Category: রাঢ় বঙ্গ

  • চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায়  দলের তিন সদস্যের প্রাণ গেলেও দেহ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি মানবিক হাতির দল। কোথায় এমন ঘটনা ঘটলো দেখুন বিস্তারিত।

    চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় দলের তিন সদস্যের প্রাণ গেলেও দেহ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি মানবিক হাতির দল। কোথায় এমন ঘটনা ঘটলো দেখুন বিস্তারিত।

    চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিনটি হাতির যার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।

    আপনাদেরকে আরেকবার জানিয়ে রাখি ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হলো শাবক সহ তিনটি হাতির।

    মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে ‘অরণ্য সুন্দরী’ ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা এলাকায়।

    সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকটি হাতির একটি দল যখন ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় রেল লাইন পার হচ্ছিল ঠিক সেই সময় একটি ট্রেন ওই লাইনের মধ্যে এসে পড়ে। আর যার জেরে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তিনটি হাতির। 

    এই ঘটনায় বনদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই এলাকার মানুষ।
    যদিও রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কাছে এই ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি।


    তবে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান দলবদ্ধ ভাবে পার হচ্ছিল ট্রেন লাইন আর রেললাইন পার হতেই সব শেষ, ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারালো তিন হাতি, আর তিন সঙ্গীর মৃত্যুর মেনে নিতে পারেনি হাতির দল, দল হাতির চেঁচামেচির শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা, তখনই ছুটে আছেন এলাকায় তখন প্রায় গভীর রাত , সেই রাত যেন তাদের কাছে কালরাত্রি।
    হতে পারে জঙ্গলের জংলি হাতি কিন্তু তাদেরও যে পরিবার রয়েছে তা প্রমাণ দিল এ হাতির দল। তিন সঙ্গীকে চোখের সামনে প্রাণ হারাতে দেখেও একটি বারের লেগেও ছেড়ে পালিয়ে যায়নি হাতির দল।


    দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন এলাকায়। সঙ্গী সাথীদের বাঁচানোর জন্য কাতর আর্তনাদে চিৎকার শুরু করেন এলাকায়, কিন্তু যতক্ষণে হাতির বন্ধু মানুষ এল ততক্ষণে সব শেষ। চোখের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন, বনদপ্তরের কর্মীরা তাদের সঙ্গী সাথীদের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহগুলি তুলে নিয়ে যাচ্ছে এলাকা থেকে। তারপর ফিরে গেলেন জঙ্গলে ।আবারো প্রমাণ করে দিল এই হাতির দল জঙ্গলের বন্যপ্রাণী হতে পারে তাদেরও যে একটি পরিবার তাদেরও যে দুঃখ যন্ত্রণা হয় জলজ্যান্ত প্রমান দিয়ে গেলেন বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন তাদেরও মন প্রাণ দুঃখ যন্ত্রণা হয়। আর সেই ঘটনার সাক্ষী থাকলো ঝাড়গ্রাম এলাকার মানুষ।

  • লাগাতার বৃষ্টির জেরে রাজ্যে ফুঁসছে একাধিক নদী, ভাঙছে পার, তলিয়ে যাচ্ছে জমির ফসল, ফসল হারিয়ে মাথায় হাত বীরভূমের চাষীদের।

    লাগাতার বৃষ্টির জেরে রাজ্যে ফুঁসছে একাধিক নদী, ভাঙছে পার, তলিয়ে যাচ্ছে জমির ফসল, ফসল হারিয়ে মাথায় হাত বীরভূমের চাষীদের।

    !! নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে চাষজমি ফসলসহ নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় দুশ্চিন্তাই ধুকছে চাষিরা জমি হারিয়ে কোপাল চাপড়াচ্ছে নদীর পাড়ে।

    বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের জয়দেব কেন্দুলি অঞ্চলের বিভিন্ন নদী তীরবর্তী গ্রামের চাষিরা জমি সহ ফসল নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় ভুগছে। যেমন জয়দেব কেন্দুলী অঞ্চলের সন্তোষপুর গ্রামের নদীর তীরবর্তী এলাকার চাষীদের কমবেশি ১৫-১৬ বিঘা জমি সহ ফসল নদীগর্ভে চলে গেছে এবং জল কমার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভাঙ্গন আরো দেখা দেয়। নদীর ধারে বেশ কয়েক মিটার পাথর দিয়ে গার্ডওয়াল তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু সেই গার্ডওয়াল শেষ রক্ষা করতে পারল না জমি সহ ফসলের।

