চাষের মরসুমে সারের কালোবাজারীর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সারের দোকানে হানা জেলা সভাধিপতি। প্রমান মিললে সার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ দাবি সভাধিপতির।
চাষের মরসুমে সারের কালোবাজারীর অভিযোগ সামনে আসে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমার একাধিক ব্লকে সারের দোকানদারের বিরুদ্ধে এমন অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ সামনে আসছে। বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের একাধিক সারের দোকানে হানা দেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়। তার সাথে ছিলেন কৃষি ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সারের দোকানে আচমকা হানা দিয়ে খতিয়ে দেখলেন দোকানের রেজিস্ট্রার ও স্টক।
রাসায়নিক সারের দাম প্যাকেটের দামের থেকে কোনভাবেই বেশী নেওয়া যাবে না সারের ব্যবসায়ীকে কড়া বার্তা দিলেন সভাধিপতি। পাশাপাশি সারের দোকানদার কে সতর্ক করে জানান বেশী দামে সার বিক্রি করলে লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে৷ সারের দোকানদারের দোকানে ভিসিট করার আগে এলাকার চাষীদের কাছেও খোজ নেন সেখানে চাষীরাও জানান এম আর পি থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশী নেওয়া হচ্ছে সারের দাম। চাষীদের সতর্ক করে দেন সভাধিপতি, সারের দাম বেশী নিলে সংশ্লিষ্ট দোকানদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই দোকানদারের বিরুদ্ধে।
চাষীদের অভিযোগ কিছু কিছু ব্যবসায়ী রসিদ ছাড়া জোর করে দামের থেকে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে। প্রতি বছর এক শ্রেনীর সার ব্যবসায়ী আমন ধানের মরসুমে চাষীদের চড়া দামে সার বিক্রি করেন। অভিযোগ আসে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পদেক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু সারের কালোবাজারী আটকানো যাচ্ছে না। এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী তারা এই মরসুমগুলোকে কাজে লাগিয়ে কালবাজারী করে মোটা টাকা উপার্জন করেন।
সেই কালাবাজারী ঠেকাতে জয়পুর ব্লকের একাধিক এবার সারের দোকানে আচমকা হানা দিয়ে কড়া বার্তা দিলেন সভাধিপতি।
সারের কালোবাজারি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বেরিয়ে, রাস্তায় ওভারলোডিং বালি গাড়ি দেখে একেবারেই সিঙ্গম মুডে জেলা সভাধিপতি।
নিজের হাতে ধরলে ওভারলোডিং বালি বজায় লরি, প্রশাসনের আধিকারিকদের ডেকে দিলেন ধমক। গতকাল বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসলো বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।
আচমকায় আজ বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকে হেতিয়া এলাকায় সারের কালোবাজারি অভিযোগ পেয়ে খতিয়ে দেখতে আসার পথে ওভার লোডিং বালি বোঝায় লরি রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বেজায় চটলেন বাঁকুড়া জেলার সভাধিপতি অনুসূয়া রায়।
বাঁকুড়া জেলার জয়পুর ব্লকের রাউৎখন্ড পঞ্চায়েত এলাকায় কুম্ভস্থল থেকে হেতিয়া পর্যন্ত রাস্তার উপর কুন্দপুষ্করিনী এলাকায় সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা ওভারলোড বালির গাড়ি ঘিরে উঠেছে বিতর্ক। এই দৃশ্য দেখে মঙ্গলবার নিজে অভিযান চালালেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়। জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি পৌঁছান ঘটনাস্থলে। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় থানার ওসি এবং বিএলএলআরও।
