Category: রাঢ় বঙ্গ

  • ফের মা মনসার গা থেকে গহনা চুরি,খোয়া গেল লক্ষ লক্ষ টাকার গহনা, বারবার চুরির ঘটনায় আতঙ্কে এলাকার মানুষ।

    ফের মা মনসার গা থেকে গহনা চুরি,খোয়া গেল লক্ষ লক্ষ টাকার গহনা, বারবার চুরির ঘটনায় আতঙ্কে এলাকার মানুষ।

    বোলপুরের মন্দিরে ফের দুঃসাহসিক চুরি, ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।।

    বোলপুরের কালীমোহন পল্লীতে কয়েক দশকের বেশি পুরানো মনসা মন্দিরে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়।
    কারা চুরি করল কিভাবে বা হলো চুরি, তদন্তে পুলিশ।
    জানা যায় স্থানীয় এলাকার মন্দিরের সেবাইত,সোমবার সকালে মন্দির খুলতে এসে দেখেন মন্দিরের তালা ভাঙা। মায়ের গায়ে গহনা নেই একটিও, আর সেই দেখে মাথায় বাজ পড়ার মত অবস্তা মন্দিরের সেবায়েতের।


    তড়িঘড়ি খবর দেন গ্রামবাসীদের, গ্রামবাসীরা দেখে তারাও হতভম্ব হয়ে যান, কিভাবে হল চুরি কারা করল এই নক কার জন্য কাজ।
    জানা গিয়েছে মা মনসা ও তার সখীদের পরনে থাকা একাধিক সোনা ও রুপার গহনা সহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী । খোলা হয় না কোনদিনও, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা। কয়েক মাস আগে বোলপুর সংলগ্ন একাধিক এলাকার মন্দিরে পরপর চুরির ঘটনা ঘটছিল। তারপর আবারো এইদিন এই মন্দিরের চুরির ঘটনা সামনে আসার পরই স্বাভাবিকভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বোলপুর থানায় এলাকায়।


    চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বোলপুর থানার পুলিশ। তারা ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।

    বীরভূম বোলপুর থেকে কাজী আমীরুল ইসলামের রিপোর্ট বিসিএন বাংলা।

  • কংসাবতী ক্যানেল পোলের লক গেট দুর্ঘটনায় ১২ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন জয়পুরের যুবক

    কংসাবতী ক্যানেল পোলের লক গেট দুর্ঘটনায় ১২ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন জয়পুরের যুবক

    18 জুলাই কংসাবতী ক্যানেল পোলের লক গেট পড়ে দুর্ঘটনার ১২ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন যুবক।


    বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হসপিটালে প্রায় ১২ দিন ভর্তি থাকার পর দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বাঁকুড়ার জয়পুরের যুবক।

    গত ১৮ই জুন বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের সুইজারগড় গ্রামে কংসাবতী ক্যানেলের তোলার গর্ত দিয়ে জল নামা দেখতে গিয়ে কংসাবতী ক্যানেলের লক গেট ভেঙে পড়ে গুরুতর যখন হন জয়পুর শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলিয়া গ্রামের বছর ৪০ থেকে ৪৫ এর যুবক, তিনি কর্মসূত্রে থাকতেন শ্বশুরবাড়ি সুজারগর গ্রামে। এলাকার জামাই বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি, উনার নাম ষষ্ঠী লোহার পিতা মথুর লোহার।


    আহত হওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত এলাকার মানুষ তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, সেখানে চিকিৎসার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা দ্রুত রেফার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে, সেখানেও অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত স্থানান্তরিত করে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল এতদিন যাবত, অবশেষে আজ ভরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলেই খবর পাওয়া যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


    এর আগে কোনদিনই আজ পর্যন্ত বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের রাউৎখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের সুজারগড় গ্রামে। এইরকম ভাবে এত বড় মাপের দুর্ঘটনা ঘটেনি। সামান্য স্নান করতে যাবে বলে বেরিয়ে প্যানেল পুলের গর্তের তল দিয়ে জল বেরোনো দেখতে গিয়ে গামছা পড়ে গিয়ে সেই গামছা কুড়িয়ে আনতে গিয়ে চলে যাবে তরতাজা যুবকের একটি প্রাণ।

