Category: রাঢ় বঙ্গ

  • যেন রামকৃষ্ণের বাণী অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন মুজিবর কাজী,সকাল হলেই পাড়ি দেন কিলোমিটার এর পর কিলোমিটার পথ, কেন এমন কাজ তিনি রোজ করেন জানলে চমকে যাবেন আপনিও।

    যেন রামকৃষ্ণের বাণী অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন মুজিবর কাজী,সকাল হলেই পাড়ি দেন কিলোমিটার এর পর কিলোমিটার পথ, কেন এমন কাজ তিনি রোজ করেন জানলে চমকে যাবেন আপনিও।

    পেশায় তিনি একজন জয়পুর ব্লকের বড় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সেই দায়িত্ব সামলেও ছুটির দিনেও বসে নেই বাড়িতে পরিবেশবান্ধবের বার্তা নিয়ে সকাল সকাল মোটরসাইকেল নিয়ে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পারী দিচ্ছেন গাছ লাগাতে।

    চলার পথে সঙ্গী সাথে একটা স্কুটি মাথায় হেলমেট সাথে বেশ কয়েকটা ব্যাগ, তাতে সামনে-পেছনে শুধু চারা গাছ আর চারা গাছ, এত চারা গাছ নিয়ে কি করেন তিনি জানেন।
    তাকে কেউ ফোন করে ডাকলে যে চারা গাছ দেবেন আমি লাগাবো, লাগাতে চাই আমার বাড়িতে।
    সাথে সাথেই তিনি পকেটের টাকা খরচ করে কিনে ফেলেন চারা গাছ পৌঁছে দিয়ে লাগিয়ে দিয়েআসেন তার বাড়িতে, কারণ একটাই বার্তা সাধারণ মানুষকে,গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান।

    সেই মহান মানুষরা কে বলুন তো? যিনি সব সময় মানুষের সেবা করছেন,—-চিনতে পারলেন ।
    ছবি দেখেই নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কার কথা বলছি। হ্যাঁ? কাজী দাদু নামে যাকে আমরা চিনি, সেই মুজিবর কাজী। যিনি অসহায় মানুষের পাশে সব সময় থেকেছেন করে এসেছেন মানব সেবা, আজও কিন্তু তার ব্যাতিক্রম হয়নি কখনো দেখেছি অফিস টাইমের ফাঁকে কখনো আবার ছুটির দিনে, রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে চলেছেন এই মানুষটি। অবিরাম মানুষের সেবায় সব সময় ছুটে চলেছেন মুজিবর কাজি ওরফে কাজী দাদু।।


    আজ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের চাচোর গ্রামে স্কুলে লাগান গাছ। আজোও তিনি ৪৫টি চারাগাছ লাগিয়ে ও উপহার দিয়ে বৃক্ষ রোপন এর বার্তা শিশুদের দিয়ে গেলেন। তিনিই তো আমাদের গাছ দাদা মুজিবর কাজী।সকলের কাছে একটাই তিনি বার্তা দেন বিবাহ ঘর বা অন্নপ্রাশন, যেই ডাকেন গাছ লাগানোর উদ্দেশ্যে ছুটে চলেন তার বাড়িতে, দিয়ে আসেন চারা গাছ।

    উপহার শুধু যে লোকের বাড়িতেই দেয় তা নয়, তিনি লাগিয়েছেন সারি সারি রাস্তার দু সাইডে তালগাছ, বট গাছ, সহ আরো অনেক ফুল ফলের গাছ, তাই তিনি সকলের কাছে একটাই বার্তা দেন সকলে এগিয়ে আসুন পরিবেশকে রক্ষা করুন আপনি নিজে বাঁচুন অপরকে বাঁচান।

    শুধু যে গাছ আমাদের অক্সিজেন যোগায় তা নয় এই গাছের ডালে বাসা করবে পাখিরা কিচিরমিচির শব্দ শুনতে পাবেন সকলে খেলা করবে গাছের এডাল থেকে ওডাল ছায়া দেবে মানুষকে। বৃষ্টি হোক বা বর্ষা গাছে আমাদের একমাত্র ভরসা। তাই সকলের কাছে একটাই বার্তা গাছ লাগান পরিবেশ বান্ধব গড়ে তুলুন।

  • সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা চলে গেল তিন বছরের শিশুর ফুটফুটে প্রাণ। কি এমন ঘটলো দেখুন বিস্তারিত

    সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা চলে গেল তিন বছরের শিশুর ফুটফুটে প্রাণ। কি এমন ঘটলো দেখুন বিস্তারিত

    আবারো সাতসকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা

    বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর রাধানগর সন্ন্যাসী পাড়ায়।। বাড়ির সামনে যে কয়েক ঘণ্টা আগেও মিষ্টি হাসি মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ছুটে বলছিল চারিদিক ফুটফুটে তিন বছরের শিশু হঠাৎ করেই নিখোঁজ।
    মা ভেবেছেন তার কাকুর কাছে খেলা করছে। কাকু ভেবেছেন তার মায়ের কাছে রয়েছে। এই টালবাহানার ফাঁকে বাড়ির সামনে পুকুরে জলে কখন যে নেমে যায় এই শিশু কন্যা, সেটা কেউ দেখেনি। তারপরই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    কি ঘটেছে জানেন পুকুরের জলে নেমে পড়ে এই শিশু। সাথে সাথেই পাড়া-প্রতিবেশী ও বাড়ির লোক ওই পুকুরের জল থেকে উদ্ধার করে রাধানগর হসপিটালে নিয়ে যায় সেখান থেকে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের স্থানান্তরিত করে তারপরেই সব শেষ। শিশু হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে পুরো পরিবার। বাড়ির লোকের নজরদারির অভাবে আবারও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর রাধানগর সন্ন্যাসী পাড়ায় ।

    তাই আপামর সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে যাদের বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে সব সময় নজর রাখুন বাচ্চার খেয়াল রাখুন।

    সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।। আপনি খবরটি পড়েছেন অপরকে খবরটি পড়ার জন্য অবশ্যই শেয়ার করুন।

  • বাঁকুড়ার ওন্দা গ্রাম থেকে বিবাহ করতে যাবার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাল্টি বর ও বরযাত্রী বোঝায় বাস,আহত একাধিক।

    বাঁকুড়ার ওন্দা গ্রাম থেকে বিবাহ করতে যাবার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাল্টি বর ও বরযাত্রী বোঝায় বাস,আহত একাধিক।

    এবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাল্টি খেল বরযাত্রী বোঝাই বাস

    অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা বড় ও বরযাতিরা।ডাইভারের অসুস্থতার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাল্টি খেলো বরযাত্রী বোঝায় বেসরকারি টুরিস্ট বোঝায় বাস, প্রাণেরক্ষা বড় ও বরযাত্রীদের।

    ঘটনা বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির অমরকাননে।ঘটনায় গুরুতর যখন বরযাত্রী দের অনেকে, স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার মানুষের চেষ্টায় উদ্ধার আহতদের, নিয়ে যাওয়া হয় অমরকানন হাসপাতালে।স্থানীয় সূত্রে খবর বাঁকুড়া রানীগঞ্জ ৬০ নং জাতীয় সড়ক ধরে, রানীগঞ্জের দিকে আসছিল বরযাত্রী বোঝায় বেসরকারি বাসটি। সেই সময় অমরকানন কলেজ মোড় এর কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাসটি, দুর্ঘটনার খবর শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা,খবর দেওয়া হয় গঙ্গাজলঘাটি থানায়।

    খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ছুটে আসেন এলাকায় আহতদের উদ্ধার করে অমরকানন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে বলেই খবর।তবে এই দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিবাহ করতে যাওয়া বর তিনি গাড়ির ভিতরেই ছিলেন তিনি জানান খুব জোর তিনি ও ওনার পরিবার সকলে সুরক্ষিত আছেন এটাই ভগবানের কাছে খুব বড় পাওয়া।

    তিনি জানান বাঁকুড়ার ওন্দা গ্রাম থেকে বিবাহ করতে যাচ্ছিলেন সেই সময় এই দুর্ঘটনা টি ঘটে। তিনি ওই বাসের ভেতরেই ছিলেন তিনি দেখেন বাসের ড্রাইভার আচমকায় অসুস্থ হয়ে পড়ে তারপরেই বাসটি মাঠে নেমে পাল্টি হয়ে যায়। ক্যামেরার সামনে তিনি ঠিক কি জানাচ্ছেন চলুন সোনাব আপনাদের।

