Category: রাজ্য

  • জামাইষষ্ঠীর দিনে পথে বসল ২৫০ শ্রমিক। কাজ হারিয়ে বিক্ষোভে কর্মীরা

    জামাইষষ্ঠীর দিনে পথে বসল ২৫০ শ্রমিক। কাজ হারিয়ে বিক্ষোভে কর্মীরা

    আবারো বন্ধ হয়ে গেল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ‘মডার্ন ইন্ডিয়া কনকাস্ট এর স্পঞ্জ আয়রন কারখানা’ , জামাইষষ্ঠীর দিনে পথে বসল ২৫০ শ্রমিক। কাজ হারিয়ে বিক্ষোভে কর্মীরা

    বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের দ্বারিকা শিল্পাঞ্চলে আজ থেকে বন্ধ হয়ে গেলো “মডার্ন ইন্ডিয়া কনকাস্ট লিমিটেড” এর স্পঞ্জ আয়রন কারখানা। আচমকা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ২৫০ জন শ্রমিক কাজ হারালেন। ইতিমধ্যেই ঠিকাদারদের হাতে লিখিত নোটিস তুলে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ চরমে।

    কারখানার এক আধিকারিক ফোনে জানান, “চালুর পর থেকেই কারখানাটি লোকসানে চলছিল। রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ এর দাম কমানোর আশ্বাস দিয়েছিল কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই উৎপাদন বন্ধ করতে হচ্ছে। শ্রমিকদের সব বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে।”

    এই খবরে দ্বারিকা-গোঁসাইপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কার্য্যালয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। তৃণমূল কংগ্রেস কার্য্যালয়ের সামনে জমায়েত করে তারা দাবি তোলেন, যেন অবিলম্বে কারখানা খুলে দেওয়া হয় এবং তাদের পুনঃনিয়োগ নিশ্চিত করা হয়।

    বিজেপির দাবি, “তৃণমূলের দাদাগিরি, তোলাবাজি আর চুরি এই রাজ্যে কোনও শিল্প টিকতে দিচ্ছে না এই সরকার। তৃণমূলের শিল্প বলতে গরু চুরি শিল্প কয়লা চুরি শিল্প আর বালি চুরি শিল্প।”

    সিপিএমের বক্তব্য, “তাদের আমলে তৈরি হওয়া শিল্প আজ তৃণমূলের তোলাবাজি ও বিদ্যুতের অস্বাভাবিক দামের কারণে বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে মালিক কর্তৃপক্ষ।”

    তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের এক নেতা বলেন, “আমরা দ্রুত এই কারখানাটি পুনরায় চালুর ব্যবস্থা নিচ্ছি। এত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ুক, তা হতে দেব না।”

    এক সময় নতুন করে জেগে ওঠা দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল আবার কি ঝিমিয়ে পড়বে ? প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূল কি রাজ্যে শিল্প বন্ধ করতে ক্ষমতায় এসেছে ? নাকি এও আরও এক বন্ধ কারখানার তালিকায় যোগ হলো ? উত্তর অনিশ্চিত।

    বাইট:
    1) শেখ আজারুদ্দিন (শ্রমিক)
    2) গোবিন্দ নন্দী (শ্রমিক)
    3) দেবপ্রিয় বিশ্বাস (বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি মুখপাত্র)
    4) অসিত ঘোষ (সি আই টি ইউ নেতা)
    5) শেখ রজবউদ্দিন (আইএনটিটিইউসি নেতা)

  • Jamaisashthi Puja Rules: এই সাদা রঙের জিনিস ৬ টা নিবেদন করুন মা ষষ্ঠীর প্রসাদে! সুখ শান্তি সৌভাগ্য টাকার প্লাবনে ভরে থাকবে মেয়ে জামাইয়ের সংসার

    Jamaisashthi Puja Rules: এই সাদা রঙের জিনিস ৬ টা নিবেদন করুন মা ষষ্ঠীর প্রসাদে! সুখ শান্তি সৌভাগ্য টাকার প্লাবনে ভরে থাকবে মেয়ে জামাইয়ের সংসার