    কল্পনাও করতে পারছে না গ্রামের মানুষ থেকে আত্মীয় পরিজন সকলে। আজ ওই যুবককে হারিয়ে কান্নায় বুক ভাসাচ্ছেন পুরো পরিবার।

  • ফের জলের তলায় তলিয়ে গেল শিলাবতী নদীর কজওয়ে। সমস্যায় দুই পাড়ের হাজার হাজার পথ চলতি মানুষ

    ফের জলের তলায় তলিয়ে গেল শিলাবতী নদীর কজওয়ে। সমস্যায় দুই পাড়ের হাজার হাজার পথ চলতি মানুষ

    চলতি মরশুমে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার জলের তলায় সিমলাপালের পাথরডাঙ্গা সংলগ্ন শিলাবতী গজল কজওয কজওয়ে। ফলে লক্ষীসাগর-বাঁকুড়া ভায়া হাড়মাসড়া রাস্তায় ফের সাময়িক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে বলে ওই এলাকার মানুষ জানিয়েছেন।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবাসরীয় বিকেলে এই এলাকায় প্রচুর পরিমান বৃষ্টিপাত হওয়ার পর থেকেই শিলাবতী নদীর জলস্তর বাড়তে থাকে। কিছুক্ষনের মধ্যেই জলের তলায় তলিয়ে যায় এই নদীর উপর পাথরডাঙ্গা কজওয়েটি। 
    

    এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনভাবে কজওয়ে দিয়ে যাতায়াত করা গেলে রাতে ফের বৃষ্টিপাত হলে সোমবার সকালের পর ওই পথে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে অনেকেই জানিয়েছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন আপাতত কোন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, বাঁচবেনে রাস্তা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে সমস্যায় দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ।।

  • আবারো বুনো হাতির আক্রমণ,হাতির তাণ্ডবে ভাঙলো বাড়ি ও দোকান ঘর, আতঙ্কে গ্রামের মানুষ।

    আবারো বুনো হাতির আক্রমণ,হাতির তাণ্ডবে ভাঙলো বাড়ি ও দোকান ঘর, আতঙ্কে গ্রামের মানুষ।

    বাঁকুড়ার ফের হাতির তাণ্ডব,হাতির হানা অব্যাহত উত্তর বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকে শ্রী চন্দ্রপুর গ্রামে।

    বৃষ্টির মধ্যেই রবিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই গঙ্গাজলঘাটি রেঞ্জের শ্রীচন্দনপুর গ্রামে তাণ্ডব চালায় দল ছুট দুই দাঁতাল হাতির দল। কলগোড়া বাজারে প্রথমে আস্তিক মুখার্জীর একটি দোকান ভাঙ্গে তারপর গদরি বাউরির বাড়িতে হানাদেয় ভেঙে দেয় বাড়ির একাংশ।।


    আচমকায় ভোরের দিকে গ্রামে হাতি চলে আসায় গ্রামবাসীরা জানান বাড়ি থেকে বাইরে বেরোনো দুসাদ্ধ হয়ে গেছে।
    আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি সকলে।তবে গ্রামবাসীদের অনুমান


    । ওই হাতি গুলি খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে হামলা চালিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
    ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের দাবি, হাতির উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারিনি।

    আনুমানিক রাত তিনটা নাগাদ হাতি গ্রামে ঢুকে প্রায় আধ ঘন্টা ধরে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পর তারা যথেষ্ট আতঙ্কিত বলেই জানিয়েছেন। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তরা আবেদন জানালে সরকারী নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে।

  • ইন্দপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষেপে গেল গ্রামের মহিলারা করল পথ অবরোধ,কেন জানেন,দেখুন বিস্তারিত।

    ইন্দপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষেপে গেল গ্রামের মহিলারা করল পথ অবরোধ,কেন জানেন,দেখুন বিস্তারিত।

    পুলিশ কি ঘুষ খাচ্ছে ? প্রমিলা বাহিনীর অভিযাগে উত্তাল ইঁদপুর, রাস্তায় নেমে অবরোধ মহিলাদের।

    পুলিশের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে ফের উত্তাল হয়ে উঠলো বাঁকুড়ার ইঁদপুর থানার ডাঙ্গারামপুর এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া-খাতড়া ২ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের প্রমিলা বাহিনীর মহিলারা।

    তাদের অভিযোগ, চোলাই মদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের নিরব ভূমিকা। গতকাল গ্রামের এক যুবককে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলেও, রাতেই পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। ফলে প্রশ্ন উঠছে “ঘুষ নিয়ে কি অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ?” পুলিশ কি চোলাই মদের কারবারিদের রক্ষাকবচ হয়ে উঠছে ?

