্গলের মাঝে হাতি সহ বন্যজন্তুর করিডরে কেন লাগানো হল পথবাতি? কার নির্দেশে কাদের অনুমতি নিয় এই কাজ করেছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।  এই খবর পাওয়ার সাথে বিষ্ণুপুর রেঞ্জ অফিসার সহ বনকর্মীরা খতিয়ে দেখতে হাজির হন সেখানে। হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথেও কথাও বলেন। বিষ্ণুপুর রেঞ্জ অফিসার জানান, কোন অনুমতি না নিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ পথবাতি লাগিয়েছেন। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে লাইট বন্ধ করতে বলা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    স্থানীয় লটিহীড় আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের মানুষের দাবি, রাস্তায় এই পথবাতি লাগালে জঙ্গলের রাস্তায় বাধা পাবে বন্যজন্তুরা। বাধা পেয়ে গ্রামের দিকে বন্যজন্তুরা ঢুকে পড়বে। ক্ষতি হবে গ্রামের মানুষের। এছাড়াও জঙ্গলের রাস্তায় পথবাতি জ্বললে নিজেদের করিডর হারিয়ে হাতি সহ অনান্য বন্যজন্তুরা ভিন্নপথ বেছে নিলে মানুষের প্রানহানি ও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হবে। প্রশ্ন উঠছে বনদফতরের জায়গায় কিভাবে হোটেল কর্তৃপক্ষ বৈদ্যুতিক সংযোগ করে পথবাতি লাগালো।

    পথবাতির  লাগানো বিদ্যুতের খুটির নিচের জয়েন্ট বক্স গুলিও খোলা অবস্থায় রাখা রয়েছে সেখানেও বন্যজন্তুর ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে।

    বাইট আশীষ ঘোষ ( রেঞ্জার বিষ্ণুপুর)

    বাইট   বিজয় মূর্মূ ( গ্রামবাসী)

    বাইট জগন্নাথ মূর্মূ ( গ্রামবাসী)

  • আবারো সাত সকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা দুর্ঘটনার বিকর শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা।

    আবারো সাত সকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা দুর্ঘটনার বিকর শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা।

    আবারো সাত সকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা দুর্ঘটনার বিকর শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা।

    খাতরা বাঁকুড়া অন্তিকা বাসের সাথে পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ঘটনায় আহত একাধিক।
    আপনাদের আরো একবার জানিয়ে রাখি বাঁকুড়া- খাতড়া রাজ্য সড়কের সুপুরের কাছে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন।


    ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার সকালে খাতড়ায়।বাঁকুড়া গামী একটি বেসরকারী বাস ও তার সাথে খাতড়া মুখী একটি পিকাপ ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এতটাই সংঘর্ষের শব্দ হয় যে শব্দ শুনে ছুটে আছেন আশপাশ এলাকার মানুষ, উদ্ধার করেন আহত ব্যক্তিদের খবর দেয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ ও এলাকাবাসী এসে তাদের খাতড়া মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে এমনটাই খবর।


    তবে কিভাবে এই দুর্ঘটনা তাকেও দেখেনি। মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে বাসের এক ধার ভেঙে দুমড়ে যায়।
    অপরদিকে পিকআপ ভ্যান দুমড়ে মুজরে রাস্তার মাঝেয় পাল্টি হয়ে যায়,
    পুলিশ এসে পালটি হয়ে যাওয়া পিক আপ ভ্যান উদ্ধার করে ক্রেন দিয়ে। দেখুন সেই ভয়াবহ চিত্র।
    আপনারা দেখছেন বিসিএন বাংলা, জনগণের পক্ষে বাংলার সংবাদ।

  • বাঁকুড়ায় আমপ্রেমে হাতি, গ্রামে হানা প্রতিদিন বিকালে

    বাঁকুড়ায় আমপ্রেমে হাতি, গ্রামে হানা প্রতিদিন বিকালে

    ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা
    জল পড়ে পাতা নড়ে,
    পাগলা হাতি মাথা নাড়ে।
    কিন্ত বাঁকুড়ার বড়জোড়ার দক্ষিণ সরাগাড়া গ্রামে
    জল পড়ে পাতা নড়ে,
    চেন বাঁধা হাতি মাথা নাড়ে।

    আম প্রেমে হাতি। এখন আমের মরসুম । রাজ্য জুড়ে ল্যাংড়া, ফজলি, গোপালভোগ, , হিমসাগর, মোহনভোগ, লক্ষ্মণভোগ বাহারি মরসুম । কিছু দিন বাদে উঠবে ফজলি আম । আম প্রিয় বাংলা।আম প্রিয় বাংলার মানুষ। আম ডালোবাসে পশুরাও । বাঁকুড়া (উত্তর) বনবিভাগের বড়জোড়া রেঞ্জের সংগ্রামপুর বীট এর দক্ষিণ সরাগাড়া গ্রামে তিনের মাইল জঙ্গল থেকে একটি দাঁতাল হাতি প্রতিদিন বিকালে এসে নিয়ম করে আম ভক্ষণ করে যাচ্ছে ।