  • বাড়ির লোকের কাছে টাকা ছিনতাই এর গল্প ফাঁদতে গিয়ে মহা বিপদে যুবক ব্যবসায়ী ।তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ,কেন? বিস্তারিত দেখুন।

    বাড়ির লোকের কাছে টাকা ছিনতাই এর গল্প ফাঁদতে গিয়ে মহা বিপদে যুবক ব্যবসায়ী ।তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ,কেন? বিস্তারিত দেখুন।

    দিনের পর দিন ব্যবসায় লোকসান, সেই লোকসান বাড়ির থেকে আদায় করার ফন্দি আটতে গিয়ে মহা ফেসাদে যুবক

    রঞ্জিত কুন্ডু-বাঁকুড়া
    ব্যবসায় পরপর লোকসান,খোয়া গেছে ৭ লক্ষ টাকা,তাই মনে মনে ফন্দি আটলো ব্যবসায়ী যুবক। গল্প ফেঁদে বসে বাড়ির লোকের কাছে যে তার নাকি ছিনতাই হয়ে চলে গেছে সব টাকা।
    কিন্তু সেই গল্প করতে গিয়ে আর শেষ রক্ষা হলো না,মিথ্যা গল্পের পর্দা ফাঁস করল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।

    উল্টে পুলিশ রবিবার ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলার অজু করেছে। ঘটনা বিষ্ণুপুরের চৌকান রেলগেট এলাকার ওই ঘটনায় চাঞ্চল ছড়ায় এলাকায়।

    ফাইল চিত্র। এই ছবি এই খবরের ছবি নয়।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বিষ্ণুপুরের মোরার এলাকার এক যুবক তাদের পারিবারিক ব্যবসায় সাত লক্ষ টাকা লোকসানের মুখে পড়ে,কিন্তু তার হিসাব দিতে পারছিল না বাড়ির লোকের কাছে।
    সেই জন্য পরিবারের লোকজনকে ধোঁকা দিতে ব্যাংকের টাকা জমা দিতে যাওয়ার নাম করে মিথ্যা ছিনতায়ের গল্প ফেঁদে বসে। নিজেই পুলিশকে ছিনতাইয়ের খবর দেয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা এলাকায় ঘিরে ফেলে, চালায় তল্লাশি।

    পরে রাস্তার ধারে ওই যুবকের পরিকল্পিতভাবে ফেলে রাখা একটি মোবাইল ও একটি খালি ব্যাগ উদ্ধার হয়। ঘটনা তদন্ত নেমে পুলিশ ওই যুবকের কোথায় অসঙ্গতি মেলায় পুলিশের কাছে ধরা পড়ে যুবক। আর এরপরই পুলিশ শুরু করে নিজেদের মতন খেলা।
    শুরু করে ওই যুবককে জেরা শেষ পর্যন্ত মিথ্যে গল্প পুলিশের কাছে ধোপে টিকলো না, গর গড় করে সত্যি কথা বেরিয়ে পড়ে মুখ থেকে, শেষমেষ স্বীকার করে নেয় এই মিথ্যা গল্প কাহিনী।। এই খবরটি আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করুন।

  • ফের মা মনসার গা থেকে গহনা চুরি,খোয়া গেল লক্ষ লক্ষ টাকার গহনা, বারবার চুরির ঘটনায় আতঙ্কে এলাকার মানুষ।

    ফের মা মনসার গা থেকে গহনা চুরি,খোয়া গেল লক্ষ লক্ষ টাকার গহনা, বারবার চুরির ঘটনায় আতঙ্কে এলাকার মানুষ।

    বোলপুরের মন্দিরে ফের দুঃসাহসিক চুরি, ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।।

    বোলপুরের কালীমোহন পল্লীতে কয়েক দশকের বেশি পুরানো মনসা মন্দিরে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়।
    কারা চুরি করল কিভাবে বা হলো চুরি, তদন্তে পুলিশ।
    জানা যায় স্থানীয় এলাকার মন্দিরের সেবাইত,সোমবার সকালে মন্দির খুলতে এসে দেখেন মন্দিরের তালা ভাঙা। মায়ের গায়ে গহনা নেই একটিও, আর সেই দেখে মাথায় বাজ পড়ার মত অবস্তা মন্দিরের সেবায়েতের।