    এমনকি সরকারি সাবমারসিবল ও ইলেকট্রিক খুঁটি সেটাও নদীগর্ভে চলে যায় এমনটাই জানিয়েছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।গ্রামের মানুষদের একটাই দাবি সরকারের কাছে পুনঃরায় এই নদীর গার্ডওয়াল তৈরি করা হোক তাহলে হয়তো চাষযোগ্য জমিগুলি কিছুটা হলেও থাকবে। বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে অজয় নদীর জলশ্রোত বাড়ার কারণে এমনই বিপত্তি ঘটে।বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের জয়দেব কেন্দুলী অঞ্চলের সন্তোষপুর গ্রামের চাষীদের চাষযোগ্য জমি চলে গেছে জলের তলায়।প্রশাসন ও সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা গ্রামের চাষিরা। কিভাবে জীবন যাপন ও খেটে খাওয়া চাষীরা জীবিকা নির্বাহ করবে তা ভেবে সমস্ত গ্রামের চাষীদের মন ও মুখ শুকনো।।

    সন্তোষপুর গ্রামের এক চাষী মনিমোহন বিশ্বাস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কি বললেন চলুন আপনাদেরকে শোনাবো,,,,

    ইলামবাজার থেকে জয়ন্ত মন্ডল এর রিপোর্ট বীরভূম।।

  • মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল বড়জোরায়, মৃত এক আহত আরো এক কেমন হয়েছিল দেখুন বিস্তারিত।

    মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল বড়জোরায়, মৃত এক আহত আরো এক কেমন হয়েছিল দেখুন বিস্তারিত।

    বড়জোড়ামাটির বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হলো এক বৃদ্ধের।


    বড়জোড়ার হাটআশুড়িয়া গ্রামের ঘটনা।মৃতের নাম সাধন বাউরি(৬১)।আহত হয়েছেন তার স্ত্রী সারথী বাউরি।বুধবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
    একটানা বৃষ্টি চলছে জেলায়।বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে অনেক মাটির বাড়িই।সেই মাটির বাড়িতে বিশ্রাম নিতে যাওয়াই কাল হলো


    হাটআশুড়িয়ার সাধন বাউরির। মৃতের বৌমা কচি বাউরি বলেন এদিন চাষের কাজ সেরে এসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তাদের টালির চালার মাটির ঘরে বস্তার উপর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন শ্বশুর মশাই। ওই ঘরে তার স্ত্রী সারথী বাউরি ও বসেছিলেন। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রচন্ড জোর বৃষ্টি নামে।তিনি বলেন বাবা মাকে আমারা যে পাকা দেওয়ালের ঘরে ছিলাম সেখানে ডাকলাম।

    ওনারা এলেন না।কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎই জোর আওয়াজ। বাইরে এসে দেখি মাটির ঘর পড়ে গেছে।চিৎকার করে সবাইকে ডাকি।পাড়ার লোকজন ছুটে আসে।মা কে পাওয়া গেলেও বাবা কে খুঁজে পাচ্ছিলাম না।পাড়ার লোকজন এসে মাটি সরিয়ে সাধনকে উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষনা করা হয়।এই ঘটনায় চোট পান সাধনের স্ত্রী সারথী ও।

    বাইট :-কচি বাউরি (মৃতের বৌমা )

  • জঙ্গল ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছে হিংস্র প্রাণী, ভাইরাল ভিডিও,আতঙ্কে জঙ্গল লাগোয়া এলাকাবাসী। কোথায় এমন ঘটলো শোরগোল পড়ে গেল এলাকায়,কি এমন ঘটল দেখুন বিস্তারিত।

    জঙ্গল ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছে হিংস্র প্রাণী, ভাইরাল ভিডিও,আতঙ্কে জঙ্গল লাগোয়া এলাকাবাসী। কোথায় এমন ঘটলো শোরগোল পড়ে গেল এলাকায়,কি এমন ঘটল দেখুন বিস্তারিত।