    দক্ষিণ সরাগাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ কুন্ডু , সুশান্ত দে , দীনবন্ধু কুন্ডু বলেন বেশ কিছুদিন বিকাল হলেই ‘চেন বাঁধা ‘ হাতিটা রোজ বিকাল বেলায় চলে আসে আম খেতে আমাদের গ্রামে । গোটা সাতেক আম গাছ আছে আমতলায় ।

    দক্ষিণ সরাগাড়া গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র কুন্ডু বলেন হাতি চারটে আছে । এই হাতি গুলো দলছুট হাতি দলের সাথে যেতে যেতে মেদিনীপুর বিষ্ণুপুর থেকে ঘুরে চলে এসেছে । ঝরে এখন আম পাকার সিজিন । আমাদের এখানে শ্যামপুর, ডকাইসিনী বাগান আছে । আম কাঁঠাল বাগান খেতে পেলে সরতে চাইছে না। চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে একরকম ধান চাষ । হাতির উপদ্রব এ পা দিয়ে থেঁতলে শুঁড়ে খেয়ে নষ্ট করে দেয় ।এখন হাতি আম খাচ্ছে। আমতলায় আসবে । গ্রামে আসবে ।

    সংগ্রামপুর বীট অফিসার জয়ন্ত কুমার ঘোষ বলেন খাবার না পেয়ে আম প্রিয় হয়ে গেছে হাতিটি। একটা হাতি এক দিনে প্রায় এক কুইনট্যাল খেতে পারে খাবার। হাতি মিষ্টি পাকা আম ছাড়া খায় না । টক আম না পসনদ । রাতে ঝড় বৃষ্টিতে আম টুপ টাপ পড়ছে আর খাচ্ছে।
    মঙ্গলবার রাতে চারটি হাতি দক্ষিণ সরাগাড়ায় আছে । বাজ পড়ছে বৃষ্টি হচ্ছে হূলা টিমের সদস্যরা হাতি গুলিকে নজরে রেখেছি। যাতে গ্রামে না ঢুকে পড়ে । ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
    মঙ্গলবার সকাল বেলায় হাতি তিনটি বেলিয়াতোড় রেঞ্জের লাদুনিয়া-২টি,কাঁটাবেস-১টি থেকে বড়জোড়া রেঞ্জে চলে আসে। চেন বাঁধা হাতি পাবয়া জঙ্গলে ছিল আগে থেকেই।

    বড়জোড়া রেঞ্জের রেঞ্জার সৈয়দ সঈফ উর রহমান বলেন হাতির অবস্থান তাং-০৪.০৬.২০২৫
    মোট হাতি-৪টি,বড়জোড়া রেঞ্জে দক্ষিণ সরাগোড়া-৪টি। বাঁকুড়া (উত্তর) বনবিভাগ। নজরে রাখা হয়েছে হাতি গুলিকে । বনদপ্তরের কর্মীরা রয়েছে।

  • পুলিশের চেকিং এর ভয়ে বেপরোয়া ভাবে ফলবোঝাই অটো নিয়ে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা প্রাণ গেল অটোচালকের।

    পুলিশের চেকিং এর ভয়ে বেপরোয়া ভাবে ফলবোঝাই অটো নিয়ে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা প্রাণ গেল অটোচালকের।

    রাস্তায় পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকায় পুলিশের ভয়ে দ্রুত গতিতে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ফল বোঝায় অটোচালকের।
    আপনাদের আরো একবার জানিয়ে রাখি, দ্রুত গতিতে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে ফল বোঝায় অটো, ঘটনায় মৃত অটোচালক, পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করে পথ অবরোধ করল স্থানীয় মানুষজন।

    স্থানীয় সূত্রে খবর বাঁকুড়ার ধলডাঙ্গা মোড়ের দিক থেকে একটি ফল বোঝাই অটো ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাঁকুড়ার দিকে বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। আর যেতে গিয়ে ধলডাঙ্গা থেকে কিছুটা এগোতেই পুলিশ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকায় অটো চালক আরো গতিবেগ বাড়িয়ে দেয়।
    আর তাতেই এক্তেশ্বর সেতু সংলগ্ন এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোটি সামনে থাকা চলন্ত একটি লরিকে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে সামনের অপর একটি চলন্ত লরির উপর উল্টে যায়।


    ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ফল বোঝাই অটোর চালকের। এরপরই স্থানীয়রা পুলিশের বিরুদ্ধে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোলাবাজির অভিযোগ তুলে দুর্ঘটনাস্থলে অবরোধ শুরু করেন।
    বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর অবশেষে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি অবরোধ তুলে দেয়।
    স্থানীয়রা কি জানাচ্ছেন শোনাবো আপনাদের।