সভাধিপতির প্রশ্ন, “গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের প্রশাসনিক সভা থেকে কড়া বার্তা দিয়েছেন, গ্রামীণ রাস্তায় ভারী ওভারলোড গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে। তার পরেও কেন চলছে এই ধরনের বালি পরিবহণ ?” সভাধিপতির অভিযোগ, বালির স্টক থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বালি গাড়ি ওজন হয়। এই ৩ কিলোমিটার রাস্তা ওভারলোড গাড়ি যাতায়াতের ফলে রাস্তার অবস্থা বেহাল হচ্ছে। ওজন মেশিনের জায়গাতেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত বালি খালি করে বিনা চালানে বিক্রিরও অভিযোগ উঠে আসছে।
এদিকে স্থানীয় গ্রামবাসীরাও ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, স্কুল চলাকালীন সময়ে এই বিশাল আকৃতির বালি গাড়ির যাতায়াতে ছাত্রছাত্রীদের রাস্তা পার হতে সমস্যা হয়। কাদা ও গর্তে ভর্তি রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য এই ওভারলোড গাড়িকেই দায়ী করছেন তারা।
যদিও বিএলএলআরও সাফ জানিয়ে দেন, এই বিষয়গুলি দেখার দায়িত্ব মূলত স্থানীয় পঞ্চায়েতের।
অন্যদিকে, বিজেপির কটাক্ষ সভাধিপতি অনুসূয়া রায় এই ব্যবসা থেকে আর্থিক ভাগ পাচ্ছেন না বলেই হয়তো এবার অভিযান চালাতে বাধ্য হয়েছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক কার্যকারিতা ও স্থানীয় স্বার্থের সংঘাত নিয়ে। প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে এলাকাবাসী।
মাঠে চাষ করে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় ইলেকট্রিক তারে শক লেগে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল বাঁকুড়ার জয়পুর দিগপার গ্রামে,
প্রাণ হারালো একচাষির হালের গরু, চাষের সময় হালের হেলে গরু হারিয়ে কান্নাই বুক ভাষাচ্ছেন চাষী। এখন চলছে লাগাতার বৃষ্টি আর সেই বৃষ্টির মাঝেই শুরু হয়েছে চাষ, মাঠের ধারে ও মাঠের মাঝে রয়েছে একাধিক ইলেকট্রিক এর খুঁটি আর সেই খুঁটি ছুটেই ঘটে গেল বিপদ প্রাণ হারালো এক গরু। জানা যায় ডিগপার গ্রামে মাঠের ধারে 440 ইলেকট্রিক পিলারে বডি হয়ে যায়, সেই সময় মাঠ থেকে চাষ করে ফিরছিলেন দিঘিপাড়ের চাষী অভিজিৎ মাঝি ও তার বাবা। সেই সময় রাস্তার ধারে ইলেকট্রিক পিলারে দুটি গরুর একটি রাস্তা দিয়ে যাবার সময় গরুর গায়ে ইলেকট্রিক পিলারে ঠেকে যায়। আর তাতেই ঘটে যায় অঘটন। সাথে সাথেই গ্রামে থাকা ট্রান্সফরমারের জাম্পার নামাতে ছুটে যান, নামিয়ে দেয়া হয় জাম্পার আর জাম্পার নামিয়ে প্রাণ রক্ষা করতে পারল না গৃহপালিত গরুর, ততক্ষণে সব শেষ। প্রাণ হারায় চাসীর হালের এক হেলে গরু।
গরু হারিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় চাষী, ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমারের মেন গেং নামি দেয়ার পরেও শখ লাগে পিলারে, বডি হয়ে থাকে এলাকায়, ফোন করা হয় ইলেকট্রিক দপ্তরে, খবর পেয়ে ইলেকট্রিক দপ্তর সাথে সাথেই ওই এলাকার কানেকশন বন্ধ করে দেয় ময়নাপুর এলাকার। ইলেকট্রিক দপ্তরের কর্মীরা ছুটে যান এলাকায়, তারা এলাকায় পৌঁছাতেই কর্মীদের শুনতে হয় কটু কথা, তার কারণ গ্রামবাসীরা করেছিলেন ইলেকট্রিক দপ্তরে ফোন কিন্তু দপ্তর থেকে কোন ফোন রিসিভ করা হয়নি তাই একরাশ ক্ষোভ শুনতে হল ইলেকট্রিক দপ্তরে কর্মীদের। ইলেকট্রিক দপ্তরের গাফিলতির অভিযোগ করেন গরু হারা পরিবারের লোকজন ও এলাকার মানুষ ।