    প্রমিলা বাহিনীর আরও অভিযোগ, এর আগে গ্রামের দুই যুবককে একই অভিযোগে গ্রেফতার করে ১৪ দিনের জেল দেওয়া হয়েছিল। তাহলে এবারের অভিযুক্তের ক্ষেত্রে ভিন্নতা কেন ? একে একে পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, পক্ষপাতিত্ব করা এবং অপরাধীদের মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ আনেন বিক্ষুব্ধরা।

    এই ঘটনার প্রতিবাদেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় পথ অবরোধ। জাতীয় সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন আটকে পড়ে, চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ইঁদপুর থানার ওসি মনোরঞ্জন নাগ। প্রায় একঘণ্টার বিক্ষোভ চলার পর, পুলিশ উপযুক্ত তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।

    তবে এলাকাবাসীর দাবি, শুধু আশ্বাস নয়, এবার চাই কড়া পদক্ষেপ। না হলে ফের রাস্তায় নামবে ডাঙ্গারামপুর।

    বাইট:
    1) প্রতিমা শাইনি (বিক্ষোভকারী মহিলা/কালো শাড়ি)
    2) তিতালী বাউরি (বিক্ষোভকারী মহিলা/হলুদ শাড়ি)
    3) জয়ন্তী মাল (বিক্ষোভকারী মহিলা/লাল শাড়ি)

  • দুই জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও সিভিল ডিফেন্স এর অক্লান্ত চেষ্টায় উদ্ধার হল তিন স্কুল পড়ুয়ার মৃতদেহ দ্বারকেশ্বর নদী থেকে

    দুই জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও সিভিল ডিফেন্স এর অক্লান্ত চেষ্টায় উদ্ধার হল তিন স্কুল পড়ুয়ার মৃতদেহ দ্বারকেশ্বর নদী থেকে

    *রঞ্জিত কুন্ডু-বাঁকুড়া*

    অবশেষে গতকাল বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর নদীর সুভাষপল্লীর ঘাটে তলিয়ে যাওয়া স্কুল ছাত্র সায়ন ব্যানার্জীর মৃতদেহ উদ্ধার হল প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে ২৫ থেকে ২৬ ঘন্টা পর, অবশেষে উদ্ধার হল তিন নিখোঁজ ছাত্রের মৃতদেহ।
    বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের পানের ডাঙর এলাকার দ্বারকেশ্বর নদীর বালি ঘাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে খবর,
    আজ সকালে ২ স্কুল পড়ুয়ান দেহ উদ্ধার হয়। এদের দুই দেহ প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এই দুই ছাত্র দেহ উদ্ধার করা গেলেও উদ্ধার হয়নি সায়ন ব্যানার্জির দেহ অবশেষে প্রায় ২৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করল বিষ্ণুপুর সিভিল ডিফেন্স ও আসানসোল থেকে আসা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

    জানা যায় গতকাল দুপুর একটা থেকে স্কুল থেকে পালিয়ে এসে দ্বারকেশ্বর সুভাষপল্লীর ঘাটে তলিয়ে যায় তিন স্কুল পড়ুয়া সেই খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর ব্লক ও মহাকুমা প্রশাসনকে। প্রশাসন দ্রুত এসে গতকাল থেকে লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল তিন স্কুল পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের জন্য। চলছিল জোর কদমে তল্লাশি, উদ্ধারের জন্য আনা হয় আসানসোল থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা স্পেশাল টীম তার সাথে বিষ্ণুপুর মহকুমার সিভিল ডিফেন্স টিমের সদস্যরা লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যান গতকাল রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত আজ আবার ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হয় তল্লাশি,