    তড়িঘড়ি খবর দেন গ্রামবাসীদের, গ্রামবাসীরা দেখে তারাও হতভম্ব হয়ে যান, কিভাবে হল চুরি কারা করল এই নক কার জন্য কাজ।
    জানা গিয়েছে মা মনসা ও তার সখীদের পরনে থাকা একাধিক সোনা ও রুপার গহনা সহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী । খোলা হয় না কোনদিনও, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা। কয়েক মাস আগে বোলপুর সংলগ্ন একাধিক এলাকার মন্দিরে পরপর চুরির ঘটনা ঘটছিল। তারপর আবারো এইদিন এই মন্দিরের চুরির ঘটনা সামনে আসার পরই স্বাভাবিকভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বোলপুর থানায় এলাকায়।


    চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বোলপুর থানার পুলিশ। তারা ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।

    বীরভূম বোলপুর থেকে কাজী আমীরুল ইসলামের রিপোর্ট বিসিএন বাংলা।

  • কংসাবতী ক্যানেল পোলের লক গেট দুর্ঘটনায় ১২ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন জয়পুরের যুবক

    কংসাবতী ক্যানেল পোলের লক গেট দুর্ঘটনায় ১২ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন জয়পুরের যুবক

    18 জুলাই কংসাবতী ক্যানেল পোলের লক গেট পড়ে দুর্ঘটনার ১২ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন যুবক।


    বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হসপিটালে প্রায় ১২ দিন ভর্তি থাকার পর দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বাঁকুড়ার জয়পুরের যুবক।

    গত ১৮ই জুন বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের সুইজারগড় গ্রামে কংসাবতী ক্যানেলের তোলার গর্ত দিয়ে জল নামা দেখতে গিয়ে কংসাবতী ক্যানেলের লক গেট ভেঙে পড়ে গুরুতর যখন হন জয়পুর শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলিয়া গ্রামের বছর ৪০ থেকে ৪৫ এর যুবক, তিনি কর্মসূত্রে থাকতেন শ্বশুরবাড়ি সুজারগর গ্রামে। এলাকার জামাই বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি, উনার নাম ষষ্ঠী লোহার পিতা মথুর লোহার।


    আহত হওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত এলাকার মানুষ তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, সেখানে চিকিৎসার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা দ্রুত রেফার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে, সেখানেও অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত স্থানান্তরিত করে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল এতদিন যাবত, অবশেষে আজ ভরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলেই খবর পাওয়া যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


    এর আগে কোনদিনই আজ পর্যন্ত বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের রাউৎখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের সুজারগড় গ্রামে। এইরকম ভাবে এত বড় মাপের দুর্ঘটনা ঘটেনি। সামান্য স্নান করতে যাবে বলে বেরিয়ে প্যানেল পুলের গর্তের তল দিয়ে জল বেরোনো দেখতে গিয়ে গামছা পড়ে গিয়ে সেই গামছা কুড়িয়ে আনতে গিয়ে চলে যাবে তরতাজা যুবকের একটি প্রাণ।

    কল্পনাও করতে পারছে না গ্রামের মানুষ থেকে আত্মীয় পরিজন সকলে। আজ ওই যুবককে হারিয়ে কান্নায় বুক ভাসাচ্ছেন পুরো পরিবার।

  • ফের জলের তলায় তলিয়ে গেল শিলাবতী নদীর কজওয়ে। সমস্যায় দুই পাড়ের হাজার হাজার পথ চলতি মানুষ

    ফের জলের তলায় তলিয়ে গেল শিলাবতী নদীর কজওয়ে। সমস্যায় দুই পাড়ের হাজার হাজার পথ চলতি মানুষ

    চলতি মরশুমে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার জলের তলায় সিমলাপালের পাথরডাঙ্গা সংলগ্ন শিলাবতী গজল কজওয কজওয়ে। ফলে লক্ষীসাগর-বাঁকুড়া ভায়া হাড়মাসড়া রাস্তায় ফের সাময়িক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে বলে ওই এলাকার মানুষ জানিয়েছেন।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবাসরীয় বিকেলে এই এলাকায় প্রচুর পরিমান বৃষ্টিপাত হওয়ার পর থেকেই শিলাবতী নদীর জলস্তর বাড়তে থাকে। কিছুক্ষনের মধ্যেই জলের তলায় তলিয়ে যায় এই নদীর উপর পাথরডাঙ্গা কজওয়েটি। 
    

    এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনভাবে কজওয়ে দিয়ে যাতায়াত করা গেলে রাতে ফের বৃষ্টিপাত হলে সোমবার সকালের পর ওই পথে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে অনেকেই জানিয়েছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন আপাতত কোন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, বাঁচবেনে রাস্তা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে সমস্যায় দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ।।

  • আবারো বুনো হাতির আক্রমণ,হাতির তাণ্ডবে ভাঙলো বাড়ি ও দোকান ঘর, আতঙ্কে গ্রামের মানুষ।

    আবারো বুনো হাতির আক্রমণ,হাতির তাণ্ডবে ভাঙলো বাড়ি ও দোকান ঘর, আতঙ্কে গ্রামের মানুষ।

    বাঁকুড়ার ফের হাতির তাণ্ডব,হাতির হানা অব্যাহত উত্তর বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকে শ্রী চন্দ্রপুর গ্রামে।

    বৃষ্টির মধ্যেই রবিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই গঙ্গাজলঘাটি রেঞ্জের শ্রীচন্দনপুর গ্রামে তাণ্ডব চালায় দল ছুট দুই দাঁতাল হাতির দল। কলগোড়া বাজারে প্রথমে আস্তিক মুখার্জীর একটি দোকান ভাঙ্গে তারপর গদরি বাউরির বাড়িতে হানাদেয় ভেঙে দেয় বাড়ির একাংশ।।


    আচমকায় ভোরের দিকে গ্রামে হাতি চলে আসায় গ্রামবাসীরা জানান বাড়ি থেকে বাইরে বেরোনো দুসাদ্ধ হয়ে গেছে।
    আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি সকলে।তবে গ্রামবাসীদের অনুমান


    । ওই হাতি গুলি খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে হামলা চালিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
    ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের দাবি, হাতির উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারিনি।

    আনুমানিক রাত তিনটা নাগাদ হাতি গ্রামে ঢুকে প্রায় আধ ঘন্টা ধরে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পর তারা যথেষ্ট আতঙ্কিত বলেই জানিয়েছেন। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তরা আবেদন জানালে সরকারী নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে।

  • ইন্দপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষেপে গেল গ্রামের মহিলারা করল পথ অবরোধ,কেন জানেন,দেখুন বিস্তারিত।

    ইন্দপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষেপে গেল গ্রামের মহিলারা করল পথ অবরোধ,কেন জানেন,দেখুন বিস্তারিত।

    পুলিশ কি ঘুষ খাচ্ছে ? প্রমিলা বাহিনীর অভিযাগে উত্তাল ইঁদপুর, রাস্তায় নেমে অবরোধ মহিলাদের।

    পুলিশের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে ফের উত্তাল হয়ে উঠলো বাঁকুড়ার ইঁদপুর থানার ডাঙ্গারামপুর এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া-খাতড়া ২ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের প্রমিলা বাহিনীর মহিলারা।

    তাদের অভিযোগ, চোলাই মদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের নিরব ভূমিকা। গতকাল গ্রামের এক যুবককে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলেও, রাতেই পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। ফলে প্রশ্ন উঠছে “ঘুষ নিয়ে কি অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ?” পুলিশ কি চোলাই মদের কারবারিদের রক্ষাকবচ হয়ে উঠছে ?

    প্রমিলা বাহিনীর আরও অভিযোগ, এর আগে গ্রামের দুই যুবককে একই অভিযোগে গ্রেফতার করে ১৪ দিনের জেল দেওয়া হয়েছিল। তাহলে এবারের অভিযুক্তের ক্ষেত্রে ভিন্নতা কেন ? একে একে পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, পক্ষপাতিত্ব করা এবং অপরাধীদের মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ আনেন বিক্ষুব্ধরা।

    এই ঘটনার প্রতিবাদেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় পথ অবরোধ। জাতীয় সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন আটকে পড়ে, চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ইঁদপুর থানার ওসি মনোরঞ্জন নাগ। প্রায় একঘণ্টার বিক্ষোভ চলার পর, পুলিশ উপযুক্ত তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।