ইলেকট্রিক তারে সক লেগে গরু মৃত্যুর ঘটনার খবর জানতে পেরে তড়িঘড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করা হয় ওই এলাকায় মাইকিং প্রচার। সেখানে জানানো হয় বৃষ্টির সময় ইলেকট্রিক পিলারের কেউ হাত দেবেন না শোনানো হয় একাধিক সতর্কবাণী দেখুন সেই ছবি।।
কি জানাচ্ছেন গরু হারানো চাষির ছেলে বছর ৩৫ এর যুবক অভিজিৎ মাঝি
মাত্র এক বছরেই ধসে পড়ল দ্বারকেশ্বর বোল্ডার পাথরের বাঁধ, ভাঙন আতংকে জয়পুরের একাধিক গ্রাম।
দ্বারকেশ্বর নদের পাড়ে ভাঙন জুড়ে আতংক একাধিক গ্রামের মানুষ। বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের খিরাইবনী, বেলিয়া, ডাঙরপাড়া সহ একাধিক গ্রামের মানুষের আতংক দ্বারকেশ্বর নদের ভাঙন নিয়ে। একবছর আগে খিরাইবনী এলাকায় নদের পাড়ের বাধানোর কাজ হলেও সেই কাজের গাফিলতির জেরেই নতুন করে ভাঙন তৈরি হয়েছে দাবি এলাকার মানুষের। প্রায় ১০০ মিটার জুড়ে ধসে পড়ছে পাড়ের মাটি প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে নদের জলে তলিয়ে যাবে একাধিক গ্রাম দাবি এলাকাবাসীর।
নদের পাড়ে বাস চিন্তা বারো মাস। বছরের পর বছর ধরে সেই চিন্তা গ্রাস করেছিল বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের খিরাইবনী, গেলিয়া ডাঙরপাড়া সহ একাধিক গ্রামের মানুষের। তবে সেই চিন্তা থেকে মুক্ত করতে গত ১ বছর আগে সেচ দফতরের উদ্যোগে নদের পাড়ের ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়। কাজের শুরুতেই কাজের গুনমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এলাকার মানুষ।
নদের পাড়ের একটা অংশ নিয়ে গ্রামের মানুষ বার বার দাবি জানিয়েছিল সঠিক ভাবে কাজ করার। এমনকি সংশ্লিষ্ট দফতরকেও জানানো হয়েছিল কিন্তু গ্রামের মানুষের কথার গুরুত্ব দেয়নি কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা। কাজের গুনমান ঠিক না করার জেরে ফের খিরাইবনী গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদের পাড়ে ১০০ মিটার জুড়ে পাড়ে ফাটল ও ধসতে শুরু করেছে মাটি। যেহারে বৃষ্টি বাড়ছে তাতে দ্বারকেশ্বর নদের জল বাড়লে ওই ১০০ মিটার জুড়ে নদের জল হুহু করে প্লাবিত করবে একাধিক গ্রাম। গ্রামের মানুষের দাবি ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতি ও কাজের গুনমান ঠিক না করায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।আবার নতুন করে গ্রামের মানুষকে আতংকিত করে তুলেছে। দ্রুত ভাঙন রোধের কাজ শুরু করার দাবি তুলেছেন এলাকার মানুষ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে জয়পুর ব্লক প্রশাসন।
বজ্রপাতের জেরে ভয়ংকর পরিস্থিতি বাঁকুড়ার। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত বাঁকুড়া জেলা,দুপুরের বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা নয় নয় করে বেড়ে দাঁড়ালো ৯।