    গঙ্গাজলঘাটির জঙ্গলে অজানা জন্তু, আতঙ্কে এলাকাবাসী।

    জঙ্গলে আচমকায় দেখা মিলল অজানা জন্তু, আতঙ্কে এলাকাবাসী।

    এই ছবি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের জামগাড়ির জঙ্গলের ।

    জঙ্গলে দেখা মিলল এক অজানা জন্তুর। সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা প্রথম জন্তুটিকে দেখতে পান এবং তার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি “bcn বাংলা”।
    তবুও ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।


    জন্তুটির প্রকৃতি সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি তবে অনেকেই মনে করছেন এটি ‘জঙ্গল ক্যাট’ হতে পারে। অনেকে আবার মনে করছেন মেছো বেড়াল অনেকে আবার বা বাঘরোল বলে দাবি করেন, তবে যাই হোক এই অচেনা জন্তুর ভিডিও দেখে আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। তবে খবর দেয়া হয়েছে বন দপ্তরকে।। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে আসলে এটা কি জন্তু তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে জন্তুটি এখনও ধরা পড়েনি বলেই খবর। দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও।

  • পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে খুন! চাঞ্চল্য কোমরপুরে — প্রাণ গেল তৃণমূল নেতা পীযূষ ঘোষের, অপরাধ কি ছিল ?

    পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে খুন! চাঞ্চল্য কোমরপুরে — প্রাণ গেল তৃণমূল নেতা পীযূষ ঘোষের, অপরাধ কি ছিল ?

    পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে খুন! চাঞ্চল্য কোমরপুরে — প্রাণ গেল তৃণমূল নেতা পীযূষ ঘোষের।।

    বীরভূম জেলার লাভপুর বিধানসভার শ্রীনিধিপুর অঞ্চলের কোমরপুর গ্রামে শনিবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ পীযূষ ঘোষ খুন হন।
    স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাই দুষ্কৃতীরা পীযূষবাবু কে। সেই সময়ই দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপর চড়াও হয় এবং খুব কাছ থেকে, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে একাধিক গুলি চালিয়ে চম্পট দেয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক

    রা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
    এই নৃশংস ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কে বা কারা এর পিছনে রয়েছে, কী উদ্দেশ্যে এই হামলা — তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি স্থানীয়দের একাংশের দাবি, রাজনৈতিক না অন্য কোন কারণ হতে পারে।

    কাজী আমীরুল ইসলামের রিপোর্ট।।


    এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
    পীযূষ ঘোষ ছিলেন কৃষক সমাজে অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ। তাঁর এই আকস্মিক ও নৃশংস মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। পরিবারের পাশে লাভপুরের বিধায়ক। তিনি জানান বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন খতিয়ে দিচ্ছেন। ঘটনার পূণ্য তদন্ত করছে পুলিশ। পুলিশ ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করেছে।

  • জেলা সভাপতি করা হুশিয়ারিকে গুরুত্বই দিল না বুথ সভাপতি, পঞ্চায়েত থেকে ত্রিপল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল।

    জেলা সভাপতি করা হুশিয়ারিকে গুরুত্বই দিল না বুথ সভাপতি, পঞ্চায়েত থেকে ত্রিপল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল।

    জেলা সভাপতি করা হুশিয়ারিকে কান দিল না বুথ সভাপতি,

    পঞ্চায়েত থেকে তিরপল নিয়ে পালাচ্ছে বুথ সভাপতি,দেখুন সেই ভাইটাল ভিডিও।। মানতে নারাজ শাসক দল এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বিসিএন বাংলা।।

    জেলা সভাপতির কড়া হুঁশিয়ারীর পরেও তৃণমূলের বুথ সভাপতির পঞ্চায়েত থেকে ত্রিপল নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল করল বিজেপি,শুরু রাজনৈতিক তর্জা*

    দলের জেলা সভাপতির হুঁশিয়ারীতেও কাজ হলোনা! অতি সম্প্রতি দলের এক সভায় ত্রাণের ত্রিপল নিয়ে বুথ সভাপতিদের কড়া হুঁশিয়ারী দিয়েছিলেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তারাশঙ্কর রায়। কিন্তু জেলা সভাপতির সেই হুঁশিয়ারীতেও কাজ হলোনা! চলতি বর্ষার মরশুমে সিমলাপাল ব্লকের বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিপল নিয়ে দূর্গত মানুষের ক্ষোভের মাঝেই ওই ত্রিপল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার অভিযোগ উঠলো শাসক দলের এক বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। অথচ ঐ পঞ্চায়েতে ত্রিপল না পেয়ে পঞ্চায়েত ঘেরাও এবং রাস্তা অবরোধও করেছেন সম্প্রতি ঐ অঞ্চলের মানুষ। বিরোধী বিজেপির সৌজন্যে সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করিনি আমরা।