    আর তল্লাশি শুরুতেই সফলতা আসে আজ ভোরে উদ্ধার করা হয় দুই ছাত্রের মৃত দেহ, প্রায় 18 ঘণ্টা সময় লাগে এই দুই মৃতদেহ উদ্ধার করতে, কিন্তু উদ্ধার হয়নি সায়ন ব্যানার্জি নামে এক ক্লাস নাইনে পড়া ছাত্র দেহ, আবারো শুরু হয় তল্লাশি, অবশেষে ২৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা গেল পাঁচ কিলোমিটার দূরে পানের দাঙ্গা নামে এলাকা থেকে, খুঁজে পাওয়া যায় সায়ন চ্যাটার্জির মৃত দেহ,আর দেহ উদ্ধার হতেই কান্নায় ভেঙে পড়ছে বাড়ির লোক ও এলাকার মানুষ।


    ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সেখানেই হবে তিন স্কুল পড়ুয়া মৃতদেহের ময়না তদন্ত। অকালে এই তিন স্কুল পড়ুয়া স্কুল চলাকালীন মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসল বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন। বিশেষ করে বিষ্ণুপুর হাই স্কুল। এরপর থেকে স্কুলে ঢোকার থেকে শুরু করে টিপিন এরপর শুরু হবে রোল প্রেজেন্ট যাতে করে আর এই অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সজাগ থাকবে স্কুল প্রশাসন থেকে শুরু করে মহকুমা প্রশাসন এমনটাই প্রশাসন সূত্রে খবর।

  • অযোধ্যা পাহাড়ে সিধু কানুর মূর্তি বসানোকে কেন্দ্র করে ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ।

    অযোধ্যা পাহাড়ে সিধু কানুর মূর্তি বসানোকে কেন্দ্র করে ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ।

    সোমবার পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের ময়ূর পাহাড় পার্কিং এর পাশে এক রায়তি জমিতে জোর করে মূর্তি বসানোর অভিযোগ ওঠে। জানা যায় সেখানে সিধু কানুর মূর্তি বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিল :

    অযোধ্যা পাহাড় উন্নয়ন কমিটি’ একটি সংগঠন। মূর্তি বসানোর সময় ওই জমি নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। স্থানীয় মাতকমডি গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ টুডুর দাবী, ওই জমির মালিক তিনি। বহু বছর ধরে ওই জমিতে চাষ করে আসছেন।


    ওই রায়তী জায়গা দখল করে মূর্তি বসানোর কাজে বাধা দিতে যান ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল ও প্রকৃতি বাঁচাও আদিবাসী বাঁচাও কমিটির সদস্যরা। তারা প্রশ্ন তোলেন, কেন গ্রাম সভা ও জমির মালিকের অনুমতি ছাড়া এখানে কাজ হচ্ছে?কার মূর্তি বসানো হচ্ছে?

    কিন্তু এই প্রশ্ন তুলতেই “অযোধ্যা উন্নয়ন কমিটি” নামক ওই সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে গ্রামের মানুষরা তর্কে জড়িয়ে পড়ে। বচসা থেকে গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। পরবর্তীতে লাঠি নিয়েও একে অপরকে মারধর শুরু করে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলতে থাকে। এই ঘটনা চলাকালীন পুলিশ পুরো ঘটনায় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ ওঠে বরং যখন আদিবাসী গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ করতে যায়, তখন বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ চালায়, এমনকি বয়স্ক মহিলা ও স্কুলছাত্রীদের পর্যন্ত মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। পরবর্তীতে পুলিশ ছয় জনকে আটক করে নিয়ে যায়।

    পুলিশ যাদের ধরে নিয়ে যায়, তারা প্রত্যেকেই অযোধ্যা পাহাড় রক্ষা আন্দোলনের পরিচিত মুখ – তারা হলেন উক্ত জমির মালিক হিসেবে দাবিদার সুভাষ টুডু, বনাধিকার কমিটির সভাপতি সুনিল টুডু, গ্রাম সভার সভাপতি মদন মুর্মু সহ নকুল বাস্কে, রঘুনাথ হেমব্রম, মোমচাঁদ মুর্মু।
    অযোধ্যা পাহাড়ের এই মানুষগুলো সব সময় পাহাড়, জঙ্গল, জলাশয় রক্ষা এবং আদিবাসী অধিকার নিয়ে কাজ করে আসছেন এমনটাই দাবী এলাকাবাসী।এরা ঠুরগা প্রকল্প, বন কেটে রিসোর্ট তৈরি, পাহাড় থেকে আদিবাসীদের তাড়ানোর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তাই অনেকের ধারণা, তাদের চুপ করাতে ইচ্ছা করে পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।