একদিকে চলছে প্রবল বৃষ্টি সাথে ঝোরো হাওয়া অন্যদিকে লাগাতার বজ্রপাত ঘনী আছে কালো মেঘ, আচমকায় ঘনিয়ে আসে অন্ধকার। আর তারপরই শুরু প্রকৃতির তাণ্ডব। আর সেই তান্ডবের মাঝে পড়ে প্রাণ দিল ৯জন ।
এখন মাঠে চলছে ধান রোয়ার কাজ, তার উপর কালো মেঘ সাথে ঝেপে বৃষ্টি তার সাথে প্রবল বেগে বইছে হাওয়া। প্রকৃতির রূপ দেখে ভয়ংকর ভাবে কাঁপছিল বাঁকুড়ার মানুষ এই বুঝি কোন বিপদ ঘনিয়ে এল। আর সেই আশঙ্কায় সত্যি হলো এলাকাবাসীদের। লাগাতার বজ্রপাতের জেরে প্রাণ গেল জেলার ৯জনের। একই প্রবল বৃষ্টি তার উপর চলছে ধান রোপন, আর ধান রোপোন করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে ঝরে গেল প্রাণ, কেউ আবার মাঠে গৃহপালিত পশু চরাতে গিয়ে প্রাণ দিল বজ্রাঘাতে।
দুপুরের কালো মেঘ দেখে অনেকেই ছিলেন গৃহবন্দী, অনেকে আবার পেটের দায়ে বাড়ির বাইরে। করছিলেন অনেকেই লেবারের কাজ। বাড়ি থেকে বের হলেও বিপদ, আর না বেরোলেও বিপদ, আর পেটের দায়ে কাজে বেরিয়ে ঘটে গেল আরও বেশি বিপদ, বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল বাঁকুড়া জেলার নয় জনের।কোতুলপুর জয়পুর বিষ্ণুপুর পাত্রসায়ের ও ইন্দাস ওন্দা ব্লক সহ ৯ জন পুরুষ ও মহিলার মৃত্যু হল বজ্রপাতে, আহত হয়েছে আরো অনেকে মানুষ।
জেলায় সকাল থেকে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি সাথে ঝোরো হাওয়া ও লাগাতার বজ্রপাত। আর সেই বজ্রপাতে প্রাণ গেল কোতুলপুর ব্লকের একজনের আহত আরো এক। মৃত ব্যক্তির নাম আসিয়া মোল্লা, আহত ও মৃত সহ দুজনেরই বাড়ি কোতুলপুর ব্লকের খিরি গ্রামে। আচমকায় বাজ পড়ে লুটিয়ে পড়ে দুজন তড়িঘড়ি স্থানীয় মানুষজন উদ্ধার করে নিয়ে যায় কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল সেখানে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কোতুলপুরের ঘটনার খবর আসতে না আসতেই আবার অঘট, আবারো বাজ পড়ে মৃত্যু হল পাত্রসায়ের ব্লকের কাঁটাবন গ্রামের বছর ২০যুবক জীবন ঘোষের।
এরপর খবর আসে জয়পুর ব্লক থেকে,জয়পুর ব্লকে মৃত্যু হল জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোরকাসুলি গ্রামের যুবক উত্তম ভূঁইয়া বয়স ৩৫। সেই ঘটনার খবর হতে না হতেই আবার খবর আসে,ইন্দাস থানার বাঙালচক গ্রামের এলাকা থেকে সেখানেও একজনের মৃত্যু হয় মৃত ব্যক্তির নাম ইসমাইল মন্ডল বয়স পঞ্চান্ন, তার সাথে আহত হন আরো এক মহিলা সহ মোট দুজন। এরপরই খবর আসে ওন্দা ব্লক থেকে প্রথমে খবর আছে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই একের পর এক ওন্দা ব্লক থেকে মৃত্যুর খবর জানা যায়, প্রথমে মৃত্যুর খবর জনা যায় নারায়ণ সাওয়ার নামে এক ব্যক্তির ওনার বাড়ি ওন্দা থানার কামারকাটা গ্রামে।
এরপর খবর আসে ওন্দা থানার কল্যাণী এলাকার রামকৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে সেখানেও মৃত্যু হয়েছে একজন মহিলা মিতা ঐ মহিলার নাম তিলকা মাল বয়স ৪৯। এই খবরের পরেই আবারও খবর জানা যায় ওন্দা থানার ভাদুল ডাঙ্গা গ্রামের জবা বাউরির বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে তার বয়স মাত্র ৩০ বছর এক গৃহবধূ বলেই খবর, তারপর আরো এক মহিলার মৃত্যুর খবর জানতে পারা যায় উনার বাড়ি ওন্দা থানার ছাগুলিয়া গ্রামে ওখানেও মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার, বজ্রাঘাতে মৃত মহিলার নাম জবা বাউরী, বয়স ৪৫ বছর বলেই খবর।