    বিজেপির তালডাংরা মণ্ডল-৪ সভাপতি তথা সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শৌভিক পাত্র তাঁর নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও পোষ্ট করে লেখেন, ‘…তৃণমূল কংগ্রেসের এক বুথ সভাপতি সরকারী ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ ত্রিপল নিজের সুবিধার জন্য বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, প্রবল বর্ষণে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত গরীব মানুষরা এখনও একটা ত্রিপল পাচ্ছেননা’।

    শুধু ভিডিও পোষ্ট করেই ক্ষান্ত নন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শৌভিক পাত্র। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও তিনি তাঁর ওই অভিযোগের স্বপক্ষেই বক্তব্য রাখেন।

    ত্রিপল বিতর্কে দলের ওই বুথ সভাপতির পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। সিমলাপাল ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রবিদাস চক্রবর্তীর দাবি, বিজেপির কূৎসা করাই কাজ। দলের কোন বুথ সভাপতি এই ধরণের কাজ করেনা বলেই তিনি দাবি করেন।

    একই দাবি করেন তৃণমূল পরিচালিত বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফুলমনি সরেন। তার দাবি তদন্ত করে প্রকৃত উপভোক্তাদের হাতেই ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। বুথ সভাপতি কোন ত্রিপল নিয়ে যাননি বলে তিনি দাবি করেন।

    অন্যদিকে, সিমলাপালের বিডিও মানস চক্রবর্তী এবিষয়ে বলেন, ভিডিওটি আমি দেখিনি। ওই ভিডিও পেলে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।

  • আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আর বাড়ি ফিরল না 22 বছরের যুবক, আজ সকালে দেহ উদ্ধার হলো নয়নজলি থেকে। কি এমন হলো দেখুন বিস্তারিত।

    আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আর বাড়ি ফিরল না 22 বছরের যুবক, আজ সকালে দেহ উদ্ধার হলো নয়নজলি থেকে। কি এমন হলো দেখুন বিস্তারিত।

    বাঁকুড়ার কোতুলপুর নয়নজলি থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার ব্যাপক চাঞ্চল্য,


    এবার বাঁকুড়ার কোতুলপুরে নয়নজুলিতে পড়ে মৃত্যু হল বাইক আরোহীর।

    সূত্রের খবর গত কাল মধ্যরাতে আত্মীয় বাড়ি এসে নয়নজলিতে পড়ে মৃত্যু হল ২২ বছরের যুবকের এমন টাই
    স্থানীয় সূত্রে খবর।
    ঘটনা কোতুলপুর লাউগ্রাম অঞ্চলের সিমডাল গ্রামে।


    গতকাল রাতেই আত্মীয়র বাড়ি এসে ফিরে যাচ্ছিল বাড়ি আর বাড়ি ফেরার পথে দ্রুত গতিবেগে ফিরছিলেন ,সেই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়নজুলিতে পড়ে মৃত্যু হয় ,এমনটাই অনুমান করছেন এলাকার মানুষ।

    সকালে গ্রামের মানুষ গিয়ে দেখেন গ্রামের রাস্তার পাশে ঝোপ ঝাড়ে নয়নজলিতে পড়ে রয়েছে এক বাইক সহ এক যুবক।
    খবর যাই কোতুলপুর থানায়
    তৎক্ষণাৎ কোতুলপুর থানার পুলিশ এসে দেহ সহ মোটরবাইকটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।


    পুলিশ সূত্রে জানা যায়। মৃত যুবকের বাড়ি কোতুলপুর লাউগ্রাম এলাকায়।
    নাম সুভাষ মাঝি
    বয়স আনুমানিক ২২ বছর ।

  • গুরু পূর্ণিমায় গুরু শিষ্যের মহামিলন উৎসব শুরু বীরভূমে, কেন এই উৎসব দেখুন বিস্তারিত।