    পুলিশের দ্বারা আটক হওয়া ছয়জনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পরবর্তীতে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বাগমুন্ডির থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অযোধ্যা পাহাড়ের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। জানাযায় গভীর রাত পর্যন্ত থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান অযোধ্যা পাহাড়ের কয়েকশত আদিবাসী পুরুষ ও মহিলা।

  • ভুয়ো এস টি সার্টিফিকেট নিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে পড়ছেন কলেজ ছাত্রী তাকে বহিষ্কারের দাবিতে কলেজে আন্দোলন পথ অবরোধ আদিবাসীদের।

    ভুয়ো এস টি সার্টিফিকেট নিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে পড়ছেন কলেজ ছাত্রী তাকে বহিষ্কারের দাবিতে কলেজে আন্দোলন পথ অবরোধ আদিবাসীদের।

    বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে আছড়ে পড়ল আদিবাসীদের বিক্ষোভ। একই দাবিতে মেডিক্যাল কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ২০২১ সালে নিট কোয়ালিফাই করে এসটি সংরক্ষিত আসনে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন জুহি কোলে নামের এক ছাত্রী। সেই ছাত্রী এখন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ফাইনাল ইয়ারে পড়াশোনা করছেন। সম্প্রতি তাঁর ব্যবহার করা এসটি সার্টিফিকেট ভুয়ো বলে প্রমানিত হয়। আর এরপরই নড়েচড়ে বসে বাঁকুড়া সহ জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা। অবিলম্বে ওই ছাত্রীকে বহিস্কার করা এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেয় আদিবাসীরা। সেই অনুযায়ী আজ বাঁকুড়া শহরে ধামসা মাদল ও প্রথাগত অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার পাশাপাশি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের লোকপুর ক্যম্পাসের পাশের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। অবরোধের জেরে শহরের মূল প্রবেশ পথে আটকে পড়ে যানবাহন।

    আদিবাসী সমাজের দাবি জুহি কোলের এসটি সংশাপত্র বাতিলের পর তাঁকে বহিস্কারের আবেদন জানানো হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পরেও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। আদিবাসী সমাজের অভিযোগ অ আদিবাসীদের ভুয়ো এসটি সার্টিফিকেট দেওয়া থেকে শুরু করে ভুয়ো সার্টিফিকেট প্রমাণিত হওয়ার পরেও অভিযুক্তদের ব্যবস্থা না নেওয়া সবকিছুতেই কাজ করছে একটি চক্র। জুহি কোলে সম্পর্কে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    কর্তৃপক্ষের দাবি অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের মাধ্যমে ওই পড়ুয়ার সংশাপত্র যাচাই করে তারপরেই তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। এখন তাঁর এসটি সার্টিফিকেট ভুয়ো প্রমাণিত হওয়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ এলে সেই মোতাবেক পদক্ষেপ করা হবে।
    পজ্ঞানন কুন্ডু প্রিন্সিপাল
    ছবি কাউকে দিয়োনা

  • ত্রাণ শিবিরে থাকা ব্যক্তিরা খাবার পাচ্ছে না বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ আর সেই ত্রান শিবির পরিদর্শন রাজ্যের মন্ত্রী

    ত্রাণ শিবিরে থাকা ব্যক্তিরা খাবার পাচ্ছে না বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ আর সেই ত্রান শিবির পরিদর্শন রাজ্যের মন্ত্রী

    ত্রাণ শিবিরে খাবার না মেলায় পথ অবরোধ দুর্গতদের, রাজ্যের মন্ত্রীর পরিদর্শনে চাঞ্চল্য।