    Jamaisashthi Puja Rules:অরণ্যষষ্ঠীতে সন্তান সন্ততির সঙ্গে মঙ্গলকামনা করা হয় পরিবারের জামাইয়েরও। ষষ্ঠীর থানে পুজো দেওয়ার পর সকলের সঙ্গে তাঁকেও দেওয়া হয় তালপাতার শীতল বাতাসজামাইষষ্ঠীতে পুজোর থালা সাজানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণজামাইষষ্ঠীতে পুজোর থালা সাজানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণবাঙালির বারো মাসে তেরো ষষ্ঠী পালিত হয় মাসের শুক্ল পক্ষে। জ্যৈষ্ঠ মাসের অরণ্যষষ্ঠী বেশি পরিচিত জামাইষষ্ঠী নামে।

    অরণ্যষষ্ঠীতে সন্তান সন্ততির সঙ্গে মঙ্গলকামনা করা হয় পরিবারের জামাইয়েরও। ষষ্ঠীর থানে পুজো দেওয়ার পর সকলের সঙ্গে তাঁকেও দেওয়া হয় তালপাতার শীতল বাতাস। হাতে বেঁধে দেওয়া হয় মাঙ্গলিক সুতো। বলছেন জ্যোতিষ বিশারদ পণ্ডিত কল্কি রাম।জামাইষষ্ঠীতে পুজোর থালা সাজানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক পরিবারে একে ষষ্ঠীর বাটা-ও বলা হয়। কিছু পরিবারে বলা হয় ঝুড়ি। পারিবারিক রীতি মেনে বাঁশের ঝুড়ি বা কাঁসার থালা বা কাঠের পাত্রে সাজানো হয় ষষ্ঠীপুজোর ডালা। তার প্রধান উপকরণ ফল। মরশুমি নানা ফলের মধ্যে বৃন্ত-সহ করমচা ও বৃন্ত-সহ খেজুর রাখতেই হবে ডালায়। এছাড়া সিঁদুরের ফোঁটা সমেত ৬ টি কাঁঠালি কলা রাখুন ডালায়। প্রধান উপকরণের মধ্যে পড়ে ৬ টি পান, ৬ টা সুপারি। ফলের পরে ষষ্ঠীর ডালায় গুরুত্বপূর্ণ হল ক্ষীরের নাড়ু। মা ষষ্ঠীর উদ্দেশে নিবেদন করুন ৬ টি ক্ষীরের নাড়ু ও দই। অনেক বাড়িতে ক্ষীরের বিড়ালিনীও তৈরি করা হয়।

  • বুনো হাতির আক্রমণে মর্মান্তিক ঘটনা প্রাণ হারালো একই পরিবারের তিন সদস্য। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা পথ অবরোধ।

    বুনো হাতির আক্রমণে মর্মান্তিক ঘটনা প্রাণ হারালো একই পরিবারের তিন সদস্য। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা পথ অবরোধ।

    বুনো হাতির আক্রমণে মর্মান্তিক ঘটনা প্রাণ হারালো একই পরিবারের তিন সদস্য।

    গভীর রাতে বুনো হাতির হানায় একই পরিবারের তিনজন সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির উঠোনে দাঁতালের পায়ে পিষ্ঠ হয়েছেন ৩৬ দিনের কোলের শিশুকন্যা সহ বৃদ্ধা মা এবং যুবক ছেলে। শুক্রবার রাত একটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের কুঞ্জ নগরের সভাপতি মোড় এলাকায়। সে সময় এলাকায় লোডশেডিং এর কারণে বিদ্যুৎ ছিলনা বলেই জানাগিয়েছে। ঘরের বাইরে শব্দ শুনে বাইরে বের হন ৩২ বছর বয়সী মনোজ দাস, কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে পিষে মারে দাঁতাল হাতি। পেছন পেছন বৃদ্ধা মা মাখন রাণি দাস তাঁর একরত্তির নাতনি মানসীকে কোলে নিয়ে ঘরের বাইরে পা রাখা মাত্রই উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকা দাঁতাল হাতিটি তাঁকেও পিষে দেয়, সঙ্গে মৃত্যু হয় কোলে থাকা ৩৬ দিনের শিশুকন্যা মানসীর। শনিবার দিনের আলো ফুটতেই বনদপ্তরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোত তুলে সরব হন এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ও বাঁশ ফেলে দফায় দফায় শুরু হয় পথ অবরোধ।
    নিমাই চাঁদ, আলিপুরদুয়ার।