    গুরু পূর্ণিমায় গুরু শিষ্যের মহামিলন উৎসব শুরু বীরভূমে, কেন এই উৎসব দেখুন বিস্তারিত।

    *!! বীরভূমের জয়দেব কেন্দুলী শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে গুরু-শিষ্যের মহামিলন উৎসব!!*

    যিনি আমাদের শিক্ষা দেন, তিনিই গুরু। ভারতীয় ধর্মীয় সংস্কৃতিতে গুরুর বিশেষ স্থান রয়েছে। সারা বছরের সঙ্গে গুরুকে শ্রদ্ধা নিবেদন করার বিশেষ দিনটি হল “গুরুপূর্ণিমা”। আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথি গুরুপূর্ণিমা হিসেবে পালিত হয়। প্রতিবছরের মত এবারও
    বীরভূমের জয়দেব কেন্দুলী শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে আজ ১০ ই জুলাই মহাসমারোহে পালিত হয় হয় “গুরু পূর্ণিমা” উৎসব।

    এদিন  থেকেই সকাল  বহিরাগত এবং স্থানীয় জয়দেব কেন্দুলী ভক্তদের ঢল ঢল নামে শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমে।ভোর থেকে শুরু হয়েছে মঙ্গলারতি, হরিনামের আসর এবং বিশ্ব কল্যাণ যজ্ঞ। আশ্রমের পক্ষ থেকে দুপুরে ভক্তদের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন করা হয়। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে এদিন ভক্ত পুণ্যার্থীরাএই গুরু পূর্ণিমার দিন শ্রদ্ধার সাথে গুরুদেব স্বর্গীয় গৌরানন্দ মহারাজের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

    উল্লেখ্য গত ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ গুরুদেব গৌরানন্দ মহারাজ শ্রী রামকৃষ্ণলোকে বিলীন হন। সে কথায় জানিয়েছেন দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ। উল্লেখ্য,
    হিন্দু ধর্মে গুরু পূর্ণিমার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই তিথিটি আষাঢ় পূর্ণিমা, ব্যাস পূর্ণিমা এবং বেদব্যাস জয়ন্তী নামেও পরিচিত।এই দিনে, ব্রহ্মসূত্র, মহাভারত, শ্রীমদ্ভাগবত এবং আঠারোটি পুরাণের মতো বিস্ময়কর ধর্মীয় সাহিত্য রচনাকারী মহান গুরু মহর্ষি বেদব্যাসের জন্মদিন। এবারও গুরু শিষ্যের এই মহামিলন উৎসব যথোচিত মর্যাদায় উদযাপিত হয় জয়দেব কেন্দুলীতে।।

    জয়দেব কেন্দুলি থেকে জয়ন্ত মন্ডলের রিপোর্ট বীরভূম।।

  • বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজে দুই ছাত্রনেতার চাকরিকে ঘিরে বড় বিতর্ক , ফের শাসকদলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতীত্বের অভিযোগ।

    বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজে দুই ছাত্রনেতার চাকরিকে ঘিরে বড় বিতর্ক , ফের শাসকদলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতীত্বের অভিযোগ।

    কলেজে টিএমসিপি নেতাদের চাকরি ঘিরে ফের বিতর্ক,, ফের শাসকদলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ!

    তাহলে কি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কোথায় সত্যি, তিনি ভাইপোগাং বলে সাংবাদিক সম্মেলন করে হাতে ব্যানার পোস্টার প্রকাশ করেন ৫০ জনের, আরো ৯০০ জনের লিস্ট রয়েছে বলে দাবি করেন। ঠিক একইভাবে বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজের এই ছবি।আবারও তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের ‘প্রভাব’ খাটিয়ে চাকরি! প্রশ্নের মুখে রামানন্দ কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজে ছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রনেতা মনোজিৎ মিশ্রের চাকরি পাওয়া নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে বিতর্ক, ঠিক সেই সময় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের রামানন্দ কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই শীর্ষ নেতার ‘নিয়মবহির্ভূত’ অস্থায়ী নিয়োগ ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

    বিজেপি ও বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই অভিযোগ তুলেছে, রামানন্দ কলেজে কোনও রকম সরকারি নিয়ম না মেনেই টিএমসিপির শহর সভাপতি বাপন দাস ও ব্লক সভাপতি শেখ আমির সোহেলকে অস্থায়ী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, “রাজ্যের প্রায় সব কলেজেই তৃণমূলের দাদাগিরি চলছে। সরকারি নিয়ম না মেনেই এই দুই ছাত্রনেতা চাকরি পেয়েছেন।”