আর এই খবরের পরেই খবর আসে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের কুলিয়ারা অঞ্চলের বৈকন্ঠপুর থেকে, সেখানে এক বৃদ্ধ নদীর ধারে গরু আনতে গিয়েছিলেন। সেখানেই বাজ পড়ে মৃত্যু হয় মদন বাগদির তার বয়স আনুমানিক ৭০ বছর।
এরপর খবর পাওয়া যায় সোনামুখীর ভাগলুই ফেরিঘাটে সেখানেও নাকি ভয়ঙ্কর বজ্রপাত হয় সেই বজ্রপাতের জেরে ফাটিয়ে দেয় পাকা বাড়ির যাত্রীনিবাসের দেওয়াল, বজ্রপাতের সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী নিবাসের বাড়িতে,বাস যাত্রীরা কম-বেশি প্রায় ১০-১২ জন বজ্রপাতের জেরে একটু হলেও আহত হন। বাঁকুড়া জেলায় একাধিক ব্লকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯জন।
জেলায় চলছে লাগাতার বৃষ্টি সাথে বজ্রপাত, আর বজ্রপাতে প্রাণ গেল একি জেলার ৭ জনের আহত হয়েছেন একাধিক। কোন জেলায় মৃত্যু মিছিল হল জানেন, দেখুন তাহলে বিস্তারিত।
ভয়ংকর পরিস্থিতি চলছে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে, একদিকে চলছে প্রবল বৃষ্টি অন্যদিকে লাগাতার বজ্রপাত, আর যার জেলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। সকাল থেকে একেবারেই গৃহবন্দী সাধারণ মানুষ,বাড়ি থেকে বের হলেই বিপদ, আর পেটের দায়ে কাজে বেরিয়ে, বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল বাঁকুড়া জেলার সাত জনের।
কোতুলপুর জয়পুর পাত্রসায়ের ও ইন্দাস ওন্দা ব্লক সহ ৭ জন ব্যক্তির, আহত আরো অনেকে। জেলায় সকাল থেকে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি সাথে ঝোরো হাওয়া ও লাগাতার বজ্রপাত। আর সেই বজ্রপাতে প্রাণ গেল কোতুলপুর ব্লকের একজনের আহত আরো এক। মৃত ব্যক্তির নাম আসিয়া মোল্লা দুজনেরই বাড়ি কোতুলপুর ব্লকের খিরি গ্রামে।
আচমকায় বাজ পড়ে লুটিয়ে পড়ে দুজন তড়িঘড়ি স্থানীয় মানুষজন উদ্ধার করে নিয়ে যায় কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল সেখানে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরপরেই আবারো জানা যায় পাত্রসায়ের ব্লকের কাঁটাবন গ্রামের যুবক জীবন ঘোষের।
অন্যদিকে জয়পুর ব্লকের মৃত্যু হল জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ভাইয়ের। গ্রাম খোরকাসুলি নাম উত্তম ভূঁইয়া বয়স ৩৫।
এছাড়াও ইন্দাস থানার বাঙালচক গ্রামের এলাকার শেখ ইসমাইলের মৃত্যু হয়েছে আহত হয়েছেন আরো এক মহিলা। ওন্দা ব্লকের ৩ ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে, এক মৃত ব্যক্তির নাম নারায়ণ সাওয়ার বাড়ি ওন্দা থানার কামারকাটা গ্রামের। আরো দুজনের বাড়ি ভাদুল ডাঙ্গা ও কল্যাণীতে একই দিনে পরপর একাধিক ব্লকের গ্রামবাসীদের মৃত্যু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে। টনক নড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনের কান্নায় ভেঙে পড়েছে একাধিক ব্লকের গ্রামবাসীরা।
জেলার উন্নয়নের নিরিখে আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এলো বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লক ও জয়পুর পঞ্চায়েত সমিত।
ফিফটিন অর্থ কমিশনে ফিফটিন ফাইন্যান্সের অধীনে যত কাজ হয়েছে সেই কাজের তহবিলের টাকা ১০০% খরচ করে সম্পূর্ণ হওয়া কাজের নিরিখে বাঁকুড়া জেলার প্রথম স্থান অধিকার করল জয়পুর ব্লক।