  • মহিলা পুলিশকর্মীদের ‘সিঁদুর’ পরিয়ে দিলেন বিজেপি কর্মীরা! মমতার মন্তব্যে পদ্মের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা চুঁচুড়ায়

    মহিলা পুলিশকর্মীদের ‘সিঁদুর’ পরিয়ে দিলেন বিজেপি কর্মীরা! মমতার মন্তব্যে পদ্মের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা চুঁচুড়ায়

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সিঁদুর’ মন্তব্যের প্রতিবাদে বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা হুগলির চুঁচুড়ায়। মহিলা পুলিশকর্মীদেরই সিঁদুর পরিয়ে দিলেন বিজেপি কর্মীরা! যার জেরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হল।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সিঁদুর’ মন্তব্যের প্রতিবাদে বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা হুগলির চুঁচুড়ায়। মহিলা পুলিশকর্মীদেরই সিঁদুর পরিয়ে দিলেন বিজেপি কর্মীরা! যার জেরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হল।বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার পরেই তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। প্রধানমন্ত্রী সিঁদুর বেচতে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার চুঁচুড়ার পিপুলপাতি পাঁচমাথা মোরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।ওই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান বিজেপির মহিলা কর্মীরা। পুলিশ তাঁদের রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করে। অভিযোগ, সেই সময়েই মহিলা পুলিশকর্মীদের কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা। পরে এক মহিলা পুলিশকর্মীদের বলতে শোনা যায়, ‘‘আমরা এখানে ডিউটি করতে এসেছি। জোর করে সিঁদুর পরিয়ে দিল!’’যদিও বিজেপির দাবি, মহিলা পুলিশকর্মীরা নিজে থেকেই সিঁদুর পরেছেন। নিরুপা চক্রবর্তী নামে এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘সিঁদুর আমাদের অহঙ্কার। আমি নিজে সিঁদুর পরব। বিবাহিত মহিলাদেরও সিঁদুর পরাব। পুলিশকর্মীরা অবশ্য নিজে থেকেই সিঁদুর পরেছেন।’’

  • জনমত সমীক্ষকদলের গ্রেফতারির ঘটনায় নয়া মোড়, পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে দাবী ধৃতদের পরিবারের, আর তাতেই শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর।

    জনমত সমীক্ষকদলের গ্রেফতারির ঘটনায় নয়া মোড়, পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে দাবী ধৃতদের পরিবারের, আর তাতেই শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর।

    জনমত সমীক্ষকদলের গ্রেফতারির ঘটনায় নতুন মোড়, পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে দাবী ধৃতদের পরিবারের, রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত
    ————————*—————
    বাঁকুড়ায় জনমত সমীক্ষকদলের গ্রেফতারির ঘটনায় নতুন মোড়। পুলিশ মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে সমীক্ষক দলের সকলকে গ্রেফতার করেছে দাবী তুলে সরব হল ধৃতদের পরিবার। ঘটনাকে নিয়ে অব্যাহত রয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও। বিজেপির দাবী মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই দলদাস পুলিশ মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা তৃনমূলের দাবী বিজেপির এজেন্সির হয়েই ওই দলটি কাজ করছিল।

    সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সমীক্ষার নামে এলাকায় এলাকায় তথ্য সংগ্রহ নিয়ে দলীয় কর্মীদের সতর্ক করেন। দলীয় সার্কুলার জারি করে দলীয় নেতা ও কর্মীদের কাছে সেই সতর্কতা বার্তা পৌঁছেও দেওয়া হয়। আর তারপরই বাঁকুড়া শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় ২ মহিলা সহ ৫ জনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডের ফটোকপি সংগ্রহের অভিযোগ আনে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। ধৃতদের দুদিন পুলিশ হেফাজত শেষে আজ ফের বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ। এদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ধৃতেরা স্পষ্টতই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর দাবীতে সরব হন ধৃতের পরিজনেরা। তাঁদের দাবী ডিপলেন্স রিসার্চ নামের দিল্লির একটি সংস্থার হয়ে তাঁরা জনমত সমীক্ষার কাজ করার জন্য বাঁকুড়া শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন। সেখানে সমীক্ষার কাজ শুরুর আগে কাউন্সিলারের কাছে অনুমতি চাইতে গেলে পুলিশ ডেকে মিথ্যা অভিযোগে তাঁদের ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড সংগ্রহ করেননি বলেও দাবী করেছেন ধৃত ও ধৃতদের পরিজনেরা।

    এদিকে এই ঘটনা নিয়ে এখনো রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত রয়েছে বাঁকুড়ায়। বিজেপির দাবী রাজ্য সরকার চাকরী দিতে পারছে না। রাজ্যের শিক্ষিত বেকাররা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতে গেলে তাদেরও মিথ্যা অভিযোগে এভাবে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে তৃনমূলের দাবী বিভিন্ন এনজিও ও সংস্থার নাম করে বিজেপির লোকজন এলাকায় এলাকায় গিয়ে এই তথ্য ও নথি সংগ্রহ করছে। এ ব্যাপারে দলীয় নেতৃত্ব আগেই সতর্ক করেছিল। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে অনুমতিবিহীনভাবে সেই কাজ করতে গিয়েই ধরা পড়েছে ওই ৫ জন।

  • বাতিল-সহ ৪৪২০৩ শূন্যপদে শিক্ষক-অশিক্ষক নিয়োগ নোটিস ৩০ মে, আবেদন ১৬ জুন থেকে : মমতা

    বাতিল-সহ ৪৪২০৩ শূন্যপদে শিক্ষক-অশিক্ষক নিয়োগ নোটিস ৩০ মে, আবেদন ১৬ জুন থেকে : মমতা

    চাকা খুলতে চলেছে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের,বাতিল-সহ ৪৪২০৩ শূন্যপদে শিক্ষক-অশিক্ষক নিয়োগ নোটিস ৩০ মে, আবেদন ১৬ জুন থেকে : মমতা

  • অবৈধ বালি খাদান বন্ধ করতে যাওয়ায় কি কাল হল? রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা গায়েব করে দিল নৌকা।

    অবৈধ বালি খাদান বন্ধ করতে যাওয়ায় কি কাল হল? রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা গায়েব করে দিল নৌকা।

