মাথায় গেরুয়া বস্ত্র, কোমরে পরনে গামছা জমিতে চাষ করছেন বিজেপি বিধায়ক, নাটক বলে কটাক্ষ তৃণমূলের।

বাঁকুড়া:- মাথায় পরনে গেরুয়া বসন,কোমরে গামছা ফের আগের ভূমিকায় দেখা গেল বাঁকুড়ার গেরুয়া বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানাকে। নিজের পৈত্রিক জমিতে চালালেন ট্রাক্টর,রোপন করলেন ধান বীচ। তারপর জমির ধারে উঠে এসে বললেন কৃষকদের সাথে কথা। তাদের বোঝালেন কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক সময় মত কৃষকদের চাষের দ্রব্য প্রদান করলেও রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নেই সেই কারণে কৃষকরা সঠিক সময় সঠিক জিনিস পাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রী শেখর দানা।জন্মসূত্রে বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের গোড়াবাড়ি গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান। বিধায়ক হওয়ার পূর্বে বরাবরই তিনি প্রত্যেক বছর পৈতৃক জমিতে চাষ করে আসতেন,এখনো তিনি সেই কাজ করেন বলে দাবি স্থানীয় কৃষক এবং প্রতিবেশীদের।

বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার কথায় “চাষা বাড়ির সন্তান কৃষিকাজ করবো না তো করবটা কি, একটা সময় বাবা দাদারা সবাই এই কাজ করতেন তাই সেই কাজ আমি এখনো করে আসছি”। বিধানসভা ভোটের আগে জনসংযোগের নয়া মাধ্যম কিনা এই বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি তার উত্তরে বলেন “আমি বরাবরই এই কাজ করি বাপ ঠাকুর দাদার দেখানো পথেই আমি চলছি,জনসংযোগের কোন বিষয় নয়”।

নীলাদ্রী শেখর দানার এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসক তৃণমূল শিবির। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার বলেন “বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসছে তাই নাটক শুরু করেছে বাঁকুড়ার বিধায়ক,চার বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পরও বিধায়ক মানুষের কোন কাজে লাগে না,মানুষ বিপদে তাকে পাশে পায় না”।
বাইট:-
১) নীলাদ্রি শেখর দানা (বিজেপি বিধায়ক, বাঁকুড়া)
২)অলকা সেন মজুমদার (চেয়ারম্যান, বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল)
৩)কৃষকগন।