    তবে এলাকাবাসীর দাবি, শুধু আশ্বাস নয়, এবার চাই কড়া পদক্ষেপ। না হলে ফের রাস্তায় নামবে ডাঙ্গারামপুর।

    বাইট:
    1) প্রতিমা শাইনি (বিক্ষোভকারী মহিলা/কালো শাড়ি)
    2) তিতালী বাউরি (বিক্ষোভকারী মহিলা/হলুদ শাড়ি)
    3) জয়ন্তী মাল (বিক্ষোভকারী মহিলা/লাল শাড়ি)

  • দুই জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও সিভিল ডিফেন্স এর অক্লান্ত চেষ্টায় উদ্ধার হল তিন স্কুল পড়ুয়ার মৃতদেহ দ্বারকেশ্বর নদী থেকে

    দুই জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও সিভিল ডিফেন্স এর অক্লান্ত চেষ্টায় উদ্ধার হল তিন স্কুল পড়ুয়ার মৃতদেহ দ্বারকেশ্বর নদী থেকে

    *রঞ্জিত কুন্ডু-বাঁকুড়া*

    অবশেষে গতকাল বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর নদীর সুভাষপল্লীর ঘাটে তলিয়ে যাওয়া স্কুল ছাত্র সায়ন ব্যানার্জীর মৃতদেহ উদ্ধার হল প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে ২৫ থেকে ২৬ ঘন্টা পর, অবশেষে উদ্ধার হল তিন নিখোঁজ ছাত্রের মৃতদেহ।
    বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের পানের ডাঙর এলাকার দ্বারকেশ্বর নদীর বালি ঘাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে খবর,
    আজ সকালে ২ স্কুল পড়ুয়ান দেহ উদ্ধার হয়। এদের দুই দেহ প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এই দুই ছাত্র দেহ উদ্ধার করা গেলেও উদ্ধার হয়নি সায়ন ব্যানার্জির দেহ অবশেষে প্রায় ২৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করল বিষ্ণুপুর সিভিল ডিফেন্স ও আসানসোল থেকে আসা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

    জানা যায় গতকাল দুপুর একটা থেকে স্কুল থেকে পালিয়ে এসে দ্বারকেশ্বর সুভাষপল্লীর ঘাটে তলিয়ে যায় তিন স্কুল পড়ুয়া সেই খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর ব্লক ও মহাকুমা প্রশাসনকে। প্রশাসন দ্রুত এসে গতকাল থেকে লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল তিন স্কুল পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের জন্য। চলছিল জোর কদমে তল্লাশি, উদ্ধারের জন্য আনা হয় আসানসোল থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা স্পেশাল টীম তার সাথে বিষ্ণুপুর মহকুমার সিভিল ডিফেন্স টিমের সদস্যরা লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যান গতকাল রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত আজ আবার ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হয় তল্লাশি,

    আর তল্লাশি শুরুতেই সফলতা আসে আজ ভোরে উদ্ধার করা হয় দুই ছাত্রের মৃত দেহ, প্রায় 18 ঘণ্টা সময় লাগে এই দুই মৃতদেহ উদ্ধার করতে, কিন্তু উদ্ধার হয়নি সায়ন ব্যানার্জি নামে এক ক্লাস নাইনে পড়া ছাত্র দেহ, আবারো শুরু হয় তল্লাশি, অবশেষে ২৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা গেল পাঁচ কিলোমিটার দূরে পানের দাঙ্গা নামে এলাকা থেকে, খুঁজে পাওয়া যায় সায়ন চ্যাটার্জির মৃত দেহ,আর দেহ উদ্ধার হতেই কান্নায় ভেঙে পড়ছে বাড়ির লোক ও এলাকার মানুষ।


    ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সেখানেই হবে তিন স্কুল পড়ুয়া মৃতদেহের ময়না তদন্ত। অকালে এই তিন স্কুল পড়ুয়া স্কুল চলাকালীন মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসল বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন। বিশেষ করে বিষ্ণুপুর হাই স্কুল। এরপর থেকে স্কুলে ঢোকার থেকে শুরু করে টিপিন এরপর শুরু হবে রোল প্রেজেন্ট যাতে করে আর এই অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সজাগ থাকবে স্কুল প্রশাসন থেকে শুরু করে মহকুমা প্রশাসন এমনটাই প্রশাসন সূত্রে খবর।