রাস্তাঘাট থেকে পানীয় জল সোলার লাইট থেকে বিদ্যুৎ, আটচালা থেকে কমিউনিটি হল, ড্রেন থেকে ব্রিজ,কালভাট থেকে স্কুল প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজের নিরিখে সেরার সেরা উপহার ছিনিয়ে আনলেন বাঁকুড়া জেলার জয়পুর ব্লক ও জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতি। এবার বাঁকুড়া জেলার নাম উজ্জল করলো জয়পুর ব্লক। একদিকে যেমন ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার শ্রী দেবজ্যোতি পাত্র অন্যদিকে জয়েন্ট বিডিও শ্রী শুভজিৎ শিকারী ও একাধিক ব্লকের আধিকারিক , পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধিগন ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এলো জয়পুর ব্লকে। এলাকার মানুষ খুব খুশি।
এমনিতেই সারা বছর খবরের শিরোনামে থাকে জয়পুর ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতি। গরীব অসহায় মানুষ থেকে শুরু করে, অসহায় ছাত্র-ছাত্রী ও প্রতিবন্ধী মানুষদের সব সময় পাশে দাঁড়ান, ২৪ ঘন্টা পরিষেবা দিয়ে যান কর্মীরা।
তাই জেলার 190 টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে কাজের নিরিখের সেরার সেরা জয়পুর। হয়তো অনেক রাস্তাঘাট মানুষের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ বাকি রয়েছে। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ১০০% পূর্ণ করার।
কিন্তু ২২ টি ব্লকের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে জয়পুর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি। তাই জেলার উপহার ছিনিয়ে নিল জয়পুর ব্লক। আর জেলার সেরা সেরা হতেই খুশি জয়পুর ব্লকের মানুষ।
কি জানাচ্ছেন জয়পুর ব্লক যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও জয়পুর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জনাব জাকির খান, চলুন শোনাই আপনাদের।
আবারো দ্রুত গতিতে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারল চার চাকা,প্রাণ গেল একজনের আহত আরো ৪।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, গোঘাটের হাজীপুর এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকালে গোঘাটের হাজীপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত করপুকুর এলাকায়। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় একটি চার চাকা গাড়ি কামারপুকুর থেকে মাংরুল যাবার পথে হাজীপুরের করপুকুর এলাকায় একটি গাছে গিয়ে সজোরে ধাক্কা দেয়। গাড়ির ভেতরে থাকা যাত্রীরা ও গাড়ির চালক সহ চার জন আহত হন,ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় একজনের । দুর্ঘটনা শব্দে ছুটে আসার স্থানীয়রা, স্থানীয়রা এসে আহতদের উদ্ধার করে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়।
শারীরিক অবনতি হওয়ার কারণে তিন জনকে আরামবাগ মেডিকেল হাসপাতালে স্থানন্তরিত করা হয়। পুলিশ গিয়ে গাড়িটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জানা যায় মৃত ব্যক্তির নাম সন্তু বারুই, বাড়ি মঙ্গরুল এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি অতিরিক্ত গতির জেরে এই দুর্ঘটনা। কি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা চলুন শুনাবো আপনাদের।
আবারো সাপের কামড়ে মৃত্যু হল বাঁকুড়ার জয়পুরে, কান্নায় ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার।