    নদী পারাপার বন্ধকরতে রাতের অন্ধকারে নৌকা গায়েব দুস্কৃতীদের।

    কুমারগ্রাম ব্লকের পশ্চিম চ্যাংমারিতে রায়ডাক নদীর বালিপাথর খনন বন্ধে গ্রামের মহিলারা গত কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন । এতেই রীতিমতো বিপাকে পড়েছে বালিপাথর খননকারীরা । নদী পেরিয়ে এপারে এসে মহিলারা যাতে খননের কাজে বাধা দিতে না পারে সেজন্য রাতের অন্ধকারে কাঞ্ছিবাজার খেয়াঘাটের নৌকা ভাসিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা । খেয়াঘাটে বেঁধে রাখা নৌকা না দেখতে পেয়ে সকাল সকাল ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম চ্যাংমারি এলাকায়। মাঝি অসিত দাস বলেন, ঘাটে নৌকা নেই দেখে মালিককে ফোনে ঘটনার কথা জানাই। পাশের গ্রাম হেমাগুড়ি এলাকায় রায়ডাক নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা ডুবিয়ে রাখা নৌকার খোঁজ পান। পরে আমরা গিয়ে নৌকা উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এনিয়ে খেয়াঘাটের ইজারাদার সাবলু দাস তিনি জানান আমার নৌকা এই নৌকাতে গ্রামের মহিলারা টাকা দিয়ে নদী পার পার হয়ে আন্দোলন করতে যাচ্ছিল আমাকে কেউ হুমকি না করলেও আমি বুঝতে পারছি আমার উপর প্রতিহিংসা হচ্ছে। চ্যাংমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিতা ঈশ্বরারি তিনি জানান কেন এমনটা হয়েছে আমরা কে করেছে সবদিক খতিয়ে দেখছি এবং প্রশাসনকে এর ব্যবস্থা নেওয়ার কোথাও বলা হয়েছে। এই বিষয়ে গ্রামবাসী শৃঙ্খলা মোচারি তিনি সরাসরি অবৈধ বালি পাথর খননকারী দুষ্কৃতীদের দিকেই আঙ্গুল তুললেন, তারা জানান গত তিন মাস ধরে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন গতকাল সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে রাতের অন্ধকারে নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা সেই নৌকাটি বাধা ছিল ঘাটে। রাতের অন্ধকারে খুলে দেয়া হয় সেই নৌকা ভেসে ভেসে চলে যায় অন্যত্র এবং সেখানে নৌকাটিকে জলে ডুবিয়ে রাখা হয়। আজ সকালে নৌকা চুরির ঘটনায় এলাকায় চারদিকে জানাজানি হতেই সন্ধান পাওয়া যায় নৌকার। তাই তারা এক প্রকার দুষ্কৃতীদের দিকেই আঙ্গুল তুললেন। কারণ এটাও হতে পারে তাদের আন্দোলনকে দেবানোর জন্যই এই কারসাজি।

    সংবাদ দাতা-নিমাই চাঁদ, কুমারগ্রাম,আলিপুরদুয়ার।

  • প্রেস ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল অসম বাংলা সীমানার বারবিশায়

    প্রেস ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল অসম বাংলা সীমানার বারবিশায়

    জেলা প্রেস ক্লাবের বৈঠক বারবিশায়। রবিবার আলিপুরদুয়ার জেলা প্রেস ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল অসম বাংলা সীমানার বারবিশায়। শাখা সংগঠন কুমারগ্রাম শামুকতলা প্রেস ক্লাবের কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে জেলার ৬ টি ব্লকের সাংবাদিকরা এদিনের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেন। জেলা প্রেস ক্লাবের কোর কমিটির মোট ১০ সদস্য উপস্থিতিতে পূর্ণাঙ্গ এক্সিকিউটিভ কমিটি গঠন করা হয়। প্রবীণ সাংবাদিক কামাখ্যা দাসের সভাপতিত্বে সভায় ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। জেলা প্রেস ক্লাবের নির্মীয়মান ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নিয়ে এবং সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন অনির্বাণ চৌধুরী, শম্ভুচরণ নাথ, নীহাররঞ্জন ঘোষদের মতো প্রবীণ সাংবাদিকরা। এছাড়াও উপস্থিত সকলেই নিজেদের মতামত প্রদান করেন। পরবর্তী সভা জলদাপাড়ায় অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এব্যাপারে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক অম্লানজ্যোতি ঘোষ টেলিফোনে কী জানালেন শুনুন- নিমাই চাঁদ, কুমারগ্রাম,আলিপুরদুয়ার।

  • বালিপাথর খননের বিরুদ্ধে চ্যাংমারিতে মহিলাদের বিক্ষোভ আন্দোলন অব্যাহত।

    বালিপাথর খননের বিরুদ্ধে চ্যাংমারিতে মহিলাদের বিক্ষোভ আন্দোলন অব্যাহত।

    দিনের পর দিন প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছিল অবৈধ ভাবে পোগলেন মেশিন দিয়ে নদী খনন, কারো কোথায় গুরুত্ব দিচ্ছিল না খননকারীরা, এবার মহিলাদের রণমূর্তি দেখে নদীখনন বন্ধকরে প্রান হাতে নিয়ে চম্পট দিল খননকারীর দল।