    এসএফআই নেতা শুভঙ্কর রায়ের বক্তব্য, “রামানন্দ কলেজে বিরোধীদের কোনও জায়গা নেই। নিয়ম না মেনে শুধুমাত্র তৃণমূলের ছাত্রনেতা হলেই চাকরি মেলে এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

    তবে কলেজের অধ্যক্ষা স্বপ্না ঘড়ুই জানান, ২০২০ সালে তৎকালীন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি শ্যামল সাঁতরার নির্দেশে দু’জনকে অস্থায়ীভাবে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সভাপতি পরিবর্তনের পর অরূপ চক্রবর্তীর আমলে মাসমাইনে ভিত্তিতে তাঁদের ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট পদে নিযুক্ত করা হয়।

    বিতর্কের মুখে থাকা দুই টিএমসিপি নেতা ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

    তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, “যোগ্যতার ভিত্তিতে যে কেউ চাকরি পেতে পারেন। কেউ তৃণমূল করেন বলেই তাঁকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়।”

    তবুও বিরোধীদের প্রশ্ন, ‘যোগ্যতা’ নাকি ‘যোগাযোগ’ কোনটা চাকরি পাওয়ার আসল চাবিকাঠি।

  • তারাপীঠে উল্টো রথে মা তারার রাজবেশে মহা পরিক্রমা, ভক্তদের ঢল নামল মন্দির চত্বরে।

    তারাপীঠে উল্টো রথে মা তারার রাজবেশে মহা পরিক্রমা, ভক্তদের ঢল নামল মন্দির চত্বরে।

    নিজস্ব প্রতিনিধি:-….

    তারাপীঠের রথযাত্রা শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি এক গভীর আস্থার প্রতীক। অন্যান্য স্থানে যেখানে রথে চড়েন জগন্নাথ দেব ও বলরাম ও সুভদ্রা তারাপীঠে সেই রথে চড়েন মা তারা স্বয়ং। এটাই তারাপীঠের এক বিশেষ ও প্রাচীন ঐতিহ্য।

    আজ শনিবার উল্টো রথের দিনেও সেই ঐতিহ্য অনুসারে রাজবেশে মা তারাকে রথে বসানো হয়। তার আগে সম্পন্ন হয় বিশেষ মঙ্গল আরতি। এরপর শুরু হয় মা তারার রথযাত্রা—বাজনা, ঢাক, কাঁসর ও শঙ্খধ্বনির মধ্যে দিয়ে নগর পরিক্রমা করেন মা তারা। গোটা তারাপীঠ এলাকায় সৃষ্টি হয় এক অপার্থিব আবহ।

    বৃষ্টির জন্য এক মুহূর্তেরও বিরতি না নিয়ে ভক্তরা ভিজে ভিজেই অংশ নেন এই পবিত্র রথযাত্রায়। সকাল থেকেই বৃষ্টির দাপট থাকলেও তা ঠেকাতে পারেনি ভক্তদের উদ্দীপনা। তারাপীঠ মন্দির চত্বরে দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার ভক্ত ভিজে গিয়েও মা তারার দর্শনে মগ্ন হন। রথের দড়িতে টান দিতে কেউ এসেছেন বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, কেউ বা এসেছেন রাজ্য বাইরের জেলা থেকেও।

    সাধু-সন্ন্যাসীরাও এই দিনটিতে অংশগ্রহণ করেন তাদের নিজস্ব ধর্মীয় কলাকৌশল ও উপাচারের মাধ্যমে। রথযাত্রার আগে তারা রাস্তা ধরে নানা আচার-অনুষ্ঠান ও সঙ্গীত পরিবেশন করে রথের পথ প্রশস্ত করেন। সেই সঙ্গেই বাজনার তালে তালে এগিয়ে চলে মা তারার রথ, আর রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ভক্তির স্পন্দন।

    এই রথযাত্রা শুধু এক ধর্মীয় রীতির প্রতিফলন নয় এ এক অনুভব, এক বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ, যা বছরের পর বছর ধরে মা তারার মাটিতে গড়ে তুলেছে এক অতুলনীয় ধর্মীয় ঐতিহ্য।