ভাঙ্গা মাটির বাড়ির ভেতর বসবাস করছিল বিষধর সাপ গুণখরেও টের পাননি বাড়ির লোক। একই বাড়িতে সাপে মানুষের বসবাস একটি বারের জন্যও জানতে পারেনি বাড়ির ভেতর বসবাস করছে ভয়ংকর বিষধর সাপ। আর শেষমেষ পরিণতি ভয়ানক, বছর পঞ্চাশের মহিলাকে সাপের ছোবলে প্রাণ দিয়ে চুকাতে হলো মূল্য। ঘটনা বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের দিগপাড় গ্রামে।
জানা যায় গতকাল রাত্রি একটার সময় বাড়িতে শুয়েছিলেন বছর পঞ্চাশের বাসন্তী দিগার স্বামী করুনা দিগার, টেবিল ফ্যানের বাতাসে শীত লাগে গায়ে ,তাই খাটিয়া থেকে নেমে শুয়ে ছিলেন বাড়ির মেঝেতে, আর মেঝেতে শুতে গিয়েই কাল হলো বাসন্তীর, হঠাৎ শুরু হয় জ্বালা যন্ত্রনা ঘুমের ঘোরে কখন যে কামড়ে বসিয়ে দিয়েছে গুণক্ষরেও টের পাননি ওই বছর পঞ্চাশের মহিলা।।
হঠাৎ জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হতেই তড়িঘড়ি বাড়ির লোকেদের ডাকতে থাকেন, সাথে সাথে দেরি না করে ছুটে আসেন বাড়ির লোক, নিয়ে আসা হয় জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, সেখানে শুরু হয় দ্রুত চিকিৎসা,মাত্র সময়টা আধঘন্টা ডিফারেন্স তারমধ্যেই ঘটে গেল অঘটন, চিকিৎসকেরা বাঁচানোর চেষ্টা করলেও বাঁচাতে পারেননি বাসন্তীকে।
বিষধর সাপের ছোবলে মৃত্যু হল দিগপারের বাসন্তীর। কি জানাচ্ছেন বাসন্তীর ভাইপো গৌরাঙ্গ দিগার চলুন শোনাবো আপনাদের।
নিজের স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাক্তন সেনা কর্মীর ——–নিজস্ব প্রতিনিধি বাঁকুড়া——–
বাঁকুড়ার ওন্দা থানার বহড়াবাঁধ গ্রামের পেশায় সেনাকর্মী সমিরণ ধল্লর সঙ্গে বিয়ে হয় তালডাংরা থানার পাইকা গ্রামের নিবেদিতার। বিয়ের পর ওই দম্পতির একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরই মাঝে অবসর নেন সমিরণ ধল্ল। দাম্পত্য কলহের জেরে প্রাক্তন ওই সেনা কর্মী স্ত্রীকে মারধর করতো বলে অভিযোগ। ২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল প্রাক্তন ওই সেনা কর্মী নিজের স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
ঘটনার দিন গুরুতর জখম স্ত্রী নিবেদিতা ধল্লকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছর ৩০ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়। এরই মাঝে ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল এই ঘটনায় নিবেদিতার স্বামী সমিরণ ধল্ল, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরের নামে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে নিবেদিতার বাপের বাড়ির লোকজন। হাসপাতালে ওই মহিলার মৃত্যুকালীন জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়।
ঘটনার তিন মাসের মধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। এরপর গত চার বছর ধরে ১৯ জন সাক্ষী ও অন্যান্য তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গতকাল প্রাক্তন সেনা কর্মী সমিরণ ধল্লকে দোষি সাব্যস্ত করে আদালত। আজ তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদন্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। ঘটনায় যুক্ত থাকার তথ্য প্রমাণ না মেলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের নির্দোষ বলে ঘোষণা করে আদালত।