    একদিকে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের ত্রাণ শিবির পরিদর্শন, অন্যদিকে ত্রাণ না মেলায় ক্ষুব্ধ দুর্গতরা রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ! শনিবার বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের পাঁচমুড়া হাই স্কুল ত্রাণ শিবির ঘুরে দেখে রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক দাবি করেন, “আগে বাম আমলে মানুষ গাছে উঠে বাঁচতো, এখন রাজ্য সরকারই দুর্গতদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করছে।”

    কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি যেন মুখের কথার সঙ্গে মেলেনি। তালডাংরারই রাধানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকা প্রায় ৬০টি পরিবার জানায়, গতকাল রাত থেকে কোনও খাবার পৌঁছায়নি তাঁদের কাছে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে দুর্গতরা তৃণমূলের পতাকা হাতে রাধানগর এলাকায় তালডাংরা-পাঁচমুড়া রাস্তা অবরোধ করে। তাঁদের অভিযোগ, বহুবার ফোন করেও পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কোনও জনপ্রতিনিধির সাড়া মেলেনি।

    অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, যারা নিজেরাই তৃণমূল কর্মী বলছেন, তাঁরাই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে পথ অবরোধে নামেন।

    মন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় ১,০০৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার তাদের পাশে রয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন দুর্গতদের খাবার জোগাতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন ? রাজ্য সরকার যখন ত্রাণ ব্যবস্থাকে ঢাল হিসেবে তুলে ধরছে, তখন মাঠে এমন চিত্র একপ্রকার প্রশাসনিক ব্যর্থতাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়।

    জেলাশাসক সিয়াদ এন, পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারী, মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি, সভাধিপতি অনসূয়া রায় সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর সঙ্গে। ত্রাণ সামগ্রীও বিলি হয়। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় ত্রাণ বিতরণ কি শুধুই কাগজে-কলমে ? মাঠে যে ক্ষোভের বিস্ফোরণ, তা কি শাসকের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে ?

  • বাঁকুড়া জেলায় বন্যা পরিস্থিতি একে বারে উদ্বেগজনক, ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪৯টি গ্রাম

    বাঁকুড়া জেলায় বন্যা পরিস্থিতি একে বারে উদ্বেগজনক, ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪৯টি গ্রাম

    গত ১৭ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণের ফলে বাঁকুড়া জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গত ৭২ ঘন্টায় গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে প্রায় ১৯২.৯ মিমি।

    ১৮ জুন সকালে যেখানে বৃষ্টি ছিল ৪৫.৩ মিমি, ১৯ জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮.২ মিমি।

    এই বৃষ্টির জেরে জেলার ২২টি ব্লকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলির মধ্যে রয়েছে – বাঁকুড়া-I ও II, ছাতনা, ওন্দা, কোতুলপুর, জয়পুর, ইন্দাস, তালডাঙরা, সিমলাপাল ও সারেঙ্গা। বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী – এই তিনটি পৌরসভাও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত।

    মোট ১০৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৩৪৯টি গ্রাম বন্যায় আক্রান্ত। পাশাপাশি বাঁকুড়া পৌরসভার ৬টি, বিষ্ণুপুরের ১৯টি এবং সোনামুখীর ৬টি ওয়ার্ড ক্ষতিগ্রস্ত।

    জলের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে আজ ৪৩,৭৫০ কিউসেক জল ছাড়ে ডিভিসি। এছাড়া শিলাবতী ব্যারেজ থেকে ৩৫০০ কিউসেক ও ভৈরব বাঁকি ব্যারেজ থেকে ১৬৯০ কিউসেক জল ছাড়া হয়। তবে মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে এখনো কোনো জল ছাড়া হয়নি।

    এপর্যন্ত ৯৯০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২০৫টি সম্পূর্ণ ও ৭৮৫টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। প্রশাসনের তরফে ১০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে, যার মধ্যে বর্তমানে ৭টি চালু রয়েছে এবং সেখানে ৫৩০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বিতরণ করা হয়েছে ২৩,২৮২টি ত্রিপল, ১৩ মেট্রিক টন চাল ও ২০০০টি পোশাক।

    জেলায় ১২টি কজওয়ে প্লাবিত হওয়ায় যান চলাচল ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্স মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। জেলার প্রতিটি ব্লক, মহকুমা ও সদর দপ্তরে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু রয়েছে।

    বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফে জনগণকে সতর্ক থাকতে এবং প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।