    বালিপাথর খননের বিরুদ্ধে চ্যাংমারিতে মহিলাদের বিক্ষোভ আন্দোলন অব্যাহত। আন্দোলনের জেরে নদী থেকে পকলিন মেসিন সরিয়ে নিতে বাদ্ধ্য হলো নদী খননকারীরা। আন্দলনকারী মহিলারা নিজেদের শাসকদলের সমর্থক বলেই দাবি করেছেন। জানাগিয়েছে বিগত তিন মাস ধরে কুমারগ্রাম ব্লকের চ্যাংমারিতে দুই নং রায়ডাক নদীর বালিপাথর খননের বিরুদ্ধে স্থানীয় মহিলাদের বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিম চ্যাংমারি কাঞ্চিবাজর লাগোয়া নৌকাঘাট এলাকায় সোমবার সকালে ফের আন্দোলনের তিব্রতা বাড়ায় গ্রামের মহিলারা। মহিলাদের রণমূর্তি দেখে নদীপাড়ে পোকলিন ফেলে রেখে পালিয়ে যায় পকলিন চালক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কুমারগ্রাম থানার পুলিশ এবং যুগ্ম বিডিও । মহিলাদের দাবি, জোর করে বাহুবল দেখিয়ে অবৈধভাবে নদী খনন করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা খননের ফলে পশ্চিম চ্যাংমারির সেচ বাঁধ এবং তাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, একসময় আশ্রয়হীন হতে হবে তাদেরকে। গ্রামের ক্ষতি ঠেকাতেই অবৈধ নদী খননের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন বলে জানাগিয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কথায় নদীর পাড় থেকে পোকলিন সরিয়ে নিলে বিক্ষোভ আন্দোলন প্রত্যাহার করে বাড়ি ফেরেন ভাঙনের আতঙ্কে দিশেহারা পশ্চিম চ্যাংমারির বাসিন্দারা ।

    আলিপুরদুয়ার কুমার গ্রাম থেকে নিমাই চাঁদ এর রিপোর্ট বিসিএন বাংলা।

  • প্রধানমন্ত্রী আসবে আলিপুরদুয়ারে হবে জনসভাতার আগেই দুই দলের জার্সি বদলের খেলা।

    প্রধানমন্ত্রী আসবে আলিপুরদুয়ারে হবে জনসভাতার আগেই দুই দলের জার্সি বদলের খেলা।

    প্রধানন্ত্রীর সভার আগে জার্সি বদলের খেলা চলছে কুমারগ্রাম ব্লকে।

    কুমারগ্রাম ব্লকে এ যেন দল বদলের খেলা চলছে। কোথাও বিজিপি ছেড়ে তৃণমুলে আবার কোথাও ঠিক উল্টো শাসকদল থেকে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে কর্মীরা। রবিবার বিকেলে এন কে এস গ্রামপঞ্চায়েতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ১১টি পরিবার যোগদান করে এমনটা জানানো হয় কুমারগ্রাম দুই নং মন্ডল বিজেপির তরফে। আপর দিকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে জোগদান করেছে ৫০ টি পরিবার এই তথ্য জানোনো হয় তৃণমূলের পক্ষ্য থেকে। তবে শাসক বিরোধী দুই দলের নাতারাই নিজের দলের ভাঙ্গনের কথা মানতে নারাজ। তৃণমূলের দাবি কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতার বুথ থেকে ৫০ টি পরিবার তৃণমূলে এসেছে।আপরদিকে বিজেপির দাবি রাজ্য সভার সাংসদের এলাকা থেকে ১১টি পরিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছে।
    নিমাই চাঁদ,কুমারগ্রাম, আলিপুরদুয়ার।